সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা দেশকে রক্তাক্ত জনপদে পরিণত করেছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার তাদের বক্তব্য-বিবৃতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ চাইলেও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিরোধী দলের সভা-সমাবেশ ও নেতাদের উপর হামলায় সরকারের স্ববিরোধীতাই ফুটে ওঠে।’
তিনি বলেন, ‘লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি’) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো দেশে এখন ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে। বর্তমান আওয়ামী সরকার যে সন্ত্রাসনির্ভর তা এ ধরনের হামলায় স্পষ্ট হচ্ছে। এ ধরনের হামলা বর্তমান অবৈধ সরকারের আমলে ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত সমূহেরই ধারাবাহিকতা।’
সোমবার (৯ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্রকে বিলীন করে আইনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা সমগ্র দেশটাকে রক্তাক্ত জনপদে পরিণত করেছে। নিজেদের অস্তিত্বের প্রশ্নে সরকার আরও লাগামহীন ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আগামী দিনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ আরও কতটা ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করবে তা এ ধরনের হামলার মধ্য দিয়ে বহিঃপ্রকাশ ঘটানো হচ্ছে। আজকে ড. রেদোয়ান আহমেদ এর উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা পূর্ব-পরিকল্পিত এবং সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই ইন্ধন যোগানো হয়েছে বলে জনগণ বিশ্বাস করে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, কুমিল্লার চান্দিনায় এক সভায় আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের কর্তৃক এলডিপি’র মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের গাড়িতে বর্বরোচিত হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, বাড়িতে হামলা চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও হামলার পর আত্মরক্ষার্থে থানায় আশ্রয় নেওয়ার পর পুলিশ কর্তৃক রেদোয়ান আহমেদকে গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এলডিপি’র মহাসচিবের ওপর আজকের এই কাপুরুষোচিত হামলার ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করছি।’
এমএইচ/এমএমএ/