রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আজ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী

আজ শনিবার (৭ মে) স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী।

এ উপলক্ষে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ফাউন্ডেশন ও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদ ঢাকা ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, খাবার বিতরণ, শোক সভা এবং তার জীবন ও কর্মের ওপর প্রকাশনা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খাঁটি সৈনিক আহসানউল্লাহ মাস্টারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে একজন শ্রমিক নেতার পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে বিভিন্ন সময়ে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও রাজনীতিতে শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের অবদানের কথা স্মরণ করেন।

তিনি আহসানউল্লাহকে গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, তিনি শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন এবং মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে কখনোই পিছপা হননি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের মতো ত্যাগী ও মানবিক নেতৃত্বে মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়সহ গণতন্ত্রের বিকাশে নতুন প্রজন্মকে আলোর পথ দেখাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, আজীবন মানবসেবায় নিবেদিতপ্রাণ আহসানউল্লাহ মাস্টার শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯২ সালে উপজেলা পরিষদ বিলুপ্ত হওয়ার পর তিনি সমিতির আহ্বায়ক হিসেবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের পক্ষে মামলা করেন এবং দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। পরবর্তীকালে তাকে গ্রেপ্তার করে কারারুদ্ধ করা হয়।

তিনি বলেন, আহসান উল্লাহ মাস্টারের স্বপ্ন ছিল মাদক-সন্ত্রাসমুক্ত টঙ্গী-গাজীপুর গড়ার, কিন্তু তৎকালীন হাওয়া ভবনের ডিজাইন করা জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নিশ্চিহ্ন করার বিএনপি-জামায়াত সরকারের নীলনকশা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাকে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হয়েছে।

ওমর ফারুক রতনের মতো তার কিছু ছাত্রকেও তাদের প্রিয় শিক্ষক আহসানুল্লাহ মাস্টারকে বাঁচাতে শাহাদাতের মুখোমুখি হতে হয়েছিল বলে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেছেন।

'শুধু তাই নয়, আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যার পর মহাজোট সরকারের পুলিশ আন্দোলন কর্মসূচি ও প্রতিবাদী জনতার ওপর গুলি চালিয়ে আরও দুই নিরীহ মানুষকে হত্যা করে এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে।' শেখ হাসিনা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

দিবসটি উপলক্ষে আগামীকাল সকালে গাজীপুর সিটি করোপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের হায়দ্রাবাদ গ্রামে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিকালে খাবার বিতরণ, মিলাদ ও দোয়া-মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়াও এ উপলক্ষে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মশিউর রহমান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ হাওলাদার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন সাংবাদিক আতাউর রহমান।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের গাজীপুর মহানগর শাখা, গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন, ভাওয়াল সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, ভাওয়াল আইডিয়াল একাডেমি, হায়দ্রাবাদ জনকল্যাণ সমিতি ও ভাওয়াল শিশু কিশোর ফোরামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া-মাহফিলের আয়োজন করেছে।

উল্লেখ্য, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ আসন (গাজীপুর সদর-টঙ্গী) থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুইবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৮ সালে দুবার পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) চেয়ারম্যানও ছিলেন।

২০০৪ সালের ৭ মে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় একদল সন্ত্রাসী তাকে গুলি করে হত্যা করে।

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল স্বাস্থ্যবিধি মেনে আহসান উল্লাহ মাস্টারের শাহাদাতবার্ষিকী অনুষ্ঠান পালনের জন্য হায়দ্রাবাদ, টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দেশবাসীর কাছে তার প্রয়াত পিতার জন্য দোয়া কামনা করেছেন।

টিটি/

Header Ad

আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?

ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলাম চলছে। তিন বছর পর পর হওয়া এই নিলাম এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে সৌদি আরবের জেদ্দায়। দুই দিনব্যাপী নিলামের প্রথম দিনটি শুরু হয়েছে আজ, রোববার (২৪ নভেম্বর)। বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর এখন ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের নিলামে। ভক্তদের কৌতূহল, কোন তারকা কোন দলে যাচ্ছেন, কত টাকায় বিক্রি হচ্ছেন তারা—এইসব প্রশ্ন নিয়ে উত্তেজনা চলছে। চলুন, এক নজরে দেখে নেয়া যাক, প্রথম দিন কোন খেলোয়াড় কোন দলে যোগ দিলেন।

গুজরাট টাইটান্স:

