সংঘাত-সংঘর্ষে মানব জাতি ক্ষতবিক্ষত: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজ বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব রক্তাক্ত, হানাহানি ও সংঘাত-সংঘর্ষে মানব জাতি ক্ষতবিক্ষত। এই দুর্যোগময় মূহুর্তে গৌতম বুদ্ধের হিতোপদেশ মানুষকে অহিংসার পথে, ন্যায়ের পথে চালিত করবে। কারণ শান্তি, সম্প্রীতি ও মানব প্রেম সকল ধর্মের মর্মবাণী।’
শনিবার (১৪ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আমি সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তাদের সকলের সুখ, শান্তি ও দীর্ঘ জীবন কামনা করছি। আজ এই পবিত্র তিথিটি সারা বিশ্বের বৌদ্ধরা অত্যন্ত ধর্মীয় মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যে উদযাপন করতে যাচ্ছে।’
বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামতি গৌতম বুদ্ধ অহিংসা ও মানুষে-মানুষে গভীর ভালবাসার বাণী প্রচার করে গেছেন। তিনি তার অনুসারীদের চিরন্তন বাণীতে মানব কল্যাণে ব্রতী এবং জীবের প্রতি প্রেম দেখাতে উদ্বুদ্ধ করে গেছেন। গৌতম বুদ্ধ বলেছেন-হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না, বরং শরণ নিতে হয় অহিংসার।
বাণীতে বলা হয়, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আজও বিশ্ব সমাজে শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় গৌতম বুদ্ধের বাণী অতীব প্রাসঙ্গিক। তাই তিনি ধর্ম প্রচারের প্রথমেই পঞ্চবর্গীয় শিষ্যদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন-‘যেই ধর্ম আদিতে, মধ্যে এবং অন্তে কল্যাণ সাধিত হয় সেই কল্যাণকর ধর্ম চতুর্দিকে প্রচার কর। এ বাণীর আবেদন হলো-সকল প্রকার হিংসা-বৈরিতা ও ভেদাভেদ পরিহারপূর্বক সুন্দর ও সুখকর মানবসমাজ প্রতিষ্ঠা করা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, গৌতম বুদ্ধ সমাজের ঐক্য-সংহতি প্রতিষ্ঠার জন্য সপ্ত ধর্ম প্রচার করেছিলেন। মানুষের নীতি, আদর্শ, ভালোবাসা এবং সকল স্তরের মানুষের কল্যাণের জন্য মঙ্গল সূত্রের বাণী প্রচার করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন একটি সুখী-সমৃদ্ধময় আলোকিত সমাজ যেই সমাজে কোনো ধরনের হিংসা-প্রতিহিংসা থাকবে না, থাকবে না কোনো ধরনের সংঘাত সহিংসতা। তিনি জীবনের সর্ববিধ ক্লেশ থেকে মুক্তির উপায় বের করেন। বর্তমানে করোনা মহামারির করাল গ্রাসে মৃত্যু ও আক্রান্ত হওয়ার দুর্বিষহ পরিস্থিতি মোকাবেলায় এই মুহুর্তে মহামানব গৌতম বুদ্ধের বাণী আমাদেরকে সামনের সুদিনের পথে এগিয়ে যেতে প্রেরণা যোগাবে ।’
‘সর্বোপরি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণেই এদেশের সকল বর্ণ, ধর্মীয় সম্প্রদায় ও নৃগোষ্ঠীসমূহ একত্রীভূত হয়। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদই সকলকে একই বন্ধনে আবদ্ধ করে। পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা ও সৌহার্দ্য সৃষ্টি করে। আমি বুদ্ধ পূর্ণিমার সাফল্য এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সকলের সুখী ও শান্তিময় জীবন কামনা করি।’
এমএইচ/এমএমএ/