নির্বাচকালীন সরকারের নাম নিয়ে কী যায় আসে: গয়েশ্বর
সরকারের উদ্দশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন। তাহলে জনগণ আপনাদের অবস্থা শ্রীলংকার মতো করবে না।
শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'নির্বাচকালীন সরকারের নাম নিয়ে কী যায় আসে? আগে ঐকমত্য হন। তারপর নাম রাখা যাবে। কারণ সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে পরেও নাম রাখা যায়।'
তিনি বলেন, 'নির্বাচনের জন্য বাধা হলো শেখ হাসিনা ও তার সরকার। আমরা তার অধীনে নির্বাচনে যাব না, তবে যেনতেনভাবে আরেকটি নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। কারণ সেই সক্ষমতা তাদের নেই। জনতার শক্তির কাছে কোনো শক্তি টিকতে পারবে না। আসুন তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিন। আমরা বিশ্বাসযোগ্য আন্দোলন উপহার দিতে পারব।'
‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন-সংকটের একমাত্র সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি)।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা এখন ঐক্যের জন্য সংগ্রাম করছি। এরপর একটি লক্ষ্য আদায়ের জন্য হবে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী চরিত্র বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে। ফলে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা আর বেশি দূরে নয়। যেকোনো সময় সেটা জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। সেই সঙ্গে আগামী দিনের আন্দোলনের রূপরেখা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তুলে ধরবেন। আমাদের প্রস্তুতি শেষ দিকে।
এলডিপি (একাংশের) সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসীর সভাপতিত্বে ও এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম ও আবুল বাশারেরর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন, ২০ দলীয় জোটের শরিক এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের এহসানুল হুদা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, এলডিপির নেতা ও সাবেক এমপি আব্দুল গণি, চাষী এনামুল হক, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
এসএন