আইপিএলের অন্যতম সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট এবারও শক্তিশালী দল গড়তে মরিয়া। নিলামের আগে তারা পাঁচ ক্রিকেটারকে রিটেন করেছে। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৫১ কোটি রুপি। অবশিষ্ট ৬৯ কোটি রুপি নিয়ে শুরু করেছে নিলাম। অবশ্য এত টাকা খরচ করলেও অভিজ্ঞ রশিদ-গিলকে ঠিকই ধরে রেখেছে দলটি। এই দুইজন ছাড়াও আছেন সাই সুদর্শন, রাহুল তেওয়াটিয়া ও শাহরুখ খানের মতো ক্রিকেটাররা।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে গুজরাট

কাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা)—১০.৭৫ কোটি রুপি

জস বাটলার (ইংল্যান্ড)—১০.৭৫ কোটি রুপি

মোহাম্মদ সিরাজ (ভারত)— ১২.২৫ কোটি রুপি

পাঞ্জাব কিংস:

কখনও আইপিএলের শিরোপা জিততে না পারা পাঞ্জাব কিংস এবারের নিলামে সবচেয়ে বেশি ১১০ কোটি ৫০ লক্ষ রুপি নিয়ে হাজির হবে। মূলত খেলোয়াড় রিটেনশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় তারা। অন্যান্য দলগুলো তারকা সব ক্রিকেটারদের রিটেনশন পদ্ধতিতে দলে নিলেও সেখানে মাত্র দুইজনকে নিয়েছে পাঞ্জাব। তাদের কেউই তারকা ক্রিকেটার নন। তারা হলে শশাঙ্ক সিংহ ও প্রভসিমরান সিংহ।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে পাঞ্জাব

অর্শ্বদীপ সিং (ভারত)—১৮ কোটি রুপি

শ্রেয়ার আইয়ার (ভারত)— ২৬.৭৫ কোটি রুপি

যুযবেন্দ্র চাহাল (ভারত)— ১৮ কোটি রুপি

মার্কাস স্টয়নিস (অস্ট্রেলিয়া)— ১১ কোটি রুপি

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (অস্ট্রেলিয়া)— ৪.২০ কোটি রুপি

দিল্লি ক্যাপিটালস:

নিলামের টেবিলে ৭৩ কোটি রুপি নিয়ে হাজির হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। চার ক্রিকেটারকে রিটেনশন করেছে তারা। এতে খরচ হয়েছে মোট ৪৭ কোটি রুপি। সেই হিসেবে নিলাম থেকে বড় কোনো তারকাকে ভেড়াতে প্রস্তুত দলটি। কখনও শিরোপা জিততে না পারা দলটির জন্য ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়াই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। দলটিতে আছেন অক্ষর প্যাটেল, কুলদ্বীপ যাদব, ত্রিস্টান স্টাবস ও অভিষেক পোরেল।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে দিল্লি

মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া)—১১.৭৫ কোটি রুপি

লোকেশ রাহুল (ভারত)—১৪ কোটি রুপি

হ্যারি ব্রুক (ইংল্যান্ড)—৬.২৫ কোটি রুপি

জ্যাক ফ্রেসার-ম্যাকগার্ক (অস্ট্রেলিয়া)— ৯ কোটি রুপি

২০২৫ আইপিএল আগামী ১৪ মার্চ শুরু হয়ে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়েছে, বেশির ভাগ আইসিসি পূর্ণ সদস্যদেশের খেলোয়াড়েরা পরবর্তী তিন বছর আইপিএলে খেলার বিষয়ে নিজ দেশের বোর্ড থেকে সম্মতি পেয়েছেন। তবে এর মধ্যে পাকিস্তান নেই। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে বৈরী সম্পর্ক থাকায় ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম সংস্করণের পর এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলছেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।

লখনৌ সুপার জায়ান্ট:

২০২৪ আইপিএলে মাঠের বাইরের নানা কর্মকান্ডে বেশ বিতর্কিত হয়েছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস। এবার নিলামের আগে তারাও গুজরাটের মতো পাঁচ ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে। এতে খরচ হয়েছে ৫১ কোটি রুপি। হাতে আছে ৬৯ কোটি রুপি। দলটিতে আছেন নিকোলাস পুরান, রবি বিষ্ণুই, মায়াঙ্ক যাদব, মহসিন খান ও আয়ুশ বাদোনি।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে লখনৌ

ঋষভ পন্ত (ভারত)— ২৭ কোটি রুপি

ডেভিড মিলার (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ৭.৫০ কোটি রুপি

এইডেন মার্করাম (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ২ কোটি রুপি

মিচেল মার্শ (অস্ট্রেলিয়া)— ৩.৪০ কোটি রুপি

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ:

