রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভারতের জনগণের উদ্দেশে ১৪৫ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের জনগণকে উদ্দেশ্য করে ‘ভারতের জনগণের কাছে আমাদের আবেদন’ শিরোনামে বিবৃতিতে দিয়েছেন বাংলাদেশের ১৪৫ জন নাগরিক। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা এমন এক সংকটপূর্ণ সময়ে অবস্থান করছি, যখন ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক শোচনীয় অবস্থায় এবং কিছু ভারতীয় উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির ক্রমাগত উসকানি এ অঞ্চলের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে চিড় ধরাতে চাইছে। ভারতের জনগণ ও ভারত সরকারকে আমরা কখনোই এক করে দেখি না।

আমরা জানি, ভারতের জনগণও হিন্দুত্ববাদী শক্তি ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়ছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন লড়াই করে তার পতন ঘটিয়েছি। জুলাই-আগস্টের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের সময় আপনারা আমাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন। আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আপনাদের আর আপনাদের আন্দোলনে আমাদের সংহতি প্রকাশের ধারাবাহিকতা অনেক দিনের।

সাম্প্রদায়িকতাকে ভারতীয় উপমহাদেশের বড় সমস্যা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রদায়িকতা মানুষে মানুষে বিভাজন ঘটায়, ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি করে বিভেদ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কাজের অধিকার, নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, নারীর প্রতি সহিংসতা এবং জনজীবনের আরও অনেক জলজ্যান্ত সমস্যা আড়াল করার জন্য উপমহাদেশের প্রত্যেক শাসকগোষ্ঠীই সাম্প্রদায়িকতার হাতিয়ার কাজে লাগিয়েছে। তারা এই কৌশল খাটিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘু উভয় জনগোষ্ঠীর ভোট পাওয়াটা নিশ্চিত করতে চায়। বিশেষত রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় সংখ্যালঘু জনগণের ওপর হামলার ঘটনা বারবার ঘটতে দেখা যায়।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশব্যাপী হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর আর হতাহতের ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর সারা দেশে হিন্দু জনগোষ্ঠীর ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আর মন্দিরে মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এবার গণ-অভ্যুত্থানের প্রেরণায় অনেক রাজনৈতিক দল হিন্দু ঘরবাড়ি ও মন্দির পাহারায় এগিয়ে আসে এবং সম্প্রীতির নতুন নজির স্থাপন করে। এ ছাড়া ভারতের জাতীয় পতাকা মাড়ানোর ঘটনায়ও এ দেশের গণতন্ত্রমনা মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছে।

বিবৃতিদাতারা বলেন, আমরা দেখতে পেলাম, ভারতের অনেক সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশ সম্পর্কে আসল তথ্য প্রচার করেনি, এখনও করছে না। যেমন: ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা রুটের একটি বাণিজ্যিক পরিবহনের এক বাস গত ৩০ নভেম্বর দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বাসটি সড়কের পাশে একটি ভ্যানে ধাক্কা দেয়। ভারতের একটি সংবাদমাধ্যম এই দুর্ঘটনাকে পরিকল্পিত হামলা বলে প্রচার করে। সেই প্রচারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে আক্রমণ হয়, বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়।

এ ঘটনায় ভারত সরকার দুঃখ প্রকাশ করে । কিন্তু এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণা বন্ধের কোনো কার্যকর উদ্যোগ তারা নেননি। আমরা চাই, বাংলাদেশের প্রকৃত ঘটনা যথাযথ দেখানো হোক। এ ধরনের প্রচারণা থেকে যে কোনো দেশেই লাভবান হয় সাম্প্রদায়িক শক্তি, লাভবান হয় শাসকগোষ্ঠী। এরা সাম্প্রদায়িক মনোভাব কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় বসতে চায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হওয়ার পর ভারত সরকার যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে তা আমাদের অবাক করেছে। তিনি ভারতের নাগরিক নন। তার বিরুদ্ধে ইসকনের অভ্যন্তরেই অভিযোগ ছিল এবং সেই প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত প্রক্রিয়াকে চিন্ময় বাধাগ্রস্ত করে উল্টো ইসকনের বিরুদ্ধেই মামলা করেছিলেন। সে কারণে ইসকন তাকে বহিষ্কার করে। চিন্ময় কৃষ্ণের বিচার পাওয়ার অধিকারকে আমরা সমর্থন করি, সেটা সবারই আছে। কিন্তু ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেভাবে তড়িঘড়ি করে তার পক্ষে বিবৃতি দিলো, তা বিস্ময়কর।

