সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সংস্কারপন্থী নেতাদের সাথে বিএনপির ত্যাগী নেতাদের বিভেদ

ছবি: সংগৃহীত

প্রায় ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিএনপির মূলধারার রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত নেতারা। ত্যাগী নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগও ছিল সীমিত। তবে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেখা গেছে, সেই সংস্কারপন্থী নেতারাই এখন মিছিলের সামনের সারিতে। বিপরীতে, যারা গত ১৬ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিয়ে জেল-জুলুম সহ্য করেছেন, সেই ত্যাগী নেতারাই আজ পিছনের সারিতে।

২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিএনপির ভেতরে বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়। সে সময় দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পদ থেকে সরানোর চেষ্টায় মেতে ওঠে একদল নেতা। তৎকালীন মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি দল সংস্কারের দাবিতে একজোট হয়। তাদের সমর্থনে কিছু সাবেক সংসদ সদস্যও যোগ দেন এবং প্রকাশ্যে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন।

সে সময় মূল পরিকল্পনা ছিল বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করা। দীর্ঘ এই সময়ের ব্যবধানে সংস্কারপন্থী নেতাদের অনেকেই রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকলেও এখন তারা পুনরায় সক্রিয় হয়ে বিএনপির নেতৃত্বে ভূমিকা রাখতে চাইছেন, যা দলের ভেতরে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে এইসব সংস্কারপন্থীদের ছিল না কোনো খোঁজ। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের দুঃসময়ে সংস্কারপন্থীদের অনেককে ডেকেও নমিনেশন দেওয়া যায়নি। রাজনীতি করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন অনেক সংস্কারপন্থী নেতা।

এদিকে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্দোলন সংগ্রাম জেলখাটা ত্যাগী নেতাদের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে সংস্কারপন্থী নেতাদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির ত্যাগী এক নেতা বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর খ্যাত এইসব সংস্কারপন্থী নেতাদের নেতৃত্বেই ৫ আগস্টের পরে দেশের যত বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি দখলদারি ও আওয়ামী লীগের নেতাদের পুনর্বাসন ও দলে ভেড়ানোর অভিযোগ আছে। এর অন্যতম কারণ হলো দল থেকে বিচ্ছিন্ন এইসব সংস্কারপন্থী নেতা তাদের নিজেদের দল ভারী করতে আওয়ামী লীগকে কাছে নিয়েছেন।

তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিভিন্ন সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, কোনো নেতা বা কর্মী যদি চাঁদাবাজি দখলদারির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায় সাথে সাথেই সেইসব নেতা কর্মীকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হবে।

সংস্কারপন্থী কয়েকজন সাবেক এমপি নিজ এলাকায় প্রচার করে বেড়াচ্ছেন যে, সকালে তারেক জিয়ার সাথে ১০ মিনিট কথা হয়েছে, বিকালে ৮ মিনিট কথা হয়েছে, মনোনয়ন নিশ্চিত। এ ঘটনার সত্যতা জানতে বিএনপির দপ্তরের একজনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান- আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্যার বিএনপির সকল গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে গুলশান অফিস ও পার্টি অফিসের স্কাইপে কথা বলেন। নির্ধারিত ব্যক্তি এগুলো মনিটর করেন। আমার জানামতে মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরও খুব বেশি জরুরি ছাড়া কল দেন না।

এসব বিষয় নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় অনেক নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি এবার আর ভুল করবে না। সংস্কারপন্থীদের কারণে দলের ভিতর কোনো বিভেদ হোক দল সেটা চায় না। দীর্ঘদিন যারা দলকে সার্ভিস দিয়েছেন তাদের মূল্যায়ন করবে বিএনপি। মনোনয়ন দিবে ওইসব ত্যাগীদের। তারেক রহমানের নেতৃত্বে সুস্থ ধারার রাজনীতি করবে বিএনপি।

Header Ad
Header Ad

আজহারীকে জামায়াতে যোগ দিতে বললেন দুদু  

ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা শামসুজ্জামান দুদু সাম্প্রতিক এক আলোচনায় ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীকে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চাইলে জামায়াতে যোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, যদি রাজনীতি করতে চান, স্বনামে করেন। প্রয়োজনে জামায়াতে যোগ দেন। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু অন্যের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে রাজনীতি চালিয়ে যাওয়া উচিত নয়।