আইপিএলের গত আসরের রানার্সআপ হায়দরাবাদ এবারও চমক দেওয়ার অপেক্ষায়। ২০২৪ সালে দারুণ ছন্দে থাকা দুই অসি ক্রিকেটার প্যাট কামিন্স ও ট্রাভিস হেডকে ধরে রেখেছে তারা। পাশাপাশি আছে হেনরিখ ক্লাসেনের মতো বিধ্বংসী ব্যাটারও। এছাড়া, দেশিদের মধ্যে অভিষেক শর্মা ও নিতীশ কুমার রেড্ডিরাও দ্যুতি ছড়াতে প্রস্তুত। এই পাঁচ ক্রিকেটারকে কিনতে খরচ হয়েছে ৭৫ কোটি রুপি। অবশিষ্ট ৪৫ কোটি রুপি নিয়ে নিলাম শুরু করেছে হায়দরাবাদ।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে হায়দরাবাদ

মোহাম্মদ সামি (ভারত)—১০ কোটি রুপি

হারশাল প্যাটেল (ভারত)—৮ কোটি রুপি

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু:

আইপিএলের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল ধরা হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। মূলত কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলি থাকায় দলটির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এবারের নিলামে বড় অঙ্কের অর্থ নিয়ে হাজির হয়েছে আরসিবিও। রিটেনশনের সময় তারা দলে ভিড়িয়েছে বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার ও ইয়াশ দয়ালকে। এদের কিনতে মোট খরচ হয়েছে ৩৭ কোটি রুপি। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি নিলাম শুরু করেছে ৮৩ কোটি রুপি নিয়ে।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে বেঙ্গালুরু

লিয়াম লিভিংস্টোন (ইংল্যান্ড)— ৮.৭৫ কোটি রুপি

ফিল সল্ট (ইংল্যান্ড)— ১১.৫০ কোটি রুপি

চেন্নাই সুপার কিংস:

আইপিএলের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই এবারও শক্তিশালী দল গড়ার পথে। দলটি রিটেন করেছে রুতুরাজ গায়কোয়াড়, মাথিশা পাথিরানা, শিবাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা ও এমএস ধোনিকে। এতে তাদের খরচ হয়েছে মোট ৬৫ কোটি রুপি। বাকি ৫৫ কোটি রুপি নিয়ে নিলামে অংশ নিয়েছে তারা। দেখার বিষয় গত আসরে দলটিতে দারুণ খেলা বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে এবার তারা ডেরায় ভেড়ায় কি না।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে চেন্নাই

ডেভন কনওয়ে ( নিউজিল্যান্ড)—৬.২৫ কোটি রুপি

রাহুল ত্রিপাঠি (ভারত) — ৩.৪০ কোটি রুপি

রাচিন রবীন্দ্র ( নিউজিল্যান্ড)—৪ কোটি রুপি

রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ভারত) — ৯.৭৫ কোটি রুপি

কলকাতা নাইট রাইডার্স:

আইপিএলের গত আসরের চ্যাম্পিয়নস কলকাতা নাইট রাইডার্স ফের একবার চমক দিতে মরিয়া। গত আসরের দলটিতে খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক। যদিও এবার তাকে রিটেন করেনি দলটি। তারা ছয় জন প্লেয়ারকে নিলামের আগেই রিটেইন করেছে। তারা হলেন রিঙ্কু সিংহ, বরুণ চক্রবর্তী, সুনিল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, হারশিত রানা ও রামানদ্বীপ সিংহ। এতে তাদের ব্যয় হয়েছে ৬৯ কোটি রুপি। ৫১ কোটি রুপি নিয়ে আজ নিলাম শুরু করেছে দলটি।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে কলকাতা

ভেঙ্কটেশ আইয়ার (ভারত)—২৩.৭৫ কোটি রুপি

কুইন্টন ডি কক (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ৩.৬০ কোটি রুপি

২০২৫ আইপিএল আগামী ১৪ মার্চ শুরু হয়ে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়েছে, বেশির ভাগ আইসিসি পূর্ণ সদস্যদেশের খেলোয়াড়েরা পরবর্তী তিন বছর আইপিএলে খেলার বিষয়ে নিজ দেশের বোর্ড থেকে সম্মতি পেয়েছেন। তবে এর মধ্যে পাকিস্তান নেই। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে বৈরী সম্পর্ক থাকায় ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম সংস্করণের পর এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলছেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।

