দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্র বিএনপির কাছে নিরাপদ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি বলেন,৯ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে সংসদীয় গণতন্ত্র দিয়েছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। আর আমাদের নেতা অভিভাবক তারেক রহমান ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছেন।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের বিন্যাফৈর স্কুল মাঠে দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ বারের চেয়ারম্যান নিহত রফিকুল ইসলাম ফারুকের ১১তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাবেক মন্ত্রী রাজ্জাক সাহেব বলে ছিলেন- বিএনপিকে বলা হয়েছিল যদি তারা নির্বাচনে আসে তাহলে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হবে না। কিন্তু আমাদের নেতা তারেক রহমান জনগণের অধিকারের কথা চিন্তা করে ওই ফ্যাসিস্ট হাসিনার সাথে কোন আপোষ করে নাই। বিএনপি গণ মানুষের দল, মানুষের কথা চিন্তা করেই পদক্ষে নেয়। জনগণও সবসময় বিএনপির সাথে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক ও গণতন্ত্রের পক্ষের দল। আমরা বুক ফুলিয়ে বলতে পারি আমরা কখনই জনগণের গণতন্ত্র হরণ করেনি।জনগণ আর বিএনপি পরিপূরক, বাংলাদেশ আর বিএনপি পরিপূরক। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বিএনপি থাকবে।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নিহত রফিকুল ইসলাম ফারুক হত্যার বিচার সম্পন্ন করা আশ্বাস দিয়ে আরও বলেন, যারা দলের দূর্দিনে দলের কাজ করেছেন তারা দলের নেতৃত্ব দিবে। যারা এখন আসবেন তারা দয়া করে দূর্দিনের কর্মীদের পিছনে থাকবেন। দলের মধ্যে কখনওই বিভেদ সৃষ্টি করার কাজে লিপ্ত হবেন না। লিপ্ত হলে দল করা কিন্তু আপনাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক আরও বলেছেন, ৯ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে সংসদীয় গণতন্ত্র দিয়েছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। আর আমাদের নেতা অভিভাবক তারেক রহমান ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছেন। নেতা কি আপোষ করেছেন, করেনি। ২৪ সালের অনেকেই ক্ষমতার লোভে ভাগাভাগির নির্বাচনে গিয়েছেন। জনগণ ভোট দেয় নাই। দেশ নায়ক তারেক রহমানকে অনেকভাবেই অফার করা হয়েছিল।
শহীদ রফিকুল ইসলাম ফারুক স্মৃতি সংসদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোটেক ফরহাদ ইকবাল, জেলা যুবদলের আহবায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীম, দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নিহতের ছোট ভাই লাবলু মিয়া প্রমুখ।