বুধবার, ১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র একটি বেসরকারি উদ্যোগ এবং এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি জানান, এই ঘোষণাপত্রকে তারা প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ হিসেবে দেখছেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ঘোষণা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এর বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা জানান, ৩১ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়। সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্ট ঘোষণাপত্র প্রকাশ না হওয়ার কারণে বিদেশে বসে ফ্যাসিস্টরা ষড়যন্ত্র করছে। এটি গণঅভ্যুত্থানের বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

তিনি আরও বলেন, ৩১ ডিসেম্বর মুজিববাদী ’৭২-এর সংবিধানের কবর রচনা করে নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ঘোষণা করা হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘোষণার মাধ্যমে মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা হবে।

Header Ad
Header Ad

ছাত্রদের জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা পেছানোর কারণ যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে মতবিরোধ এবং রাজনৈতিক সমঝোতার অভাবে ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেন যে, ঘোষণাপত্র জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে হতে হবে। এ নিয়ে উপদেষ্টাদের মধ্যেও বিরোধ দেখা দেয়।

বিরোধের মূলে কী ছিল?

১. রাজনৈতিক সমন্বয়ের অভাব: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের মতে, জাতীয় ঐকমত্য ছাড়া কোনো ঘোষণা দেওয়া উচিত নয়। তিনি ছাত্রনেতাদের সতর্ক করে দেন যে, এককভাবে ঘোষণা দিলে তিনি সরকারের সঙ্গে থাকতে পারবেন না।

২. আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় পর্যায়ের উদ্বেগ:
- ছাত্রদের একক ঘোষণার ফলে রাজনৈতিক বিভাজন এবং বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা দেখা দেয়।
- লন্ডনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গেও ছাত্রনেতাদের আলোচনা হয়।

৩. সরকার ও উপদেষ্টাদের মতবিরোধ:
- আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ঘোষণাপত্রের বিরোধিতা করেন।
- ছাত্রউপদেষ্টাদের মধ্যে পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।

গত সোমবার গভীর রাতে দফায় দফায় আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় যে, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হবে। ছাত্ররা আপাতত ঘোষণাপত্র প্রকাশ থেকে সরে এসে কর্মসূচি স্থগিত সিদ্ধান্ত নেয়।

বিরোধী মতামত এবং প্রতিক্রিয়া

১. ছাত্র আন্দোলনের ভেতর দ্বিধা:
- একটি অংশ মনে করে, কর্মসূচি স্থগিত করা আন্দোলনের দুর্বলতা প্রকাশ করে।
- তাদের দাবি, সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করলে ছাত্র আন্দোলনের স্বাতন্ত্র্য হারাবে।

২. বিএনপির অবস্থান:
- বিএনপি মনে করে, ছাত্রদের এই একক উদ্যোগ রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে।
- দলটির মতে, ছাত্র আন্দোলনের দাবি অরাজকতা তৈরির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে।

৩. অন্যান্য রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:
- জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির এই কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে কোনো ভূমিকা নেয়নি।
- সরকার সমন্বিত ঘোষণার উদ্যোগ নিয়ে অস্থিতিশীলতা রোধের চেষ্টা করেছে।

শেষ পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলন “মার্চ ফর ইউনিটি” নামে কর্মসূচি ঘোষণা করে। এতে জনগণের ঐক্য এবং সংস্কারমূলক দাবির প্রতি জোর দেওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, ঘোষণাপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ১৯৭২ সালের সংবিধান সংশোধনের দাবি জানানো হবে। তবে রাজনৈতিক দল ও সরকারের অবস্থান বিবেচনা করে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসার অপেক্ষায় রয়েছে সবাই।

ছাত্রদের ঘোষণাপত্র আপাতত স্থগিত থাকলেও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ঘোষণা তৈরির প্রক্রিয়া তাদের দাবি বাস্তবায়নের সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করেছে। তবে সরকার ও ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে কিভাবে এটি কার্যকর হবে, তা দেখার বিষয়।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নওগাঁয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ র‌্যালী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

উৎসাহ-উদ্দীপনা আর র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে নওগাঁয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে শহরের নওযোয়ান মাঠ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে কেডির মোড় দলীয় কার্যালয় সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন বিন ইসলাম দোহা নেতৃতে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক অমিয় কুমার সরকারসহ ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা প্রতিষ্ঠা-বার্ষিকীর র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।

এসময় র‌্যালি ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন, নওগাঁ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ, জেলা বিএনপির সাবেক সাবেক সভাপতি নজমুল হক সনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম টুকু, আমিনুল হক বেলাল, শফিউল ইসলাম রানা, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ হায়দার টিপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক শফিউল আজম আজম টুটুল, মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রিনা পারভিনসহ অন্যান্যরা।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সর্ব বৃহত ছাত্র সংগঠন। ছাত্রদল সবসময় গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করে এসেছে। এতদিন স্বৈরাচার হাসিনা সরকার ছাত্রদলের অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। আজ দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

রেমিট্যান্স আয়ে সপ্তম বাংলাদেশ, শীর্ষে ভারত

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালে রেমিট্যান্স আয়ের তালিকায় বাংলাদেশ সপ্তম অবস্থানে ছিল। প্রবাসীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এসেছে সাড়ে ২৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ। শীর্ষে রয়েছে ভারত, যার রেমিট্যান্স আয় ছিল ১২৯.১ বিলিয়ন ডলার।

বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক ব্লগের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এ তথ্য জানিয়েছে। ভারতের রেমিট্যান্স আয়ের পরিমাণ বৈশ্বিক রেমিট্যান্সের ১৪.৩ শতাংশ, যা চলতি শতকের সর্বোচ্চ।

বিশ্বের শীর্ষ রেমিট্যান্স আয়ের দেশগুলো

১. ভারত: ১২৯.১ বিলিয়ন ডলার
২. মেক্সিকো: ৬৮ বিলিয়ন ডলার
৩. চীন: ৪৮ বিলিয়ন ডলার
4. ফিলিপাইন: ৪০ বিলিয়ন ডলার
৫. পাকিস্তান: ৩১ বিলিয়ন ডলার
৬. নাইজেরিয়া: ২৯ বিলিয়ন ডলার
৭. বাংলাদেশ: সাড়ে ২৬ বিলিয়ন ডলার
৮. মিসর: ২২ বিলিয়ন ডলার
৯. গুয়াতেমালা: ২১.৫ বিলিয়ন ডলার
১০. জার্মানি: ২১.৫ বিলিয়ন ডলার

২০২৪ সালে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে অবদান রেখেছে। এটি দেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মহামারি-পরবর্তী সময়ে ভারতে প্রবাসীদের অর্থ পাঠানোর হার দ্রুত বেড়েছে। ২০২৪ সালে ভারতের রেমিট্যান্স আয় দ্বিতীয় স্থানে থাকা মেক্সিকোর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং কম দক্ষ শ্রমিকদের অভিবাসন কমে যাওয়ায় রেমিট্যান্স আয়ের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

২০২৪ সালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান উৎস হিসেবে ৬৮৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আয় করেছে। প্রবাসী আয়ের এই প্রবাহ সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকে (FDI) ছাড়িয়ে গেছে।

রেমিট্যান্স আয়ের এই ধারা বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ছাত্রদের জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা পেছানোর কারণ যা জানা গেল
নওগাঁয় ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
রেমিট্যান্স আয়ে সপ্তম বাংলাদেশ, শীর্ষে ভারত
গাইড বই কোম্পানি সাথে ১৪ লাখ টাকা চুক্তিকাণ্ডে তদন্ত কমিটি গঠন
১ ঘণ্টায় বাংলাদেশ দখলের হুমকি দিয়েছে ভারতের নাগা সাধুরা
চার মাসে ম্যাজিকাল কিছু করা যাবে না: বিসিবি সভাপতি
দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ  
‘আজ বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০৯ কোটি’  
৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের সচিবালয়ের সামনে প্রতিবাদ, প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্তির দাবি
ওমরাহ পালন করছেন অহনা রহমান, জানালেন নতুন বছরের শুভেচ্ছা
এবার দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্ষবরণে কোনো উদযাপন হয়নি  
২০২৫ সাল হবে শেখ হাসিনা ও আ.লীগ নেতাদের বিচারের বছর: চিফ প্রসিকিউটর
ভারতের ‘র’-এর মাধ্যমে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুকে ক্ষমতাচ্যুতের ষড়যন্ত্র
২০২৫ সালে বাংলাদেশ ফুটবলের সময় সময়সূচি
সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে দেব না, এটা আমার অঙ্গীকার: সেনাপ্রধান
বেলুন ও পায়রা উড়ানোর মাধ্যমে শুরু ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান  
ইসকনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২৩৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা, অনুসন্ধান শুরু  
বছরের প্রথমদিন বই দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ শিক্ষা উপদেষ্টার
ইসরায়েলের কারাগারে বন্দিদের দুঃস্বপ্ন: নির্যাতনের ক্ষত, ধর্ষণ ও মানসিক অসুস্থতা
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কুবি শাখা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