মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষা করতেই তেলের মূল্যবৃদ্ধি: বাংলাদেশ ন্যাপ

ঈদের আগে ভোজ্যতেলের সংকট তৈরি করে যে সিন্ডিকেট জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, সরকার তাদের শাস্তি না দিয়ে তেলের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে পুরস্কৃত করল। জনগণ নয়, সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষা করতেই ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার।

শনিবার (৭ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ কথা বলেন।

তারা বলেন, ঈদের আগে থেকেই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বাজারে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন। দোকানে কোনো তেল না পাওয়ার চিত্র দেখা যায়। ঈদের পর সংকট আরও তীব্র হতে থাকে। বাজারে এমন সংকটের মধ্যেই সরকার দেশের মানুষের স্বার্থের কথা বিবেচনা না করে এক লাফে বোতলজাত সয়াবিন তেল ৩৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ৪৪ টাকা লিটার প্রতি বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এতে জনজীবনে যে দুর্ভোগ নেমে আসবে, তার দায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্যমন্ত্রী-সচিবও এড়াতে পারবেন না।

নেতারা বলেন, সরকারের অব্যবস্থাপনা ও লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের যখন নাভিশ্বাস উঠেছে তখন তেলের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার নিজেই প্রমাণ করল দেশের বাজার আজ মুনাফালোভী সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি।

তারা আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য এখন মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ঈদের আগে সরকার অনেক নাটক করেছে। সরকার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছে। অথচ এ কথা দিবালোকের মত স্পষ্ট এ সব সিন্ডিকেট সরকারি দলের নেতারাই তৈরি করেছেন।

নেতারা বলেন, সরকার জনগণকে স্বস্তি দিতে যেখানে আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করল, সেই সুবিধা তো জনগণ পেলই না, উল্টো আরও মূল্যবৃদ্ধি করে জনগণের পকেট কাটার সঙ্গে সঙ্গে বাজার থেকে হঠাৎ করে তেল উধাও করে দেওয়া হলো। যেখানে লুটেরাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, তা না করে সরকার মূল্যবৃদ্ধি করে জনগণের সঙ্গে প্রহসন করেছে। এটি জনগণের সঙ্গে চরম প্রতারণা ছাড়া অন্যকিছুই নয়।

এমএইচ/আরএ/

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইল পৌরসভায় দুদকের অভিযান

টাঙ্গাইল পৌরসভায় দুদকের অভিযান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

স্বাস্থ্যসেবা খাতে নানা অনিয়মের অভিযোগে এনে টাঙ্গাইল পৌরসভা কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পৌরসভার সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা শুভাশিস দাসের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও স্বাস্থ্য সেবা খাতে নানা অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: বিপ্লব হোসেনের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বিপ্লব হোসেন জানান, টাঙ্গাইল পৌরসভার স্বাস্থ্যসেবা খাতে ঔষধ ক্রয়ের অনিয়মসহ আরও কিছু অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য নেয়া হয়েছে, সেগুলো যাচাই করার পর আরও বিস্তারিত জানানো যাবে।

এছাড়াও টাঙ্গাইল পৌরসভার স্বাস্থ্যসেবা খাত মেডিকেল অফিসার ছাড়াই ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা শুভাশিস দাস অফিস আদেশের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন যাবৎ পরিচালনা করে আসছেন বলেও তার কাছ থেকে জানা যায়।

এ সময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক রবিউল ইসলাম, বাসেদ আলী, সহকারী পরিদর্শক মিরাজুল হক প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি “স্বাস্থ্য সেবার নামে বিলের টাকা আত্মসাৎ” শিরোনামে জাতীয় এবং স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন ভার্সনে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সংবাদের প্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসে দুদক।

Header Ad
Header Ad

ডিআইজি-এসপিসহ পুলিশের ৮২ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ওএসডি

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, এসপিসহ পুলিশের ৮২ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

৮২ কর্মকর্তার মধ্যে একজন অতিরিক্ত আইজি ও ১৫ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার। অন্যরা ডিআইজি ও অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তা।