Header Ad

রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা

দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন সৌখিনের বিরুদ্ধে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত থেকে ওই দুই নেতার কথোপকথনের ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এর আগে উপজেলার গোবরচাঁপা বাজারে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে ৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগ নেতা সামছুল আলম খানসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে স্থানীয় থানায় মামলা করেন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন। এ মামলায় আরও ১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে "এডিট করা ফেক মোবাইল কল" সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে তার এবং দলীয় ইমেজ ক্ষুণ্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাময়িক বহিষ্কৃত ওই বিএনপি নেতা।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বদলগাছী সাংবাদিক সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন।

এসময় তিনি বলেন, বিগত ২০১৩ সালে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলকভাবে আওয়ামী লীগ দুইটি মামলা করে। একটি বিষ্ফোরক ও একটি দ্রুত বিচার আইনে। আমাকে গ্রেফতার করা হয় ক্লিন হার্ট অপারেশনে। সেখানে আমাকে অনেক নির্যাতন করা হয় শুধুমাত্র বিএনপির রাজনীতি করার জন্য। আমি জানতে পেরেছি যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম খানের সাথে আমার একটি কল রেকর্ড প্রকাশিত হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা সম্পূর্ণ এডিট করা ফেক মোবাইল কল। কল রেকর্ডটি আগস্ট মাসের।

প্রকৃত তথ্য এই যে, শামসুল আলম খান ইতঃপূর্বে তার একটি ব্যাংক চেক গচ্ছিত রেখে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করেন। যার নম্বর: CD /A- ২৮৮৫০৯২ (ডাচ বাংলা ব্যাংক)। এভাবে তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আরও অনেকের কাছ থেকেই তিনি টাকা ধার করেছেন বলে লোকমুখে জেনেছি। অতি সম্প্রতি জানতে পারি যে, তিনি কিছু কিছু পাওনাদারদের ধারের টাকা পরিশোধ করছেন। এ কারণে আমি তার নিকট আমার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য কল করেছিলাম। এছাড়া আমার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য তার সামনাসামনি হলে সে আমাকে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার ভয় দেখাতো। আমি গত ২০১৪ সালের ৫নভেম্বর আওয়ামী লীগের বিস্ফোরক মামলার বিবাদী হওয়ার কারণে আগস্ট মাসের কল রেকর্ডটি নতুন করে "এডিট" করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। আগস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত শামসুল আলম খানের সাথে আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি।

এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, পাওনা সংক্রান্ত ও কল রেকর্ডটি এডিট করে যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেটা আবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশও করা হয়েছে। শুধুমাত্র আমাকে এবং আমার দল বিএনপিকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্যই ফেক কল রেকর্ডটি ছেড়ে দেওয়া দেয়। মর্যাদাহানি করার জন্যই তারা এই মিথ্যা এবং বানোয়াট রেকর্ড ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মামলার বিবাদী হওয়ার কারণেই আগস্ট মাসের আমার টাকা সংক্রান্ত রেকর্ডটি ছেড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং সেই সাথে দুষ্কৃতিকারীদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খান বলেন, ঘটনার দিন নওগাঁয় আদালতে একটা কাজে গিয়েছিলাম। ওই সময় একটা অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। নিজেকে চাংলার সৌখিন পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা দাবি করা হয়।

Header Ad

পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবারপাখতুনখাওয়া প্রদেশে শিয়া ও সুন্নি মতাবলম্বীদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২ জনে পৌঁছেছে। গত তিন দিন ধরে চলা এই সহিংসতায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১৫৬ জন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) প্রদেশের স্থানীয় এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।

আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সুন্নি ও শিয়া মুসলমানদের মাঝে গত কয়েক মাস ধরে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) প্রদেশটিতে শিয়া যাত্রীবাহী গাড়িতে বন্দুকধারীদের হামলায় ৪৩ জনের প্রাণহানির পর নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছেন, গত ২১, ২২ ও ২৩ নভেম্বরে শিয়া-সুন্নিদের সংঘর্ষ ও গাড়িতে হামলার ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৮২ জনে পৌঁছেছে। এই সংঘাতে ১৫৬ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার প্রদেশের কুররাম জেলার প্রায় ৩০০ পরিবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। ওই দিন গভীর রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় হালকা ও ভারি অস্ত্র নিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছেন স্থানীয়রা। তবে রোববার সকালে নতুন করে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ওই কর্মকর্তা বলেছেন, কুররাম জেলাজুড়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থগিত করা হয়েছে এবং প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অতীতে খাইবার পাখতুনখোয়ার এই জেলা আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে ছিল; যেখানে বছরের পর বছর ধরে চলা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

গত মাসে কুররাম জেলায় সাম্প্রদায়িক সংঘাতে তিন নারী ও দুই শিশুসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া গত জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে একই ধরনের সংঘাতে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম