শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার প্রতিজ্ঞা ভিপি নুরের

গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, আমরা জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাজপথে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলব। জনগণের আকাংঙ্খা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হলে গণ অধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে নির্বাচনে অংশ নেবে। অল্প সময়ের মধ্যে গণ অধিকার পরিষদ দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে সাড়া ফেলেছে। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু হলে গণ অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হবে।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে সদস্য ফরম উন্মোচন ও শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বিনা ভোটে নির্বাচন করে বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের বুকে একটি কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। আজ সমস্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও দেশের মানুষ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। তাই বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে গণ-আন্দোলন গড়ে তুললে সরকার ১৯৯১-এর মতো তত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা মেনে নেবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ তৈরি করবে। গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সরবের কারণে সরকার এবার বিনা ভোটের নির্বাচন করতে পারবে না। আমরা মনে করি সরকারের এটা ইতিবাচক পদক্ষেপ। যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সেই স্বপ্ন আজও পূরণ হয়নি। টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকেও এ সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি। দেশের জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য গণ অধিকার পরিষদ সব বিরোধী দলকে নিয়ে রাজপথে যুগপৎ আন্দোলন করবে।

নুর আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি মিলে পর্যায়ক্রমে ৩১ বছর ক্ষমতায় ছিল। যে স্বপ্ন ও আকাঙ্খা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সেই স্বপ্ন তারা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকার টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকে উন্নয়নের কথা বলে দেশকে খাদের কিনারায় নিয়ে গেছে। খাদ্যদ্রব্য সহ জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সামনে রোজায় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়লে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ তৈরি হবে।

তিনি তিস্তা নদীর পানি চুক্তি প্রসঙ্গে বলেন, রংপুর একটি পিছিয়ে পড়া অঞ্চল। এখানে তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। দুঃখজনক যে, বর্তমান সরকারের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক থাকলেও ১৪ বছরে তিস্তা চুক্তি সম্পাদন করতে পারেনি। ভারতীয়রা আমাকে বলে তোমাদের সরকার বর্ডার কিলিং ও তিস্তা চুক্তি নিয়ে কূটনৈতিক পর্যায়ে জোরালো তৎপরতা চালায় না। এ নিয়ে সরকার ব্যর্থ রাজনৈতিকরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়ক হানিফ খান সজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল মিয়া মসিউর রহমান, ইসহাক সিদ্দিকী, বিপ্লব কুমার পোদ্দার, মাহফুজার রহমান, সহকারী সদস্য সচিব মাসুদ মোন্নাফ, ইব্রাহিম খোকন।

পরে সদস্য ফরম উন্মোচন এবং শীতবস্ত্র বিতরণ করেন ভিপি নুর।

/এএস

Header Ad
Header Ad

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিনকে আটক করেছে রমনা থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে দিলশাদ আফরিনকে রাজধানী থেকে আটক করা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সংগঠনের শৃঙ্খলা ও আদর্শ পরিপন্থী কাজের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দিলশাদ আফরিনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড জাতীয় নাগরিক কমিটির নিয়ম ও আদর্শের পরিপন্থী ছিল। সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের যৌথ সুপারিশে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর।

অভ্যন্তরীণ তদন্তে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ বলছে, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ডলারের বড় পতন, রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক বাজারে। আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) মার্কিন ডলারের দামে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারীরা এখন নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সুইস ফ্রাঙ্ক ও স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছেন।

চলতি সপ্তাহের শুরুতেই মার্কিন সরকারি বন্ডের দাম পড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছিল, যা আবারও প্রকট হয়েছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এই অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ সম্পদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ফলে, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতি ট্রয় আউন্স (২.৬৭ ভরি) স্বর্ণের দাম ৩,২০০ মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ লাখ ৮১ হাজার ৯৮ টাকা। অন্যদিকে, সুইস ফ্রাঙ্ক গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে পৌঁছেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শুল্কযুদ্ধ যদি দীর্ঘায়িত হয়, তবে তা শুধু দুই দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না—গোটা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এর বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আন্তর্জাতিক শেয়ারবাজার ও মুদ্রাবাজারে এরই মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে রপ্তানিনির্ভর দেশগুলোতে মুদ্রা মানের তারতম্য বাণিজ্যকে জটিল করে তুলতে পারে।