এর আগে এক মাহফিলে মিজানুর রহমান আজহারী বলেছিলেন, ইসলামের আলোকে দেশ সাজাবো। কোনো জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস সৃষ্টি হতে দেওয়া যাবে না। ১৫ বছরে দেশে প্রচুর লুটপাট হয়েছে। যখন অন্য দেশ উন্নয়নে ব্যস্ত, তখন আমাদের দেশের সরকার লুটপাটে মগ্ন। এক দল যায়, আরেক দল এসে লুটপাট চালায়। আমাদের কোরআনের আলোকে দেশ গড়তে হবে।

দুদু আরও বলেন, বিএনপি বার বার ক্ষমতায় এসেছে জনগণের সমর্থনে, কারো ঘাড়ে পা দিয়ে নয়। আমাদের শাসনামল তখন থেকেই শুরু, যখন অনেকের জন্মই হয়নি। যারা বিএনপির বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন, তারা কি কখনো দেশের মানুষের পেট ভরাতে পেরেছেন? আমরা আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করেছি।

তিনি দাবি করেন, বিএনপি সবসময় গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য কাজ করেছে। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু লুটপাট করেছে। যারা বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের তুলনা করেন, তারা শয়তানের শয়তান।

Header Ad
Header Ad

রাষ্ট্র সংস্কারে কাজ করছে ১১ ছায়া কমিশন  

ছবিঃ সংগৃহীত

টেকসই রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ হিসেবে চার মাস ধরে কাজ করে যাচ্ছে ১১টি ছায়া সংস্কার কমিশন। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এসব কমিশন কাজ করছে।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পলিটিক্যাল অ্যান্ড পলিসি সায়েন্স রিসার্চ ফাউন্ডেশন (পিএসআরএফ) এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এসব ছায়া সংস্কার কমিশনগুলোর চতুর্থ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালা সঞ্চালনা করেন ছায়া সংস্কার কমিশনের আহ্বায়ক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাসিমা খাতুন।

রাজনৈতিক দল ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠন হয়েছে উল্লেখ করে কর্মশালায় এর উদ্যোক্তারা বলেন, রাজনৈতিক দলের মধ্যে জবাবদিহিতার বিষয়টা একটি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয়। এতে করে জবাবদিহিতামূলক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। এটি মূলত করা হয়েছে নাগরিকবান্ধব রাজনৈতিক দল ব্যবস্থা প্রণয়ন করার জন্য। এ ছাড়াও, দায়িত্বশীল শাসন বিভাগের জন্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। দায়িত্বশীল শাসন বিভাগ রাষ্ট্রে সুশাসন নিশ্চিত করবে।সবগুলো কমিশনের শুরুতেই ‘টেকসই’ উল্লেখ করা হয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে টেকসই উন্নয়নের স্বপ্ন নিশ্চিত হবে।

কমিশনের স্থায়িত্বকাল সম্পর্কে বলা হয়েছে, যেহেতু যতদিন রাষ্ট্র থাকবে ততদিন সংস্কার থাকবে, সেহেতু কমিশনগুলোর অভিজ্ঞতা দীর্ঘ মেয়াদে কাজে লাগবে। তবে ছায়া সংস্কার কমিশনের স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনা হলো, কমিশনগুলো সমন্বিতভাবে সুপারিশ তৈরি করে জাতীয় সেমিনার ও প্রেস কনফারেন্সর মাধ্যমে জাতিকে অবহিত করবে। এখন পর্যন্ত চারটা কর্মশালা হয়েছে।

পঞ্চম কর্মশালার পরে সংক্ষিপ্ত আকারে একটি জরিপ হবে। জরিপের উপর ভিত্তি করে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় পর্যায়ে সেমিনার মাধ্যমে চুড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি হবে। সেই রিপোর্টটি সরকারের ঐক্যবদ্ধ কমিশনের নিকট হস্তান্তর করা হবে। অতঃপর মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা হিসেবে সরকারের সংস্কার কমিশনগুলো এবং ছায়া সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ সরকার কতটা বাস্তবায়ন করেছে তা পর্যবেক্ষণ করা হবে।

