শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫ | ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

'প্রয়াত নেতাদের আদর্শ অনুসরণ করেই সংগঠন এগিয়ে যাবে, সেটাই চাই'

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যেহেতু জনগণের সংগঠন, আর সাজেদা চৌধুরীর মতো অসংখ্য নিবেদিত নেতাকর্মীরা এই সংগঠনের হাল ধরে ছিল বলেই চরম দুঃসময়েও এই সংগঠন কখনও দিক হারায়নি। নীতি আদর্শ নিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছে। আশাকরি আমাদের যারা নেতৃবৃন্দ আছেন তারা কিন্তু প্রয়াত নেতাদের আদর্শ মাথায় রেখেই সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন সেটাই আমি চাই।

রবিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে সংসদ অধিবেশনে প্রয়াত সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী ও শেখ এ্যানি রহমানের উপর আনিত শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগে যে অবদান রেখে গেছেন তা ভুলার নয়। চরম দুর্দিনে আওয়ামী লীগের হাল ধরা এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেছেন। বার বারই আওয়ামী লীগের উপর আঘাত এসেছে। পাকিস্তানের সময় মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের উপরই আঘাত এসেছে। সাজেদা চৌধুরী নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করেছেন। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ক্যাম্পের নেতৃত্বে যেমন ছিলেন তেমন মুক্তিযোদ্ধাদেরও সংগঠিত করেছেন, খোঁজখবর নিয়েছেন। স্বাধীনতার সংগ্রামে যেমন তার অবদান রয়েছে। আমাদের জাতীয় জীবনেও তার অবদান রয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর তো আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর উপর অকথ্য নির্যাতন নেমে আসে। সাজেদ চৌধুরীও এর শিকার। জিয়াউর রহমান তাকে গ্রেপ্তার করে। তার অপারেশন হয়েছিল গায়ে জ্বর ছিল এই অবস্থায় জিয়াউর রহমান তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। মতিয়া চৌধুরীকেও গ্রেপ্তার করে। তিনিও অসুস্থ ছিলেন। তাদেরকে ডিভিশনও দেয়নি। সাধারণ কয়েদির মতো জেলে ফেলে রাখে। এদেশের প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে সাজেদা চৌধুরী সব সময় সামনে থাকতেন। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি দিল্লী গিয়েছিলেন আমার সঙ্গে দেখা করতে। আমরা তাকে ফুফু বলে ডাকতাম। জিয়াউর রহমান আইন করেছিল পার্টির রেজিস্ট্রেশনে কারও নাম দেওয়া যাবে না। কিন্তু এব্যাপারে সাজেদা চৌধুরী অটল ছিলেন। তিনি বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু ছাড়া পার্টি হয় না। আমাদের দলের মধ্যেও কারও কারও দ্বিধাদ্বন্দ ছিল, কিন্তু এব্যাপরে অটল ছিলেন সাজেদা চৌধুরী। বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল জিয়াউর রহমান, তাই এই আইন করেছিল।

সংসদ নেতা বলেন, আমি দেশে আসার পর তাকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সব কাজ তিনি সুচারুরূপে করতেন। আমরা ক্ষমতায় আসার পর তাকে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী বানিয়েছিলাম। সুন্দরবন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হয়েছে এর অবদান সাজেদা চৌধুরীর। তিনি সুন্দরবনকে সাজিয়েছিলেন। তিনিও পুরস্কার পেয়েছিলেন। প্রায় দুই দশক ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্ত পরিবেশ ছিল। ৭৫ এর পর যে সংঘাত শুরু হয় সেই সংঘাতের হাত থেকে রক্ষার জন্য আমরা ক্ষমতায় এসে শান্তি চুক্তি করি। ১ হাজার ৮০০ অস্ত্রধারী আমার কাছে অস্ত্র সমার্পণ করে। কোথাও এটা দেখা যায় না। আমার প্রত্যেকটি কাজে তিনি সহযোগিতা করতেন। পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সংবিধান সংশোধনেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

