মুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া রাষ্ট্র দাঁড়াতে পারে না: মির্জা ফখরুল
একটা মুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া একটি রাষ্ট্র কখনো সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার (২২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গণতন্ত্র হত্যায় গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ আইন, প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে বিএনপি।
তিনি বলেন, বিএনপি সব সময় চেষ্টা করেছে গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করার। বিএনপি বিশ্বাস করে স্বাধীন গণমাধ্যম ছাড়া গণমাধ্যমকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে রূপ দেওয়া সম্ভব নয়। সেই বিশ্বাস থেকেই বিএনপির কাজ করে আসছে। আমরা দল হিসেবে বিশ্বাস করি- একটা মুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া একটি রাষ্ট্র কখনো সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে মুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া সম্ভব নয়।
ফ্যাসিবাদের সঙ্গে গণতন্ত্রের লড়াই সহজ নয় মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। এটা শুধু আমাদের কথা নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে হিউম্যান রিপোর্ট সেখানেও পরিষ্কার করে বলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে যে মামলা-সাজা সেটা মিথ্যা। এ দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। আমাদের ছয় শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন আমরা ফ্যাসিবাদী নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করে যাচ্ছি। শুধু আমরা নই, আজকে রাষ্ট্র বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। আমরা যদি সর্বক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারি, তাহলে এর থেকে মুক্ত হওয়ার কোনো পথ নেই। সেজন্য সাংবাদিকরা তাদের দায়িত্ব পালন করবে রাজনীতিবিদরা তাদের দায়িত্ব পালন করবে যাতে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে আনতে পারি। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী কারণ বাংলাদেশের মানুষ কখনো পরাজিত হয় না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।
বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সোহরাব হাসান, রুহুল আমিন গাজী, কামাল উদ্দিন সবুজ, আব্দুল হাই শিকদার, এম, আব্দুল্লাহ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, সরদার ফরিদ, ইলিয়াস খান, কাদের গনি চৌধুরী, বাকের হোসেন, ইলিয়াস হোসেন, রফিকুল ইসলাম আজাদ, মুরসালিন নোমানী, শফিক আহমেদ প্রমুখ।
এসএন