মানুষের কষ্টে আনন্দ পায় আওয়ামী লীগ: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ মানুষের কষ্টে আনন্দ পায় এবং উল্লাস করে। আর বিএনপি মানুষের দুর্ভোগে সহমর্মিতা প্রকাশ করে। ফলে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগে বিএনপির কষ্ট হয়।
মঙ্গলবার (৩ মে) দুপুরে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। জাসাসের উদ্যোগে গরিব মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন রুহুল কবির রিজভী।
রাজধানীর নয়া পল্টনে ভাসানী ভবনে খাবার বিতরণকালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আদর্শে আমরা অনুপ্রাণিত। ঝড় কিংবা জলোচ্ছ্বাস যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিএনপি গরিব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়।’
তিনি বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাসের সময় মানুষ যখন ঘর থেকে বের হতে ভয় পেত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আজকে ঈদের সময় ঘরে মানুষের চরম দুর্ভোগেও সরকারের মন্ত্রী এমপিরা উপহাস করেছে।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন এবারে মানুষের দুর্ভোগ নেই বলে বিএনপির কষ্ট হচ্ছে। আরে বিএনপি কষ্ট পাবে কেন? বিএনপি তো মানুষের দুর্ভোগে সংহতি জানায়। আমি আজকেও খবর পেলাম অনেক জায়গায় মানুষ বাড়িতে পৌঁছাতে পারেনি। আর আপনি ডাহা মিথ্যাচার করেছেন। আপনার গাড়ির সামনে তো থাকে পুলিশের গাড়ি। তারা হুইসেল দিয়ে আপনাকে নিয়ে যায়। সাধারণ মানুষ বাসে, ট্রেনে বা লঞ্চে গাদাগাদি করে বাড়িতে যাচ্ছে। আর আপনি তাদের নিয়ে উপহাস করছেন।’
বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট নিয়ে সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা তো মানুষের কষ্ট বুঝেন না। আজকে বাজারে সয়াবিন তেল নেই। গতকাল মানুষ হন্যে হয়ে খুঁজছে কিন্তু সয়াবিন তেল পায়নি। আর বলেন বিএনপি কষ্ট পায়! আসলে প্রধানমন্ত্রীর লোকেরা সিন্ডিকেট করে বাজার থেকে সয়াবিন তেল উধাও করে দিয়েছে। যাতে সাধারণ গরিব মানুষ কিনতে না পারে এবং পরবর্তীতে চড়া দামে বিক্রি করতে পারে। এজন্য সম্পূর্ণ দায়ী আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেট ও প্রধানমন্ত্রী এবং ওবায়দুল কাদের দায়ী।’
এদিকে, গুমের শিকার দুই নেতার বাসায় গিয়ে তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার ঈদুল ফিতরের দিন দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের ফল নিয়ে বংশাল থানা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সোহেল সরকার এবং ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জহিরের বাসায় যান রিজভী। তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ খবর নেন এবং ঈদের কুশল বিনিময় ও তারেক রহমানের ঈদ শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নাদিমুর রহমান নাদিম, জাফরু, মোহন, আবদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচ/আরএ/