সংসদ নেতা বলেন, ছাত্র রাজনীতি যখন করতাম তখন থেকেই তাকে চিনতাম। তিনি বেশি বয়সে লেখাপড়া করেন। তিনি একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী মুক্তিযোদ্ধা। তাকে হারিয়ে আওয়ামী লীগ একজন নিবেদিত প্রাণ নেতাকে হারালো। আমি আমার চলার পথে তাকে সব সময়ই পাই। ফুফু বলতাম। তিনি চলে যাওয়াতে শুধু আওয়ামী লীগের নয়, দেশেরও ক্ষতি হয়েছে। বয়স হয়েছে আমাদেরও চলে যেতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, একে একে সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে। বয়স হয়ে গেছে যেতেই হবে। হয়তো আমিও একদিন চলে যাব। তবে যে যেটা করেছে আমাদেরতো স্মরণ করতেই হবে। জিয়াউর রহমানের অত্যাচার নির্যাতনের শিকার আমাদের আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী। শুধু আওয়ামী লীগ কেন আমাদের বিরোধী দলের যারা আছে বিরোধী দলের নেতা যিনি, রওশন এরশাদ, জেনারেল এরশাদ, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু থেকে যারাই আছে তারা কিন্তু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সাজেদা চৌধুরী বা মতিয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে জিয়াউর রহমান ডিভিশন না দিয়ে ফেলে রেখেছে। ঠিক খালেদা জিয়া একই কাজ করেছিল। রওশন এরশাদ তিনি তো মাস্টার্স ডিগ্রি পাস। প্যানাল কোডে আছে মাস্টার ডিগ্রি পাস হলে ডিভিশন দিতে হয়। রওশনকে সেটা দেওয়া হয়নি। সাধারণ কয়েদিদের সাথে তাকে ফেলে রেখেছিল। একদম সাধারণ কয়েদিদের সাথে। আমরা তো তাও খালেদা জিয়াকে অসুস্থ বলে বাড়ি থাকার সুযোগ দিয়েছি। নির্বাহী আদেশে তার শাস্তি প্রাপ্তি স্থগিত রেখে বাসায় থাকার সুযোগ করে দিয়েছি। একটা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটা করা। একজন বয়ঃবৃদ্ধ মানুষ। খালেদা জিয়া কিন্তু সেটা করে নাই। বিমান বাহিনীর প্রধান জামাল উদ্দিন তাকে গ্রেফতার করে তার নামে একটা ঘড়ি চুরির মামলা দিয়ে কোন ডিভিশন না দিয়েমাত্র ২ টি কম্বল দিয়ে তাকে জেলখানায় পাঠিয়েছিল। এইভাবে মানুষকে তারা অত্যাচার করেছে নির্যাতন করেছে। জাতীয় পার্টি বোধ হয় সেই নির্যাতনের কথা ভুলেই গেছে এখন। ভুলে গেছে অনেকে সেটা।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ তো সবার আগে নির্যাতিত। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, জেনারেল এরশাদ সবাই আওয়ামী লীগের উপর নির্যাতন করেছে।

আলোচনায় আরও অংশ নেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মুহাম্মদ ফারুক খান, আ স ম ফিরোজ, বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের, বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, মসিউর রহমান রাঙ্গা, আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শাজাহান খান, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ওয়াসিকা আয়শা খান।

এসএম/এএস

Header Ad
Header Ad

আমেরিকার কাছে কৃতজ্ঞ, ট্রাম্পকে ধন্যবাদ: জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে গত শুক্রবার বৈঠকের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এদিকে বাকবিতণ্ডাময় নাটকীয় বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

শনিবার (১ মার্চ) পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি লেখেন, "আমেরিকার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, কংগ্রেস এবং সকল আমেরিকান জনগণকে ধন্যবাদ। বিশেষভাবে যুদ্ধের তিন বছর ধরে যে সমর্থন আমেরিকা আমাদের দিয়েছে, তার জন্য আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব।" তিনি আরও যোগ করেন, "ইউক্রেনের জনগণ এই সমর্থনের জন্য সবসময় কৃতজ্ঞ থাকবে।"

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যে আমেরিকার সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এটি জেলেনস্কির সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে পরিষ্কার হয়ে ওঠে। যদিও বৈঠকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল, তবুও তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চান। তিনি বলেন, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যুদ্ধ শেষ করতে চান, কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমরা ইউক্রেনবাসীরা প্রথমে শান্তি চাই। এটি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ। আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ।"

 

শুক্রবারের বৈঠকে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডার পর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার এক পোস্টে দাবি করেন, "আমেরিকা শান্তি চাইলেও, জেলেনস্কি শান্তি চান না।"

বৈঠকে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য দায়ী করেন এবং বলেন, "তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি বাড়িয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছেন।"

তবে, জেলেনস্কি পোস্টে ট্রাম্পের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি আমেরিকার বিরুদ্ধে সরাসরি কিছু না বলার চেষ্টা করেছেন, এবং আলোচনার রাস্তা খুলে রাখতে চেয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের এমন আচরণ তার কূটনৈতিক শিষ্টাচারেরই অংশ, যাতে ভবিষ্যতে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত রাখা সম্ভব হয়।

Header Ad
Header Ad

রমজান মাসে শুটিং করি না, ইবাদতে মশগুল থাকি: প্রিয়াঙ্কা

মডেল-অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান। ছবি: সংগৃহীত

এ প্রজন্মের মডেল-অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান শুধু মডেলিংয়ের দুনিয়ায় নয়, নাটক ও চলচ্চিত্রেও সমান তালে কাজ করছেন। শোবিজে তার ক্যারিয়ারের শুরু উপস্থাপনা দিয়ে, এরপর নাটক, মিউজিক ভিডিও এবং বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনটি নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও, রমজান মাসে তার জীবন একেবারে আলাদা।

রমজান মাস আসন্ন, আর প্রিয়াঙ্কা জামান জানালেন, এই পবিত্র মাসে তার শুটিংয়ের সমস্ত কার্যক্রম সীমিত থাকে। ইবাদত এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোই এখন তার প্রথম অগ্রাধিকার। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “রমজান মাসে আমি শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদত করব, নামাজ পড়ব, এবং পরিবারের সাথে সময় কাটাব। শুটিংয়ের কাজ আমি একেবারে বন্ধ করে দেই। যদি কোনো ধারাবাহিক নাটক শুটিংয়ে থাকে, তবে সেটির কাজ আমি করব, কিন্তু অন্য কোনো শুটিং আমি করব না।”

তিনি আরও বলেন, “এই এক মাসে আমি নিজের প্রতি যত্ন নিই, শরীর ও মনকে বিশ্রাম দিই, এবং পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে ইবাদতে মশগুল থাকি।”

মডেল-অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে প্রিয়াঙ্কা জামান তিনটি নাটকে অভিনয় করছেন। দুটি একক নাটক হচ্ছে ‘বিয়ে বাড়ির গল্প’ এবং ‘এতিম বউ’, যেখানে তার বিপরীতে রয়েছেন চিত্রনায়ক অনিক রহমান অভি। এই নাটক দুটি পরিচালনা করেছেন বকুল আহমেদ। আরেকটি নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘ভাইরাল গ্রাম’এও কাজ করছেন, যা পরিচালনা করেছেন মারুফ আহমেদ রিজভী খান। এতে তার সহশিল্পী হিসেবে আছেন প্রাণ রায় ও সাব্বির আহমেদ।

প্রিয়াঙ্কা জামান অভিনয়ের পাশাপাশি এক নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি সম্প্রতি ‘কিউট অ্যান্ড ক্ল্যাসি’ নামে একটি ফ্যাশন হাউজের শোরুম উদ্বোধন করেছেন, যেখানে বিশ্বমানের ব্র্যান্ডের পোশাক, কসমেটিকস এবং এক্সক্লুসিভ আইটেম পাওয়া যাবে।

নাটক, মিউজিক ভিডিও এবং চলচ্চিত্রে ৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করা প্রিয়াঙ্কা জামান শোবিজের এক আলোচিত নাম। এখন তিনি তার শোরুমের মাধ্যমে নতুন দিগন্তের দিকে পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

Header Ad
Header Ad

প্রেমের টানে ষাটোর্ধ্ব মোতাসিনের কাছে ছুটে এলেন ইউক্রেনের নারী

কুমিল্লা নগরের ব্যবসায়ী মোতাসিন বিল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে ইউক্রেনের নাগরিক সালো নাদিয়া। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চর্থা বড় পুকুরপাড়ের বাসিন্দা মোতাসিন বিল্লাহ চৌধুরী (৬৩) এবং চেক প্রজাতন্ত্রে বসবাস করা ইউক্রেনের নাগরিক সালো নাদিয়ার (৫০) প্রেমের গল্পটা আজ সত্যি হয়ে উঠেছে। পাঁচ বছরের পরিচয়, তিন বছরের প্রেম, এবং অবশেষে বিয়ে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হওয়া এই জুটি একে অপরের প্রতি ভালোবাসা এবং বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, নাদিয়া বাংলাদেশে এসে পৌঁছান এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি তারা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে নিজেদের সম্পর্ককে দাম্পত্য জীবনে রূপ দেন। মোতাসিন বিল্লাহ পেশায় ব্যবসায়ী হলেও, তার ভালোবাসার মানুষ সালো নাদিয়া একজন মনোবিদ। বিয়ের পর তারা কুমিল্লায় একত্রে বসবাস শুরু করেন।

