বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫ | ২৬ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা কে দিল? আমি তো কিছুই জানি না: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মহার্ঘ ভাতা পাবেন কি পাবেন না সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

তাহলে কি মহার্ঘ ভাতার বিষয় থেকে সরকার সরে আসছে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা কে দিলো? কে দিয়েছে ঘোষণা আমি জানি না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে এলে তারপরে সিদ্ধান্ত নেবো দেবো কি দেবো না, কত (দেবো), তারপর ঘোষণা দেবো।’

এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চান অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাবনা গেছে কি না- এর উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো এখনো ঘোষণা দেইনি। আমি তো এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি।’

ওভারটাইমের বিষয়টি সমাধান হয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কর্মচারীদের ওভারটাইম ইস্যু সমাধান করা হয়েছে। এখন যদি বলে পেনশন, গ্রাচ্যুইটি যোগ করতে হবে। তো অন্যান্য সংস্থারও তো অনেক দাবি আছে। সব দাবি পূরণ করা সম্ভব না। অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করতে হবে।”

সম্প্রতি সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে মূল বেতনের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার খসড়া প্রস্তুত করেছিল অর্থ বিভাগ।

তবে এরই মধ্যে পাওয়া সরকারি চাকরিজীবীর বাড়তি ৫ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) বাদ দেওয়ার সুপারিশও করা হয়। অর্থ বিভাগের হিসাবে এটি বাস্তবায়নে এক অর্থবছরে বাড়তি খরচ হবে অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

অর্থ বিভাগের খসড়া প্রস্তাবে ব্যয় কিছুটা কমাতে ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও প্রথম থেকে দশম গ্রেডের কর্মচারীদের ১০ বা ১৫ শতাংশ হারে ভাতার বিষয়টি আলোচনায় ছিল।

এ ক্ষেত্রে প্রথম থেকে দশম গ্রেডে ১০ শতাংশ দেওয়া হলে পাঁচ হাজার কোটির কিছু বেশি টাকার প্রয়োজন ছিল। আর ১৫ শতাংশ দেওয়া হলে ব্যয় আরেকটু বেড়ে দাঁড়াতো প্রায় ৫ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগ এ পরিমাণ টাকার সংস্থান করে সংশোধিত বাজেটে তা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করে।

তবে সরকার এ উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকেই নানান মহলে সমালোচনা শুরু হয়। বিশ্লেষকরা বলছিলেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ সমষ্টিক অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।

এর মধ্যে গত জুলাই-আগস্টে রাজনৈতিক পালাবদলের কারণে সরকারের রাজস্ব আহরণ ব্যাপক কমেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকার কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

দুর্বল শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করা হবে: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, দেশের দুর্বল শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। বুধবার (৯ এপ্রিল) দশম বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনে তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকগুলোর মধ্যে যেগুলো সমস্যাজর্জরিত, সেগুলোকে মার্জার বা একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

গভর্নর জানান, "ইসলামী ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠন করা হয়েছে এবং অনেক ব্যাংকই ঝামেলার মধ্যে রয়েছে। তবে এগুলোর একীভূত করার প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়িত হবে।" তিনি আরও বলেন, "বৈশ্বিক স্তরের ইসলামী ব্যাংকিং মডেল অনুসরণ করতে আমরা কাজ করছি এবং এই জন্য যথাযথ রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।"

গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার উদ্যোগ নেয় এবং এর আওতায় ১০টি দুর্বল ব্যাংককে মার্জার করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে ক্ষমতার পরিবর্তন এবং সরকারের পরিবর্তনের পর এই প্রক্রিয়া কিছুটা থমকে যায়। গভর্নর জানিয়েছেন, এবার এই উদ্যোগ পুনরায় চলমান রাখা হবে।

তিনি আরও বলেন, "যেসব ব্যাংকের বোর্ড কার্যকরভাবে কাজ করছে না, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেই ব্যাংকের বোর্ডে হস্তক্ষেপ করবে।"

এছাড়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এর মধ্যে ব্যাংকিং কোম্পানি আইন সংশোধন এবং ব্যাংক পরিচালনায় শাসনপদ্ধতিতে উন্নতি আনার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, "ব্যাংকের বোর্ড সদস্যদের যোগ্যতা যাচাই করা হবে এবং তা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে করা হবে।"

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এরই মধ্যে কিছু ব্যাংকের কার্যক্রম পরিবর্তন করতে সফল হয়েছে এবং ব্যাংকিং খাতের উন্নতির জন্য আরও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া, ডিজিটাল ব্যাংকিং এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) লেনদেন বৃদ্ধির প্রসঙ্গেও গভর্নর আশাবাদী, এবং ভবিষ্যতে এই সেক্টর থেকে আরও উন্নতির প্রত্যাশা করেছেন।

