‘অরাজকতা আড়ালে ছাত্রদল সভাপতিকে গ্রেপ্তারে মরিয়া সরকার’
আওয়ামী লীগ সরকার কোনোদিনই রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
শনিবার (২১ মে) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কোনোদিনই রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে ছিল না। তাদের রাজনৈতিক শিষ্টাচারহীনতার বহু উদাহরণ এদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। সেই তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হলো ছাত্রদল সভাপতিকে বিনা কারণে বারবার গ্রেপ্তারে হয়রানির অপচেষ্টা। একই সঙ্গে সম্প্রতি অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর নির্মাণের কৃতিত্ব জাহির করার সময় সভ্যতা বিবর্জিতভাবে খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতুর উপর থেকে ঠুস করে নিচে ফেলে দেওয়া ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. ইউনুসকে পদ্মা নদীতে চুবানোর যে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তা অত্যন্ত ভয়ংকর কিছুর ইঙ্গিত। এ বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানা তিনি।
জুয়েল বলেন, ছাত্রলীগের অপকর্ম আর দেশজুড়ে চলমান অরাজকতাকে আড়াল করতেই সরকার পরিকল্পিতভাবে ছাত্রদল সভাপতিকে গ্রেপ্তারের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। অবৈধ সরকারের ছত্রছায়ায় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগের লাগামহীন আধিপত্য, বহিরাগতদের দৌরাত্ম্য, ভর্তি বাণিজ্য, সিট বাণিজ্য, ছিনতাই, অপহরণ, মাদক-বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং সংঘর্ষে সাধারণ শিক্ষার্থী আহত ও নিহত হওয়াসহ শিক্ষাঙ্গনে এক ভয়াল সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য তৈরি করেছে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়- ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ শুক্রবার দিবাগত রাতে ধানমন্ডি এলাকায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন। এসময় সাত-আটজন সাদা পোশাক পরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের প্যান্টের বেল্ট ধরে টানাহেঁচড়া করে তাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় তাদের সঙ্গে দুই গাড়ি পুলিশ ছিল। কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও তার সঙ্গে থাকা ৪৫-৫০ নেতা-কর্মীর সঙ্গে পুলিশ অশালীন আচরণ ও মারধর করে।
নেতা-কর্মীদের মধ্যে থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতিকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়ে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ ও কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুর রহমান বাবুকে বেধড়ক মারধর করে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয় থেকে বাসায় যাওয়ার পথে গুলশান থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশরাফুল ইসলাম জাসামকে কাকরাইল মোড় থেকে পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আজ সকালে রাজধানীর ডিওএইচএস এলাকায় চোখ ও হাত বাঁধা অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। অবিলম্বে আটক ছাত্রদলের সব নেতা-কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়।
এসএন