মোতাসিন বিল্লাহ জানান, ২০১৯ সালে ফেসবুকে নাদিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসা তৈরি হয়। একসময় মোতাসিন নাদিয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে নাদিয়া সানন্দে তা গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে সুন্দর বোঝাপড়া এবং সম্পর্কের গভীরতা তৈরি হয়, যা একে অপরের প্রতি বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন করে।

নাদিয়া ১৫ বছর ধরে চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে বাস করছেন এবং সেখানে মনোবিদ হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ইউক্রেনীয় ও স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলতে পারেন, তবে মোতাসিনের সঙ্গে ইংরেজিতে যোগাযোগ করেন। যদিও বাংলায় দক্ষতা নেই, মোতাসিন তার স্ত্রীকে ধীরে ধীরে বাংলার শিক্ষার প্রতি আগ্রহী।

নাদিয়া বাংলাদেশ সম্পর্কে খুবই ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। তিনি বিশেষভাবে বাংলাদেশের পোশাক এবং কুমিল্লার রসমালাইকে পছন্দ করেন, তবে অতিরিক্ত ঝাল খাবার তাকে একটু অস্বস্তি দেয়। বাংলাদেশে তার কিছুটা অনুকূল নয় এমন দিক হলো এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং জলবায়ু, তবে তিনি এখানকার মানুষের আন্তরিকতা এবং সংস্কৃতি খুবই প্রশংসা করেছেন।

মোতাসিন বিল্লাহ ও সালো নাদিয়া বলেন, তারা একে অপরের সাথে সুখী জীবন কাটাতে চান এবং সবার কাছে তাদের জন্য দোয়া চেয়েছেন। নাদিয়া কিছুদিন বাংলাদেশে থাকবেন, তারপর চেক প্রজাতন্ত্রে ফিরে যাবেন। সেখানে গিয়ে মোতাসিন বিল্লাহ ভিসার জন্য চেষ্টা করবেন, যাতে তিনি তার স্ত্রীর কাছে আসা-যাওয়া করতে পারেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমেরিকার কাছে কৃতজ্ঞ, ট্রাম্পকে ধন্যবাদ: জেলেনস্কি
রমজান মাসে শুটিং করি না, ইবাদতে মশগুল থাকি: প্রিয়াঙ্কা
প্রেমের টানে ষাটোর্ধ্ব মোতাসিনের কাছে ছুটে এলেন ইউক্রেনের নারী
পবিত্র রমজানে হিংসা-বিদ্বেষ-সংঘাত পরিহারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
১৪তম সন্তানের বাবা হলেন ইলন মাস্ক
৫ ডিসেম্বর নির্বাচন হলে ভালো হয়: আযম খান
জাতীয় নাগরিক পার্টির কোনো রাজনৈতিক দর্শন পাইনি: রিজভী
খাদ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে: প্রেস সচিব
দেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, কাল থেকে রোজা শুরু
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির মধ্যে পার্থক্য কোথায়, প্রশ্ন নুরের
ভোট কারচুপিতে জড়িত ইউএনওদের বিচারের আওতায় আনতে হবে : ফারুক
শ্মশানের যায়গা দখল ও মন্দিরে ডাকাতি করেছে আ'লীগ: আব্দুস সালাম
৪৫ দিনের মধ্যে শুরু হবে শেখ হাসিনার বিচার কাজ: চিফ প্রসিকিউটর
মেট্রোরেলের নতুন নির্দেশনা: রমজানে বহন করা যাবে ২৫০ মিলি পানি
চট্টগ্রামে 'ভুয়া পুলিশ' বলে এসআইকে মারধর ও ছিনতাই, গ্রেপ্তার ২
পল্লবী থেকে চায়নিজ রাইফেলের ৩০০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
জামিল আহমেদের কথা সব সত্য নয়, কিছু ডাহা মিথ্যা: ফারুকী
দেশে একমাত্র শান্তির দল হলো বিএনপি: শাহজাদা  
ভারতীয়রা সীমান্ত আইন না মানলে বিজিবি আরো কঠোর হবে : ডিজি
রমজানে ঢাকায় ২৫টি স্থানে ৬৫০ টাকায় মিলবে গরুর মাংস