তিনি জানান, এজেন্ট ব্যাংকিংকে আরও শক্তিশালী করা হবে এবং নারীদের জন্য ৫০ শতাংশ এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সুযোগ দেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

গুলশানের এক কিলোমিটার রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করল ডিএনসিসি

গুলশানে ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযান। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় অবৈধ দোকান এবং স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে গুলশান-২ এর ৪৬ ও ৯০ নম্বর রোডে অভিযান চালানো হয়, যেখানে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছে।

এই অভিযানে অন্তত ২৫টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে, যার মধ্যে ছিল বিভিন্ন খাবারের টং দোকান এবং হকারদের সামগ্রীর দোকান। উচ্ছেদ কার্যক্রমের ফলে এলাকাবাসী ও চলাচলকারী সাধারণ মানুষের জন্য পথ চলা সহজ ও স্বাভাবিক হয়েছে।

এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীদুল ইসলাম বলেন, “রাস্তা এবং ফুটপাতে অবৈধ দোকান এবং স্থাপনা গড়ে ওঠায় স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ঘটছিল এবং যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলে নাগরিকদের চলাচল স্বাভাবিক হবে এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। আমাদের অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।”

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশের জবাবে ৮৪ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করল চীন

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়া হিসেবে চীন ১০ এপ্রিল থেকে সব ধরনের মার্কিন পণ্যের ওপর ৮৪ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বুধবার এ ঘোষণা দিয়েছে।

এর আগে, ২ এপ্রিল ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা দেশগুলোর ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করেছিলেন, যার মধ্যে চীনের জন্য ৩৪ শতাংশ শুল্ক অন্তর্ভুক্ত ছিল। চীনও এর পরদিন মার্কিন পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে।

৭ এপ্রিল, সোমবার, ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চীনের ওপর শুল্ক আরও বাড়ানোর হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, চীন যদি ৮ এপ্রিলের মধ্যে শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তবে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে। তবে, চীন ওই হুমকিতে সাড়া না দেওয়ায় ৯ এপ্রিল থেকে শুল্ক বৃদ্ধি কার্যকর করেছে। বর্তমানে, চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ১০৪ শতাংশ।

এদিকে, চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির সঙ্গে কথা বলার সময় জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপে বেইজিং কোনো ধরনের বিচলিত নয় এবং শুল্ক বৃদ্ধি করলে চীন পাল্টা পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

এছাড়া, ২ এপ্রিলের পর ট্রাম্প আরও ১২টি দেশের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন, যার মধ্যে যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর রয়েছে। সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ভিয়েতনামের ওপর, যা ৪৬ শতাংশ। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্কের পরিমাণ ৩৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

সূত্র: আরটি, আলজাজিরা, বিবিসি

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুর্বল শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করা হবে: গভর্নর
গুলশানের এক কিলোমিটার রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করল ডিএনসিসি
যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশের জবাবে ৮৪ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করল চীন
মুজিববর্ষে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়, শেখ হাসিনা-রেহানার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
১৫ কোটি বাজেটের ‘বরবাদ’-এ শাকিবের পারিশ্রমিক ১ কোটি ২০ লাখ টাকা
‘অতি গোপনীয় অভিযোগ’ নিয়ে দুদকে হাসনাত-সারজিস
ডিসেম্বরের আগে সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চাওয়া হবে: সালাহ উদ্দিন
ঈদযাত্রায় সড়কে ৩১৫ দুর্ঘটনায় ৩২২ জন নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
উদ্ধার করা সওজের জমি দখলে নিল সমন্বয়করা!
নবাব শেখের ভাইরাল সেই ‘চলমান-খাট’ নিয়ে গেছে পুলিশ
টাঙ্গাইলে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ৪৮ হাজার শিক্ষার্থী
মাঠে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আম্পায়ার গাজী সোহেল
বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা
বিনিয়োগ সম্মেলনে ইয়ংওয়ান প্রধানকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিল বাংলাদেশ
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে বিসিএসসহ সরকারি চাকরি, দুদকের তদন্তে মিলেছে প্রমাণ
এসএসসি পরীক্ষায় মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
‘মাইক্রোসফটের সবার হাতে ফিলিস্তিনিদের রক্ত’, প্রতিবাদ করে বরখাস্ত দুই কর্মী
বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
হত্যা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সার গ্রেপ্তার
সংস্কার সুপারিশে ত্রিমুখী অবস্থানে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির