শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

সরকারের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে মান্নার আহ্বান

খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জনবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

ক্ষমতাসীন সরকারকে জনবিরোধী উল্লেখ করে মান্না বলেন, দেশের অর্থনীতির এই মহা সংকটের মধ্যে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সামগ্রিকভাবে দেশকে আরও সংকটের দিকে নিয়ে যাবে। জনজীবন আরও বিপর্যস্ত হবে। সরকার এবং সরকারি দলের মদদপুষ্টদের লুটপাটের খেসারত দিচ্ছে সাধারণ জনগণ। রেন্টাল–কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন এবং দফায় দফায় এর মেয়াদ বাড়ানোর মাধ্যমে কেবলমাত্র ক্ষমতাসীনদের অনুগত এবং মদদপুষ্ট ব্যবসায়ীদের ব্যাপক আয়ের পথ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। কোনো বিদ্যুৎ না নিয়েই গত ১১ বছরে সরকার বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। গত ৩ বছরেই দেয়া হয়েছে ৫৪ হাজার কোটি টাকা। এই স্বজনতোষী ব্যবস্থার বৈধতা দিতে সংসদের মাধ্যমে ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এসব কথা বলেন সাবেক এই ছাত্রনেতা।

মান্না বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের গত ১৪ বছরের শাসনামলে খুচরা এবং পাইকারি উভয় পর্যায়ে ১১ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অসহনীয় দামে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠছে। জনগণের ক্রয়-ক্ষমতা কমেছে। কিছুদিন আগে পাইকারি পর্যায়ে বাড়ানো হয়েছিল বিদ্যুতের দাম। এতে শিল্পে উৎপাদন খরচ বেড়েছিল। এখন ভোক্তা পর্যায়ে বাড়ানোর ফলে অতিরিক্ত খরচ সমন্বয় করতে জনগণের ক্রয়-ক্ষমতা কমবে। যার প্রভাব পড়বে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে।

ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, বিগত ১৪ বছরে সরকার এবং সরকারি দলের মদদপুষ্টরা দেশ থেকে ১০ লাখ কোটি টাকার বেশি পাচার করেছে। সরকারের কাছে দেশ চালানোর টাকা নেই। মাসে মাসে টাকা ছাপিয়ে তারা ব্যয় নির্বাহ করছে৷ এভাবে সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেশকে দেউলিয়াত্বের পথে ধাবিত করছে অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার। দেশকে বাঁচাতে, দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে এখনই এই সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে৷

গণতন্ত্র মঞ্চের পরবর্তী কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে মান্না বলেন, আমরা ধারণা করছিলাম সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। একারণে গত ১১ জানুয়ারির গণ অবস্থান থেকেই আমরা যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে বিদ্যুতের দামবৃদ্ধির পায়তারার প্রতিবাদে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সামনে অবস্থান এবং বিক্ষোভের ডাক দিয়েছি। দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে স্বৈরাচার সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য ১৬ জানুয়ারির অবস্থান এবং বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি এবং সেই সাথে অবৈধ ক্ষমতাসীনদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে তীব্র গণ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানাচ্ছি।

এমএইচ/এএস

Header Ad
Header Ad

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইউরোপিয়ান-মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চলে। বাংলাদেশের কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৬৮ কিলোমিটার উত্তর ও ভারতের আগরতলা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার উত্তরে ভূমিকম্পটির কেন্দ্র নির্ণয় করা হয়েছে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে এ কম্পনের উৎস ছিল। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪।

ভূমিকম্পের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক মানুষ নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। কেউ কেউ আতঙ্কিত হয়ে ঘর ছেড়ে বাইরে চলে যান এবং একে অপরকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। তবে সরকারি পর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিনকে আটক করেছে রমনা থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে দিলশাদ আফরিনকে রাজধানী থেকে আটক করা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সংগঠনের শৃঙ্খলা ও আদর্শ পরিপন্থী কাজের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দিলশাদ আফরিনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড জাতীয় নাগরিক কমিটির নিয়ম ও আদর্শের পরিপন্থী ছিল। সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের যৌথ সুপারিশে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর।

অভ্যন্তরীণ তদন্তে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ বলছে, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ডলারের বড় পতন, রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক বাজারে। আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) মার্কিন ডলারের দামে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারীরা এখন নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সুইস ফ্রাঙ্ক ও স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছেন।

চলতি সপ্তাহের শুরুতেই মার্কিন সরকারি বন্ডের দাম পড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছিল, যা আবারও প্রকট হয়েছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এই অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ সম্পদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ফলে, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতি ট্রয় আউন্স (২.৬৭ ভরি) স্বর্ণের দাম ৩,২০০ মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ লাখ ৮১ হাজার ৯৮ টাকা। অন্যদিকে, সুইস ফ্রাঙ্ক গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে পৌঁছেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শুল্কযুদ্ধ যদি দীর্ঘায়িত হয়, তবে তা শুধু দুই দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না—গোটা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এর বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আন্তর্জাতিক শেয়ারবাজার ও মুদ্রাবাজারে এরই মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে রপ্তানিনির্ভর দেশগুলোতে মুদ্রা মানের তারতম্য বাণিজ্যকে জটিল করে তুলতে পারে।

ডলারের এই পতন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মূল্যসূচক, আমদানি-রপ্তানি ব্যয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় নতুন করে কৌশল নির্ধারণের প্রয়োজন দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক
বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ডলারের বড় পতন, রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৪৭ দেশ, বাড়ছে বিশ্বজনমত
মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চীনের পাল্টা জবাব
নারায়ণগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
ফুটবল মাঠ পেরিয়ে হলিউডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
পুলিশের চাকরি পেতে সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন: সারজিস
ড. ইউনূসের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই: সেলিমা রহমান
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে বগুড়া, গণশুনানির প্রস্তুতি শুরু
বাংলাদেশ পুলিশের নতুন লোগো প্রকাশ
মঙ্গল শোভাযাত্রার নতুন নাম ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’
সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে ‘চোর’ বললেন সিদ্দিকী নাজমুল
গোপনে ঢাকামুখী হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, আবারও অস্থিরতার আশঙ্কা
ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে রাজধানীতে ‘রাইড ফর প্যালেস্টাইন’ র‌্যালি
মিঠাপুকুরে দিনদুপুরে অটো ছিনতাইয়ের চেষ্টা, হাতেনাতে ধরা ৩ জন
দুপুরের মধ্যে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে দেশের চার অঞ্চলে
কারাগারে মিস আর্থ বাংলাদেশ বিজয়ী অভিনেত্রী মেঘনা আলম
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদ মিছিলে গিয়ে বিএনপি নেতার মৃত্যু