কর্মশালায় আরো বলা হয়, রাষ্ট্র সংস্কার যেহেতু দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়া, তাই ছায়া কমিশনগুলোর দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনাও রয়েছে। দীর্ঘ সময়ে সংস্কার কমিশনগুলোর নিজস্ব এরিয়াতে জাতীয় প্রয়োজনে এবং সংকটে এক্সপার্ট অপিনিয়ন দিবে। উদাহরণ স্বরূপ- নির্বাচন নিয়ে জটিলতা দেখা দিলে ছায়া নির্বাচন সংস্কার কমিশন কাজ করবে। প্রাথমিকভাবে ২০ বছরের কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে ছায়া সংস্কার কমিশন কাজ করছে।

ছায়া সংস্কার কমিশনের আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, টেকসই রাষ্ট্র সংস্কার উদ্যোগ হিসেবে ১১টি ছায়া কমিশন গঠন করা হয়েছে। এগুলো সরকারের সংস্কার কমিশনগুলোর বিকল্প হিসেবে কাজ করছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যেন কতৃত্ববাদী এবং ফ্যাসীবাদী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে, সে জন্য এ ১১টি কমিশন স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরবে। এভাবে বাংলাদেশকে নাগরিকবান্ধব একটি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সচেষ্ট থাকবে।

ছায়া সংস্কার কমিশনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার যে ধরনের সংস্কার কমিশন গঠন করেছে সেগুলোতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের সংশ্লিষ্টতা কম থাকায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এপ্রোচের প্রতিফলনের সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। তাই এ ছায়া সংস্কার কমিশনগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং বিদেশে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়য়ে গঠন করা হয়েছে, যাতে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে তাত্ত্বিক ও বাস্তব বিষয়ের আশা আকাঙ্ক্ষার সম্মিলন ঘটে।

তিনি আরো বলেন, সরকারের গঠিত কমিশনের সঙ্গে ছায়া কমিশনের মৌলিক পার্থক্যের জায়গা হলো, সরকারের গঠিত কমিশনগুলো পৃথকভাবে কাজ করছে এবং কমিশনগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা থাকতে পারে। অপরদিকে ছায়া সংস্কার কমিশনের ১১টি কমিশন একটি অপরটির সঙ্গে সমন্বয় করে গত চার মাস যাবত কাজ করছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাসিমা খাতুন বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের অগ্রণী ভুমিকা পালন করা উচিত। বর্তমান সময়ে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য এ ছায়া সংস্কার কমিশনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কর্মশালায় এক্সপার্ট হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ড. এস এম আলী রেজা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মেজবা-উল-আযম সওদাগর, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম।

আরো বক্তব্য উপস্থাপন করেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান সোহাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ান হোসাইন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সানভিন ইসলাম, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহনেওয়াজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাদিয়া আফরিন প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

১৫ লাখ টাকা নিয়েছিলো সাবেক প্রেমিকের থেকে তাহসানের স্ত্রী!  

ছবিঃ সংগৃহীত

একদিন আগেই খবর বেড়িয়েছে বিয়ে করেছে জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী তাহসান। তার হবু স্ত্রী'র পরিচয় নিয়ে আগ্রহ ছিল সবার। সেই পারদে হাওয়া লেগে সন্ত্রাসী বাবার পরিচয় সহ সাবেক প্রেমিকও বেড়িয়ে এসেছে এখন।

বেসরকারি একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দিয়েছে তাহসানের স্ত্রী রোজার সাবেক প্রেমিক, যদিও তার পরিচয় গোপন রাখতে অনুরোধ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের ৯ বছরের সম্পর্ক ছিল। সেখান থেকে এমন কিছু হবে আমি কখনো ভাবিনি। আমাকে ছ্যাঁকা দিয়ে চলে গেছে সে, তার বিদেশ যাওয়ার সময় আমি ১৫ লাখ টাকা দিয়েছি।

আমি ব্যথিত হইনি কিন্ত এটি ছিল অবিশ্বাস্য একটি ব্যাপার, প্রতারিত হয়েছি আমি। তিন মাস আগে আমাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়, ১ মাস আগেও সে ফোন দিয়ে সবকিছু ঠিক করতে চেয়েছিল। কিন্ত গতকাল মিডিয়ায় জানলাম এতকিছু হয়ে গেছে। আমাদের ব্রেকাপের কারণও তাহসান ছিলো।