ডলারের এই পতন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মূল্যসূচক, আমদানি-রপ্তানি ব্যয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় নতুন করে কৌশল নির্ধারণের প্রয়োজন দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

Header Ad
Header Ad

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৪৭ দেশ, বাড়ছে বিশ্বজনমত

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন ক্রমেই বাড়ছে। চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনের মধ্যেই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৭-এ। জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে এ সংখ্যাটি প্রায় ৭৫ শতাংশ, যা আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ফিলিস্তিন প্রশ্নকে এক নতুন মাত্রায় উন্নীত করেছে।

গাজায় ইসরাইলি হামলার তীব্র প্রতিবাদে বিশ্বের নানা দেশের সরকার ও জনগণ ফিলিস্তিনের সার্বভৌমত্বের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। শুধু চলতি বছরেই ১০টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে। ফ্রান্সও শিগগির একই পথে হাঁটার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর নিজ ভূখণ্ডে সার্বভৌমত্ব হারায় ফিলিস্তিনিরা। ১৯৮৮ সালের ১৫ নভেম্বর প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশনের (পিএলও) চেয়ারম্যান ইয়াসির আরাফাত জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। সে সময় ৮০টি দেশ—বিশেষ করে আরব, এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার অনেক দেশ তাৎক্ষণিক স্বীকৃতি দেয়।

এরপর ৯০-এর দশক থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ৩২টি দেশ—যাদের মধ্যে ছিল চীন, রাশিয়া ও তুরস্কের মতো প্রভাবশালী রাষ্ট্র—ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। ২০১১ সালে আফ্রিকার অধিকাংশ দেশও ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ায়। ২০১২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বিপুল ভোটে ফিলিস্তিন পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা পায়, যেখানে ১৩৮টি দেশ সমর্থন জানায়।

সর্বশেষ, চলতি বছর মার্চে মেক্সিকো ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। স্পেনসহ একাধিক ইউরোপীয় দেশও এখন ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশের স্বীকৃতি মধ্যপ্রাচ্যে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের দাবিকে আরও জোরালো করেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতির মঞ্চে ফিলিস্তিন প্রশ্ন এখন শুধুমাত্র মানবিকতার নয়, বরং সার্বভৌমত্ব, ন্যায়বিচার এবং আন্তর্জাতিক আইন প্রতিষ্ঠার এক চূড়ান্ত পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক
বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ডলারের বড় পতন, রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৪৭ দেশ, বাড়ছে বিশ্বজনমত
মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চীনের পাল্টা জবাব
নারায়ণগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
ফুটবল মাঠ পেরিয়ে হলিউডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
পুলিশের চাকরি পেতে সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন: সারজিস
ড. ইউনূসের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই: সেলিমা রহমান
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে বগুড়া, গণশুনানির প্রস্তুতি শুরু
বাংলাদেশ পুলিশের নতুন লোগো প্রকাশ
মঙ্গল শোভাযাত্রার নতুন নাম ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’
সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে ‘চোর’ বললেন সিদ্দিকী নাজমুল
গোপনে ঢাকামুখী হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, আবারও অস্থিরতার আশঙ্কা
ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে রাজধানীতে ‘রাইড ফর প্যালেস্টাইন’ র‌্যালি
মিঠাপুকুরে দিনদুপুরে অটো ছিনতাইয়ের চেষ্টা, হাতেনাতে ধরা ৩ জন
দুপুরের মধ্যে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে দেশের চার অঞ্চলে
কারাগারে মিস আর্থ বাংলাদেশ বিজয়ী অভিনেত্রী মেঘনা আলম
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদ মিছিলে গিয়ে বিএনপি নেতার মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রে নদীতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, শিশুসহ নিহত ৬