ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন হবে না: নুরুল হক
বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, 'আন্দোলনের জায়গা সংকুচিত হয়ে গেছে তাই সবাইকে কৌশলী হতে হবে। জনসম্পৃক্ত চলমান ইস্যুতে রাজপথে নামতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে দিনক্ষণ নির্ধারণে ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন হবে না।'
রবিবার (১৫ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ লেবার পার্টি এ আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে নুরুল হক বলেন, '২০১৪ সাল ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন দেখেও যেসব রাজনৈতিক দল বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অপকর্মকারীদের আমরা যেভাবে রাজাকার, আল শামস বলে থাকি, ঠিক তেমনি ভাবে যারা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে তারা হবে ফ্যাসিবাদের দোসর। আগামী প্রজন্ম তাদের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বলবে ফ্যাসিবাদের দোসর যাচ্ছে। আমার কথা স্পষ্ট এখনো সময় আছে কাম ব্যাক করুন।'
আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেন ফাটল ধরাতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিও আহ্বান জানান ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর।
ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে নুরুল হক বলেন, 'সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশে হামলা বন্ধ করুন। সময় থাকতে ভালো হয়ে যান, নতুবা আপনাদের অবস্থা ভয়াবহ হবে।'
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা মোবারক হোসেন বলেন, সরকার পতনে একটি কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে এর মূল দায়িত্ব বিএনপিকে নিতে হবে। আমরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে যদি ঐক্যবদ্ধভাবে একটি কার্যকর আন্দোলনে রাজপথ উত্তপ্ত করতে পারি তাহলেই এ সরকারের পতন হবে। আর কার্যকর আন্দোলন করতে না পারলে সরকারের পতন হবে না। কারণ আন্দোলন বেগবান হলেই সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আলেম ওলামা সমাজ যদি রাস্তায় নামে তাহলে সরকার পালানোর পথ পাবে না।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান।
এসএন