‘পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গণবিরোধী’
রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ের অজুহাত দেখিয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের একাংশকে প্রাইভেট জোন ঘোষণা করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার সমস্ত প্রক্রিয়াকে গণবিরোধী, তুঘলকি বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাপ।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. জসিম মাহমুদ তালুকদার এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রামের সর্বশেষ উম্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র, যেখানে মানুষ অবসর সময়ে গিয়ে একটু স্বস্ত্বির নিঃশ্বাস নিতে পারে। প্রকৃতির দানে গড়ে ওঠা এই সম্পদ, কোনো ব্যক্তি বিশেষের তৈরি নয়। চট্টগ্রাম শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত যেসব স্থান ছিল উন্নয়নের নামে প্রায় সবগুলো একে একে ধ্বংস করা হয়েছে। ফয়েস লেককে বেসরকারি খাতে ইজারা দিয়ে তা সর্বসাধারণের জন্য অবরুদ্ধ করে ফেলা হয়েছে।
নেতারা বলেন, চট্টগ্রাম শহরে এখন মানুষের ঘুরে বেড়ানোর জন্য এক টুকরো উন্মুক্ত প্রান্তরও আর অবশিষ্ট নেই। সন্তানদের খেলার কোনো জায়গা নেই। সর্বশেষ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতও বেসরকারি খাতে দিয়ে অবরুদ্ধ করে ফেলার এ প্রক্রিয়া চট্টগ্রামবাসী কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না।
নেতারা বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় মেটাতে নাকি তারা সমুদ্র সৈকত ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিডিএ'র এ বক্তব্য অপরিণামদর্শী, গণবিরোধী। এভাবে বেসরকারি খাতে সৈকত ইজরা দিয়ে দিলে সেখানে তো সর্বসাধারণের অবাধ যাতায়াতের অধিকার খর্ব হবে। শুধু বিত্তবানদের জন্য সুযোগ তৈরি হবে, বঞ্চিত হবেন আপামর জনসাধারণ। সিডিএ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, তাদের তো নাগরিকের অধিকার খর্ব করার কোনো অধিকার ও এখতিয়ার নেই।
তারা আরও বলেন, সিডিএকে মনে রাখতে হবে সমুদ্র সৈকত জনগণের সম্পদ। কারো কোনো অধিকার নেই এ সম্পদ নিয়ে ছিনিমিনি খেলার। রাষ্ট্রের কোনো অধিকার নেই এ সম্পদ শুধু বিত্তবানদের হাতে তুলে দেওয়ার। অবিলম্বে জনগণের স্বার্থে এ চক্রান্ত বন্ধ করা উচিত।
এসএন