রোহিঙ্গা ইস্যুতে জার্মানির সমর্থন চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ছবি : সংগৃহীত
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জার্মানির সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির নতুন রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি নতুন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজকে তার দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জার্মানির নতুন পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
রাষ্ট্রদূত ট্রস্টার মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের উদারভাবে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জার্মানির প্রায় ৮০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম অনুদানের প্রশংসা করেন।
ড. মোমেন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সবুজ পরিবর্তনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি ও ইঞ্জিনে জার্মান বিনিয়োগের জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।
জার্মান কোম্পানি দ্বারা বাস্তবায়িত ই-পাসপোর্ট প্রকল্প এবং সহযোগিতার অন্যান্য সম্ভাব্য ক্ষেত্রের অগ্রগতি সম্পর্কে মতবিনিময় করেন তারা।
জার্মানিকে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে বাংলাদেশে তার অফিস স্থাপনের আমন্ত্রণ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তরুণ বাংলাদেশি আবেদনকারীদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধা দিতে জার্মানির প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠকে আইটি সক্ষম পরিষেবাগুলোতে সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করা হয়।
আরইউ/টিটি