এর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ ও র‌্যাবের হয়ে দায়িত্ব পালন করা ১০৩ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার।

পুলিশের সাবেক আজিপি বেনজির আহমেদ, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়ার পাশাপাশি এক সময় র‌্যাবে দায়িত্ব পালন করা কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার নামও রয়েছে এই তালিকায়।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৪ সালের দশম ও ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি-জামায়াত ও সমমনারা বর্জন করে। তবে ২০১৮ সালে তারা ভোটে এলেও আগের রাতেই সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ী হওয়ার অভিযোগ ওঠে।

গণআন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ওই নির্বাচনগুলোতে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।

পুলিশ কর্মকর্তাদের পদক প্রত্যাহার এবং ওএসডি করা ছাড়াও একাদশ সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করা সেসময়ের ৩৩ ডিসিকে ওএসডি করা হয়েছে। সবশেষ তারা যুগ্ম সচিব হিসেবে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছিলেন।

ওএসডি করা কর্মকর্তাদের তালিকা-

Header Ad
Header Ad

অনির্দিষ্টকালের জন্য কুয়েট বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

অনির্দিষ্টকালের জন্য খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে আগামীকাল বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল ও একাডেমিক কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্র রাজনীতিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কুয়েট রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। ঘটনার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা, তবে ছাত্রদল পাল্টা দায়ী করেছে ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকে।

এরপর শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে তাদের বর্জনের ঘোষণা দেন এবং উপাচার্যের বাসভবনেও তালা লাগিয়ে দেন।

শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

১. কুয়েটে সকল ধরনের রাজনীতি বন্ধ করা
২. উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ
৩. সংঘর্ষে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত ও ছাত্রত্ব বাতিল
৪. আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা
৫. প্রশাসনের ক্ষমাপ্রার্থনা
৬. ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু দাবি মেনে নেয়। এর মধ্যে রয়েছে কুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা, সংঘর্ষে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, বহিরাগতদের বিরুদ্ধে মামলা, আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ।

এরই মধ্যে স্থানীয় থানায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই মামলায় বিএনপি ও ছাত্রদলের ৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইল পৌরসভায় দুদকের অভিযান
ডিআইজি-এসপিসহ পুলিশের ৮২ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ওএসডি
অনির্দিষ্টকালের জন্য কুয়েট বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন ৭ জন অতিরিক্ত সচিব
দেশজুড়ে ডেভিল হান্টে আরও ৬৩৯ জন গ্রেপ্তার
এআই প্ল্যাটফর্ম সালামা: ২০ সেকেন্ডে মিলবে দুবাইয়ের ভিসা
অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ পণ্ড হওয়ায় যেমন দাঁড়ালো ‘বি’ গ্রুপের সমীকরণ
চুয়াডাঙ্গায় নবদম্পতিকে কুপিয়ে লুট, ৪৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪
রমজানে ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত
হস্তান্তরের আগেই ফাঁটল রামগঞ্জের মডেল মসজিদে, স্থানীয়দের অসন্তোষ
৫০৪ জন নিয়োগ দেবে ডাক বিভাগ, আবেদন অনলাইনে
‘আল্লাহ জানেন, একদিন নাহিদ হয়তো দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন’
বাসে ডাকাতি ও নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় মূলহোতাসহ আরও ২ জন গ্রেফতার
ভারতে ১৬৮ বছরের পুরনো মসজিদ গুঁড়িয়ে দিল যোগী সরকার
সরকারে থাকার চেয়ে রাজপথে থাকা বেশি প্রয়োজন, তাই পদত্যাগ করেছি: নাহিদ
নদীদূষণ রোধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা শিক্ষা দিচ্ছি কিন্তু কোয়ালিটি নেই: উপাচার্য
বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
ঈদুল ফিতরে যেভাবে মিলবে টানা ৯ দিনের ছুটি
উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন নাহিদ