বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে বাধা না দেওয়া নেত্রীর নির্দেশ: কাদের
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে দলকে এখন থেকেই সুসংগঠিত করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোকে স্বাগত জানিয়েছেন বলেও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, "বিরোধীদলের ব্যাপারে নেত্রী বলেছেন তারা মিছিল-মিটিং সমাবেশ করুক। তারা স্বাধীনভাবে করুক। আমাদের তরফ থেকে কোনো প্রকার বাধা সৃষ্টি করার প্রয়োজন নেই।
শনিবার (৭ মে) রাতে গণভবনে সামনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের পর গণভবনের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক একথা বলেন। এর আগে বিকাল সাড়ে পাঁচটার গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকের বৈঠকে মূলত পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন। পরবর্তী জাতীয় সম্মেলন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী জাতীয় সম্মেলন এবং জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে সারা বাংলাদেশে। আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ প্রোগ্রাম জোরদার করতে হবে। দলের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন গুলোতে দলের নির্দেশ অমান্য করে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের ব্যাপারে কার্যনির্বাহী সংসদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা বিদ্রোহী দলের পদে আছে, সেই সব জায়গায় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সম্মেলনের কাজ সমাপ্ত করতে বলা হয়েছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ সকল শাখা বিশেষ করে উপজেলা এবং জেলা সম্মেলন গুলোর কাজ শেষ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের এরইমধ্যে মধ্যে ৪০ টার মতো উপজেলায় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। এবং ৭ টির মতো জেলায় ১২ তারিখ থেকে শুরু হবে। ৭ টির মতো জেলায় সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন এবং জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে সুশৃংখল সুসংগঠিত পার্টি হিসেবে আওয়ামী লীগকে দাঁড় করাতে হবে। পরবর্তী নির্বাচনে বিজয়ের জন্য নেত্রী এমনটি নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিরোধীদলের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্দেশনা তুলে ধরে বলেন, আমরা তাদের কোন প্রকার মিছিল-মিটিং সমাবেশে বাধা দেব না। তারা স্বাধীনভাবে করুক। আমাদের তরফ থেকে কোনো প্রকার বাধা সৃষ্টি করার প্রয়োজন নেই। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। বিরোধী দলও যারা যারা নির্বাচন করবে তাদের স্বাগতম। নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে।
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন যেভাবে হয় সেভাবেই হবে। সম্মেলন ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে। আমরা মনে করছি নেত্রী যখন তারিখ দেবেন তখনই হবে। এখন থেকেই গঠনতন্ত্র ঘোষণাপত্রকে আপডেট করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচনী ইশতেহার, ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র এগুলো তৈরি করার জন্য তিনি এখন থেকেই সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সহযোগী সংগঠনের বিষয়ে বলেন, বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত যারা আছেন তারা প্রত্যেক বিভাগের সহযোগী সংগঠনগুলো যাদের দায়িত্ব রয়েছে সেগুলোর খোঁজখবর তারা রাখবেন। সমন্বয় করবেন, এ বিষয়টা বলা হয়েছে। সহযোগী সংগঠন হোক আর যেটাই হোক মেয়াদ উত্তীর্ণ সব সংগঠনের সম্মেলন জাতীয় সম্মেলনের আগে হতে হবে।
এসএম/এএস