‘সংবিধান থেকে সরকার এক চুলও নড়বে না’
বিএনপিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহনের অনুরোধ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন করব। জনগণের ইচ্ছায় ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। আমরা তাদের (বিএনপি) অনুরোধ করছি নিবাচনে আসুন।’
মঙ্গলবার (১০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতাদের সঙ্গে যৌথসভার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দর কষাকষি করে লাভ নেই, সরকার সংবিধান থেকে এক চুলও নড়বে না।’ তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, আমরাও সেভাবে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করব।’
আওয়ামী লীগ অপরাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নিবাচন অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনার সরকার নিরপেক্ষ নিবাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে। নির্বাচনের সময় সরকারের কোনো কর্তৃত্ব থাকবে না। আইন শৃঙ্খলাবাহিনাীও তাদের অধীনে থাকবে।’
ইভিএম পরে আগে পদত্যাগ-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, ‘পদত্যাগ কেন করতে হবে? আমরা কী অন্যায় করেছি।জনগণের ধারণা ক্ষমতা লিপ্সায় ফখরুল পলিটিক্যাল হ্যলুসিনেশনে ভুগছেন। দেশের মানুষ গত নির্বাচনের আগেও তাদের হাকডাক শুনেছে। পানি ঘোলা করে তারা
সংলাপে এসেছে, নির্বাচনে এসেছে। এবারই একই কথা বলছে। অস্তিত্ব রক্ষায় তাদেরকে নির্বাচনে আসতে হবে।
বিএনপিকে নিবাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রের পথে না হেটে চোরাগলি খুঁজে বেড়েয়। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার আর কোনো পথ নেই। বিএনপি নেতারা দর কষাকষির জন্য কথা বলছেন। বিএনপির দর কষাকষিতে সরকার সংবিধান থেকে নড়বে না।’
বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ কেন করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা নির্বাচনে আসুক, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক জনগণ চায়। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা তাদের অধিকার।
তিনি বলেন, ‘১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনের নেতাকর্মীদের সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
জানা গেছে, গত ৭ মে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা তৈরি ও নেতাদের মধ্যে কর্মবণ্টন এবং বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হবে এই সভায়।
সভায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, বাহাউদ্দীন নাছিম, হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল প্রমুখ উপস্থিত আছেন।
এ ছাড়া সভাশ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি-সম্পাদক উপস্থিত আছেন।
এসএম/এমএমএ/