পদ্মা সেতুর কথা শুনলে বিএনপি নেতাদের মুখ কালো হয়: কাদের
সরকার পরিবর্তন করতে চাইলে নির্বাচনই একমাত্র পথ বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ’সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় নির্বাচন। নির্বাচননে আসেন শেখ হাসিানার সৎ সাহস আছে, তিনি বলেছেন আমি যদি হেরে যাই আমি চলে যাব। আপনারা নির্বাচনে আসেন জিতুন কে নিষেধ করেছে? আসবেন তো এতো পানি ঘোলা করছেন কেন?’
রবিবার (২২ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মৎস্যজীবী লীগের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যাকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। তিনি বাংলাদেশের একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। তার বিরুদ্ধে ১৩ বছর ধরে কত আন্দোলনের ডাক, কত ষড়যন্ত্র, কত সন্ত্রাস, আগুণ সন্ত্রাস থেকে শুরু করে বাংলাদেশের ভূমি অফিস পর্যন্ত পুড়িয়েছে, এরা দেশ প্রেমিক? যারা ভূমি অফিসে আগুণ দেয়, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুণ দেয়, এরা কি দেশ প্রেমিক?
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘সন্ত্রাসী কাকে বলেন? সন্ত্রাসী তো আপনারা। আগুণ সন্ত্রাসের হোতা বিএনপি। এদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। কত মানুষকে আগুনে পুড়িয়েছে। বাসে আগুণ। বাস চালক, সিএনজি চালক, পার্কিং করা বাসে আগুণ দিয়েছে কে? বিএনপি। তারা আজ বড় বড় কথা বলে। তারা শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বলে, এটা কি জনগণের দাবি? বিএনপির দাবিতে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবে কেন? পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য পদত্যাগ করবেন? এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য পদত্যাগ করবেন? মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য পদত্যাগ করবেন? বাংলাদেশকে পরমাণু বিশ্বে সদস্য করার জন্য পদত্যাগ করবেন? ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য পদত্যাগ করবেন? ছিটমহল সমস্যার শান্তিপূর্ণ বিনিময় যিনি করেন তিনি কি পদত্যাগ করবেন? বাংলাদেশের মতো আর এক বাংলাদেশ, সুনিল সমুদ্র বিজয় যিনি করেছেন তিনি পদত্যাগ করবেন? তিনি সারা বাংলার প্রতিটি গ্রাম শত ভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন, তিনি কি পদত্যাগ করবেন? জনগণ কি তার পদত্যাগ চায়? বিএনপির কথা শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবে না।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ বিএনপি নেতারা। তাদের আজকে টপ টু বটম পদত্যাগ করা উচিত। শেখ হাসিনার সফলতা আছে। তারা (বিএনপি নেতারা) ব্যর্থ। ব্যর্থতার জন্য তারা পদত্যাগ করবেন। সফল প্রধানমন্ত্রী তিনি বাংলার জনগণের ইচ্ছায় ক্ষমতায় আছেন। এখনো জনপ্রিয়তায় শতকরা ১০০ এর মধ্যে ৯০ ভাগ। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে আছেন। সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন, প্রশংসিত হচ্ছেন।
বিএনপি বলেছেন এই সরকারের অধিনে নির্বাচনে যাবেন না। নির্বাচন যাবেন না গত বারও বলেছিলেন শেষ পর্যন্ত পানি ঘোলা করে ঠিকই গেছেন। সময় আসলে এবারও যাবেন। এখন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা অপচেষ্টা করছে বিএনপি। দেশের মানুষ ভালো আছে, বিএনপির মন খারাপ। মানুষ ভালো থাকলে বিএনরি মন খারাপ। শেখ হাসিনার উন্নয়ন বিএনপির জ্বালা। আগামী মাসে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে, এক কথা শুনলেই মুখ কালো হয়ে যায়।
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব, চিৎকার করে লাভ নেই। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা ছাড়ার অন্য কোন বিকল্প পথ নাই। কাজেই সরকার পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসতে হবে। সোজা পথে আসেন, বাঁকা পথে গেলে হবে না। আগুন সন্ত্রাস করে নিজেদের জনপ্রিয়তা যা ছিল সেটাও হারিয়েছেন।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্কর প্রমুখ।
এসএম/এমএমএ/