শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবি আইন ও সালিশ কেন্দ্রের

দেশে এখনও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, খুন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটছে, যা মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। তাই এসব ঘটনা নিরপক্ষেভাবে তদন্ত করে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস-২০২১ উপলক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে ১৮ দফা দাবি তুলে ধরেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের কর্মী ঝর্না খানম। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির ও পরিচালক (কর্মসূচি) নীনা গোস্বামী।

আবু আহমেদ ফয়জুল কবির বলেন, ‘আমাদের দেশে এখনও পর্যন্ত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, খুন, হেফাজতে নির্যাতনের মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে। আমরা আশা করব, সরকার এই বিষয়গুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করবে এবং আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে। বাংলাদেশে কেন হেফাজতে নির্যাতন বা গুম-খুনের ঘটনা ঘটবে না? ইতিপূর্বে যারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বা যারা গুমের শিকার হয়েছেন, সেসব ঘটনার জন্য একটি তদন্ত কমিশন করে দায়ী ব্যক্তিদের প্রচলিত আইনের আওতায় নিয়ে এসে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দেশে উন্নয়নের পাশাপাশি, আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের পাশাপাশি অবশ্যই মানবাধিকারের সূচকগুলো মাথায় রাখতে হবে।

নীনা গোস্বামী বলেন, ‘দেশে কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে না। মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের পুরোপুরি ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যেতে হবে। ৭২’ এর সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম বলে কিছু নেই। এই দেশে কেন গুম, খুনের মতো ঘটনা ঘটবে। অবিলম্বে গুম, খুন, হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ১৮ দফা দাবি তুলে ধরে ঝর্না খানম বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দ্বারা যে কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা, যেমন–বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এখতিয়ার বহির্ভূত আচরণ ইত্যাদির অভিযোগ উঠলে তা দ্রুততার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে হবে এবং সম্পৃক্তদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শাস্তি প্রদান করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ পর্যন্ত সংঘটিত সকল সকল গুম, অপহরণ ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তদন্তে নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে আটক ও গ্রেফতারের ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলতে হবে। ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’

দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে–

* নাগরিকদের মত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার ও মৌলিক মানবাধিকার যাতে খর্ব না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

* কোনো ধরনের সংকোচ, ভীতি কিংবা প্রতিহিংসার শিকার হওয়া ছাড়াই নাগরিকরা যাতে এ অধিকারসমূহ চর্চা করতে পারে, সে পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দিতে হবে।

* গণমাধ্যম ও নাগরিকদের মত প্রকাশের অধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আিইনে অংশীজনদের মামলা গ্রহণ না করার নির্দেশনা প্রদান করতে হবে।

* নাগরিকদের সমবেত হওয়ার অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। কোনোভাবেই এ অধিকার লঙ্ঘন করে শান্তিপূর্ণভাবে সমবেত জনগোষ্ঠীর ওপর বল প্রয়োগ করা যাবে না।

* নারীর সমানাধিকার নিশ্চিত করতে বিদ্যমান বৈষম্যমূলক আইনগুলোতে পরিবর্তন আনতে হবে। নারীর অধিকার সম্পর্কে সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে।

* শিক্ষা কারিক্যুলামে সমমর্যাদা, সামানাধিকার, বৈষম্যহীনতা, বৈচিত্র্যতার প্রতি সম্মান প্রভৃকি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

* ধর্মীয় উত্তেজনা তৈরি করে কোনো সহিংসতার ঘটনা না ঘটে তার জন্য পর্যাপ্ত সর্তকতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

* ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিজ বিশ্বাস ও রীতি চর্চার অধিকার এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

* দেশে সুস্থ রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত করার মাধ্যমে নাগরিকদের অধিকার ভোগের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

এসএম/এসএ/

Header Ad
Header Ad

বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক, হবু স্ত্রীকে নিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় চিকিৎসক নিহত

দুর্ঘটনায় নিহত ইন্টার্ন চিকিৎসক অর্ঘ্য অমৃত মণ্ডল ও গুরুতর আহত তাঁর বাগ্‌দত্তা প্রতিভা সরকার। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার বেসরকারি একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক অর্ঘ্য অমৃত মণ্ডল (২৬)। একই মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী প্রতিভা সরকারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের তারিখ ছিল ২৫ জানুয়ারি।

কিন্তু গত ১৭ জানুয়ারি অর্ঘ্যের এক জেঠা (বাবার চাচাতো ভাই) মারা যাওয়ায় বিয়ে পিছিয়ে দিয়ে পারিবারিকভাবে তারিখ পরে ঠিক করার সিদ্ধান্ত হয়।

মৃত জেঠার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যোগ দিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বাড়িতে আসছিলেন অর্ঘ্য। সঙ্গে হবু স্ত্রী প্রতিভাও ছিলেন তাঁর সঙ্গে। ইচ্ছা ছিল, আজ শুক্রবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে সবাই বসে তাঁদের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। কিন্তু এর আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অর্ঘ্যই চলে গেছেন না ফেরার দেশে।

গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সোনামুর মোড়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। অর্ঘ্য ও প্রতিভা একই মোটরসাইকেলে ছিলেন। ঘটনাস্থলে আসার পর মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খান। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান অর্ঘ্য। গুরুতর আহত হয়েছেন প্রতিভা। তাঁকে ঢাকার পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন। ৭২ ঘণ্টা না গেলে তাঁরা কিছু বলতে পারছেন না।

অর্ঘ্য শ্যামনগরের সদর ইউনিয়নের চণ্ডীপুর গ্রামের অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল ও মিনতী রানী মণ্ডল দম্পতির ছেলে। অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল কালীগঞ্জ উপজেলার রতনপুর তারকানাথ বিদ্যাপীঠের ক্রীড়াশিক্ষক। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন অর্ঘ্য। তাঁদের গ্রামের বাড়ি শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের কামালকাটি গ্রামে। প্রতিভা সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বিপ্রজিৎ সরকার ও দেবকী রায় দম্পতির মেয়ে। তিনিও বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান।

অর্ঘ্যের মরদেহ বাড়িতে আনার পর এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। ছবি: সংগৃহীত 

নিহত অর্ঘ্যের জেঠা (বাবার আপন বড় ভাই) বাসুদেব মণ্ডল বলেন, ‘অর্ঘ্য ছিল খুবই মেধাবী। সব সময় ক্লাসে প্রথম হতো। এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়ার পর সে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়। তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল একই মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী প্রতিভার সঙ্গে। বিয়ের তারিখ ছিল ২৫ জানুয়ারি। কিন্তু গত ১৭ জানুয়ারি আমার জেঠতুতো ভাই সন্তোষ কুমার মণ্ডল মারা যাওয়ায় বিয়ে পিছিয়ে দিয়ে বিয়ের তারিখ পরে ঠিক করার সিদ্ধান্ত হয়। ইচ্ছা ছিল আজ শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে সবাই বসে ওদের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল। অর্ঘ্যের জেঠার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই অর্ঘ্যকে দাহ করতে হলো। আজ দুপুরে গ্রামের বাড়ি পদ্মপুকুর ইউনিয়নের কামালকাটি গ্রামের শ্মশানে অর্ঘ্যের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।’

অর্ঘ্যের মা–বাবা দুজনেই ছেলের মৃত্যুতে পাগলপ্রায়। মা মিনতী রানী মণ্ডল বিলাপ করছেন আর বলছেন, ‘ভগবান, আমি এমন কী দোষ করেছি, আমার সোনার মানিককে এভাবে তুলে নিলে। এর চেয়ে আমাকে নিতে। আমার মানিক তো কোনো অন্যায় করে নাই। ছোটবেলা থেকে কারও সঙ্গে ঝগড়া পর্যন্ত করে নাই। তাহলে ওকে নিলে কেন। ভগবান তোমার এ কেমন বিচার।’

দুর্ঘটনার সময় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ের উপপরিদর্শক মো. রোমান মোল্যা মহাসড়কে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি জানান, অর্ঘ্য তাঁর বাগ্‌দত্তাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ঢাকা থেকে খুলনার দিকে যাচ্ছিলেন। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সোনামুর মোড়ে একটি ট্রাক আগে থেকে দাঁড়িয়ে ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সেখানে দ্রুতগতিতে আসা অর্ঘ্যের মোটরসাইকেলটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক অর্ঘ্য মারা যান। মোটরসাইকেল আরোহী প্রতিভাও মারাত্মক জখম হন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে অর্ঘ্যের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্ত না করে দাহ করার অনুমতি দেওয়া হয়। রাতেই তাঁর মরদেহ স্বজনেরা সাতক্ষীরায় নিয়ে চলে যান।

 

Header Ad
Header Ad

শুরু হলো বাঙালির প্রেরণা ও গৌরবের ভাষার মাস

বাঙালির প্রেরণা ও গৌরবের ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। ছবি: সংগৃহীত

আজ ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন। শুরু হলো বাঙালির আবেগ, প্রেরণা ও গৌরবের ভাষার মাস। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির মধ্যে গভীর ভাবে মিশে আছে। দিনটিকে ঘিরে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে সৃষ্টি করেছিল অভূতপূর্ব এক অভিঘাত। যার ফলশ্রুতিতে এতদিনেও দিনটি মানুষের মনে বিশেষভাবে জায়গা দখল করে আছে।

স্বাধীনতার উন্মেষ-চেতনার ভিত রচিত হয়েছিল ৭৩ বছর আগের সেই আন্দোলনে। সেই জাগৃতি ও স্ফুরণের ধারাবাহিকতায় অর্জন আজকের বাংলাদেশ। ভাষাশহীদরা প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ের গহিনে চিরজাগরূক।

ভাষা আন্দোলনের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মূল্য অপরিসীম। এ কারণে ফেব্রুয়ারি মাস এলে দেশজুড়ে শুরু হয় নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। শহীদদের স্মরণে বাংলা একাডেমি মাসব্যাপী আয়োজন করে অমর একুশে বইমেলা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে বসে জাতীয় কবিতা উৎসব।

 বাঙালির প্রেরণা ও গৌরবের ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। ছবি: সংগৃহীত

শহীদ মিনারে আয়োজন করা হয় নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিদিন দেশব্যাপী থাকে নানা কর্মসূচি। বরাবরের মতো আজ থেকে মাসব্যাপী শুরু হচ্ছে সেসব আয়োজন।

ভাষা ঘিরে এই অভূতপূর্ব জাগরণ তৈরি হয়েছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নির্লজ্জ বৈষম্য সৃষ্টি থেকে। ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’—৭৩ বছর আগে পাকিস্তান সরকারের এমন ঘোষণায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাংলাভাষী সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বাংলার মানুষ এই অন্যায় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি। তাই বাংলা ভাষার সমমর্যাদার দাবিতে পূর্ব বাংলায় দ্রুত দানা বাঁধে আন্দোলন।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।ছবি: সংগৃহীত

আন্দোলন দমনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে ঢাকা শহরে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি এই আদেশ অমান্য করে ছাত্র ও রাজনৈতিক কর্মীরা মিলে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের কাছাকাছি পৌঁছলে পুলিশ ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচার গুলিবর্ষণ করে। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে শহীদ হন সালাম, রফিক, শফিক, জব্বার, বরকতসহ নাম না জানা আরো অনেকে। এতে তীব্র আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে।

ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখ বাঙালির ভাষাশহীদ দিবস। একই সঙ্গে দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। পৃথিবীর সব জাতিগোষ্ঠীর মানুষের মাতৃভাষার অধিকার ও মর্যাদার স্বীকৃতি স্মরণ করিয়ে দিতে দিনটি বাঙালি জাতির জন্য বিশেষ আবেগের। মাতৃভাষার জন্য বুকের তাজা রক্ত দেওয়ার উদাহরণ পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ভাষার জন্য বাংলার সূর্যসন্তানদের এই বিরল আত্মত্যাগ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর। ২০০০ সালে ইউনেস্কো বাংলা ভাষা আন্দোলন, মানুষের ভাষা এবং কৃষ্টির অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে।