তিনি আরো বলেন, ২০১৬ থেকে আমাদের সম্পর্ক ছিল। আমি গতকাল পর্যন্তুও কিছু জানতাম না। ৩ মাস হয়েছে আমাদের ব্রেকাপ হয়েছে কিন্ত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে জানলাম তাদের ১ বছর ধরে সম্পর্ক আছে। সম্পর্ক কতটা গভীর ছিলো সে সম্পর্কে বলেন , ৯ বছরের সম্পর্ক থাকলে যতটা গভীরতা থাকে ততটা ছিলো। আমাদের চাইল্ডহুড সম্পর্ক ছিলো। তার ক্যারিয়ারেও আমার অবদান আছে, আমেরিকা গেছে সেখানেও আমার অবদান আছে।

উম্মে হাবিবা রোজা থেকে রোজা আহমেদ পরিচয়ে আছে সে এখন, যেখানে আমার অবদান অনেক। তাহসানের স্ত্রী'র সাবেক প্রেমিক বিবাহিত কিনা জানতে চাইলে বলেন, আমাকে তো ছ্যাঁকা দিয়ে চলে গেছে সে। আপনারা নিশ্চই তার বাবা সম্পর্কেও জানেন, তার বাবা কিন্ত আওয়ামী লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিল। আওয়ামী লীগ আমলেই তাকে ক্রসফায়ার দেয়া হয়। সেই বাবার ধুরন্দর মেয়ে রোজা।

রোজার সাবেক প্রেমিক অনুরোধ করেন, এখন প্রচার করা হচ্ছে সে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটিকোলজি এর উপর ডিগ্রি অর্জন করেছে। কিন্ত নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে এই সাবজেক্টই নাই, আপনারা চাইলে অনুসন্ধান করতে পারেন। সে এইচএসসি পাশ করে ওখানে গেছে, এটা দিয়ে ওখানে ভর্তি হওয়া সম্ভব না। এই মিথ্যাচার তারা করে যাচ্ছে। ৯ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল, তার সবকিছুই আমার জানা আছে। আমি যে টাকা দিয়েছি তা ফেরত পাব নাকি জানি না। মিডিয়ার উচিৎ সত্য সামনে তুলে আনা। আমার আগেও তার একজন প্রেমিক ছিল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আজহারীকে জামায়াতে যোগ দিতে বললেন দুদু  
রাষ্ট্র সংস্কারে কাজ করছে ১১ ছায়া কমিশন  
১৫ লাখ টাকা নিয়েছিলো সাবেক প্রেমিকের থেকে তাহসানের স্ত্রী!  
৫০ বছর পর প্রকাশ্যে মেজর ডালিম, মুজিবকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য  
মুম্বাইয়ে ক্রাইম পেট্রোল অভিনেতাকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত
প্রথমবার জুটি বাঁধছেন আয়ুষ্মান-রাশমিকা
বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মঙ্গলবার রাতে লন্ডন যাবেন খালেদা জিয়া  
মারা গেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র  
আজই পদত্যাগ করতে পারেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো
শুধু মা ও সন্তানদের নিয়েও একটি নিখুঁত পরিবার হয় : পরীমণি
প্রশ্নফাঁস কান্ডের সেই আবেদের ব্যাংক হিসাবে ৪৫ কোটি টাকা লেনদেন
শেখ হাসিনাকে ‘কওমি মাতা’ আখ্যা দিয়ে তসলিমার সমালোচনা
গুচ্ছ পদ্ধতি এবং পোষ্য কোটা বাতিলসহ সাত দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি এস এ খালেক আর নেই
ভারতে সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, নিহত ৩
বিএনপির নামে চাঁদাবাজি করলেই আইনি ব্যবস্থা: এডভোকেট আহমেদ আযম খান
৫০ বিচারকের ভারতে প্রশিক্ষণে যাওয়া বাতিল
এবার শেখ রেহানার ছোট মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক ‘ফ্ল্যাট বিতর্কে’
এবার প্রেমের টানে নাটোরে এলেন মালয়েশিয়ার নারী
ইসরায়েলের কাছে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা বাইডেন প্রশাসনের