বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে দেউলিয়াত্বের দিকে এগোচ্ছে: রিজভী
আওয়ামী সরকারের জন্য প্রলয়-দিন ঘনিয়ে এসেছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, 'নিজের আত্মসম্মানে জাগ্রত হয়ে জাতি সবসময় চিরসজাগ থেকেছে, আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধেও এদেশের মানুষ রাজপথে ধেয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে।'
সোমবার (১৬ মে) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, 'আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নীলনকশা হিসেবে নতুন নতুন কালাকানুন তৈরিতে ব্যস্ত এ নিশিরাতের সরকার। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ও অন্য মাধ্যমের নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ডিজিটাল মাধ্যম ও ওভার দ্য টপ (ওটিটি) মাধ্যমের জন্য নতুন একটি প্রবিধান বা নীতিমালা তৈরি করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।'
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে দেউলিয়াত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার চেয়েও বাংলাদেশের অবস্থা আরও সংকটাপন্ন। অর্থনৈতিক চরম দুর্দশাগ্রস্ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মানুষ নিরিবিলি কেঁদেও শান্তি পাবে না।
'সিন্ডিকেটের দৌরাত্বে খাদ্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বমুখী গতি থামছেই না। খাদ্যপণ্য নিয়ে সবধরনের গভীর সংকটে বাংলাদেশ। উজানের পানি ও বাঁধ ভেঙে বাংলাদেশের এক বিস্তৃত অঞ্চলের ধান তলিয়ে গেছে। কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। জাতি আকুল উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করছে। বাংলাদেশে এক দুর্বিষহ সংকট প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসছে।'
রুহুল কবির বলেন, 'গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কায়েম এবং অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে অনির্বাচিত নিশিরাতের সরকার। ডিফেমেশন ল’, অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট, কনটেম্পট অব কোর্ট, আইসিটি অ্যাক্ট, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, গণমাধ্যমকর্মী আইন, ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট ও ওটিটি আইনসহ অনেকগুলো নিবর্তনমূলক কালাকানুন করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা গোরস্থানে কবরের মধ্যে শায়িত করা হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'যেহেতু গণতন্ত্র হত্যাকারী জল্লাদরা ক্ষমতায়, তাই এ আতঙ্কের পরিবেশে বিবেকের তাড়নায় স্বাধীনভাবে কেউ কিছু লিখতে বা বলতে চাইলে তাকে নিরুদ্দেশ হতে হবে, না হলে কারাগার হবে তার স্থায়ী ঠিকানা। আর বাংলাদেশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যত মামলা হয়েছে তার শতকরা অর্ধেকের বেশি মামলা হয়েছে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য। এ মামলা থেকে নারী-শিশু ও কিশোররাও রক্ষা পায়নি।'
এসএন