এর মধ্য দিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি এখন বিশ্বের দেশে দেশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। শুধু বাংলা ভাষা নয়, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আরো যেসব ভাষার মানুষ আছে, তাদের নিজ নিজ মাতৃভাষা বিকাশের উদ্যোগ বেগবান করার তাগিদ দেয় এই দিবস।

Header Ad
Header Ad

কোরআনের হাফেজাকে বিয়ে করলেন সারজিস

কোরআনের হাফেজাকে বিয়ে করলেন সারজিস। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বিয়ে করেছেন। শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) গাজিপুরের রাজিন্দ্র রিসোর্টে শুক্রবার আসরের নামাজের পর পারিবারিকভাবে তাদের বিবাহ কার্য সম্পন্ন হয়েছে।

জানা গেছে, সারজিসের শশুরের নাম ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান। তার বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ২ নম্বর গৌরীচন্না ইউনিয়নে লাকুরতলা গ্রামে। পেশার তাগিদে ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান স্ত্রী, মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে রাজধানীর বাসাবো এলাকার শাহজাহানপুর এলাকায় বসবাস করেন। একবোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সার্জিস আলমের স্ত্রী সবার বড়। তিনি একজন কোরআনের হাফেজা। সবসময়ই পর্দা করে চলেন। তাই তার নাম প্রকাশ করতে কালবেলার কাছে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন তারা।

 বিয়েতে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ফেসবুক পোস্টে সারজিসকে বিয়ের জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ফেসবুকে বিয়ের ছবি পোস্ট করে আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, নবজীবনে পদার্পণে অভিনন্দন সার্জিস ভাই। বিবাহিত জীবন সুখের হোক।

কিছুক্ষণ পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিয়ের ছবি পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক লিখেছেন, অভিনন্দন, বন্ধু সার্জিস! তোমাদের একসঙ্গে ভালোবাসা এবং সুন্দর মুহূর্তে ভরা একটি জীবন কামনা করছি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসিফ মাহমুদ ও হাসনাত আব্দুল্লাহ একই ছবি পোস্ট করে সারজিস আলমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ছবিতে সারজিসকে শেরওয়ানি ও পাগড়ি পরা বরবেশে দেখা গেছে। তার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক, হবু স্ত্রীকে নিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় চিকিৎসক নিহত
শুরু হলো বাঙালির প্রেরণা ও গৌরবের ভাষার মাস
কোরআনের হাফেজাকে বিয়ে করলেন সারজিস
জ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বৃদ্ধি
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সড়কে ডাকাতি, চালককে কুপিয়ে জখম
কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা
মিয়ানমারে ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হলো জরুরি অবস্থার মেয়াদ
চট্টগ্রামে খাল খননের নামে দুর্নীতি, বিপুল অর্থ লুটপাটের অভিযোগ
নির্বাচনের আগেই পতিত স্বৈরাচারের বিচার নিশ্চিত করতে হবে : ছাত্রশিবির সেক্রেটারি
বিয়ে করলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা সজিবুল হুদা সিজু গ্রেফতার
বেনাপোল চেকপোস্টে যাত্রীশূন্যতা, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
বিশ্ব ইজতেমায় এক মুসল্লির মৃত্যু
ক্রিকেট বিশ্লেষক দেব চৌধুরীর ইসলাম গ্রহণ
নোবেল শান্তি পুরস্কারের দৌড়ে ইলন মাস্ক, পরপর দুই বছর মনোনীত
সারজিস আলমের নির্বাচনী আগ্রহ, কয়েক মিনিট পরেই সরিয়ে নিলেন পোস্ট
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কোনো প্রোগ্রাম করলেই ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
আল হিলাল ছেড়ে কোন ক্লাবে যাচ্ছেন? জানালেন নেইমার নিজেই
টিকটকে আপত্তিকর ভিডিও পোস্ট, মেয়েকে গুলি করে হত্যা করলেন বাবা
রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে গেল ৫ প্রাণ