তাকে আদালতে উপস্থিত করার দিন ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়। এ দেশের জনমানুষের সম্মিলিত চেষ্টায় এই ঘটনার অজুহাতে বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমরা বলতে চাই, হিন্দুদের কিছু ধর্মীয় সংগঠন সমগ্র হিন্দু সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে না। হিন্দু সম্প্রদায় থেকে অনেকেই এ ধরনের সাম্প্রদায়িক প্রচারণার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। সর্বশেষ ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে আক্রমণের বিরুদ্ধেও হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে আলাদা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। এসব বিক্ষোভে এ দেশের হিন্দু জনগোষ্ঠীও বিপুল সংখ্যায় অংশ নিয়েছেন।

বিবৃতিদাতারা বলেন, বাংলাদেশের হিন্দু জনগোষ্ঠী বরাবরই অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এ দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং সকল ধরনের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে হিন্দু জনগোষ্ঠীর ভূমিকা উজ্জ্বল। জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানেও হিন্দু জনসাধারণের অনেকেই লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন, প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। অনেক ভারতীয় প্রচারমাধ্যম এই গণ-অভ্যুত্থানকে ইসলামি মৌলবাদের বিজয় বলে অভিহিত করেছে। বাংলাদেশের হিন্দুরা তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। লড়াইয়ের মধ্যে গড়ে ওঠা বাঁধনটা এ দেশে এখনও অটুট আছে। এ দেশে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ড নেই এমন নয়, কিন্তু তাবত জনগোষ্ঠীর ঐক্যই তা রোধ করার একমাত্র উপায়।

আমাদের দুই দেশের জনগণের সমস্যার গোড়ায় একই জিনিস। এই সমস্যার সমাধান সাম্প্রদায়িক সংঘাতে বা সংঘর্ষে পাওয়া যাবে না এবং হিন্দু-মুসলমান উত্তেজনায়ও এর সমাধান নিহিত নেই। সাধারণ জনগণের জীবন-সংকট বিচার করলে দুই দেশের মধ্যে মূলত কোনো পার্থক্য নেই।

ভারতের নাগরিকদের উদ্দেশে বিবৃতিদাতারা বলেন, আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক প্রবণতা আর শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়ব। আপনারাও আপনাদের দেশে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। আপনাদের দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে, গণ-অভ্যুত্থানে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের আকাঙ্ক্ষার মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে আপনারা এই চক্রান্ত প্রতিহত করবেন। এ লড়াই ভারতের বৃহৎ পুঁজির শোষণ-লুণ্ঠন আর নিপীড়ন-নির্যাতন-আধিপত্যের বিরুদ্ধে উভয় দেশের জনগণের নিরন্তর লড়াই। বিভেদ, বিদ্বেষ আর ধর্মকেন্দ্রিক স্বার্থান্বেষী চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই। এই লড়াই এগিয়ে যাবে, এই প্রত্যাশা আমরা করি। এই লড়াইয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত জয়ী হব।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন আনু মুহাম্মদ, সলিমুল্লাহ খান, সাঈদ ফেরদৌস, হারুন-অর-রশীদ, স্বাধীন সেন, গীতি আরা নাসরীন, ফাহমিদুল হক, কামরুল হাসান মামুন, তুহিন ওয়াদুদ, সামিনা লুৎফা, মোশরেফা মিশু, সীমা দত্ত, আলতাফ পারভেজ, কল্লোল মোস্তফা, আশরাফ কায়সার, মাহা মীর্জা, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, মানজুর আল-মতিন, সায়ান, অমিতাভ রেজা চৌধুরী প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

আনন্দবাজারের প্রতিবেদন

গুম করে বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা!

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসসের বরাত দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাদেশে অপরাধে অভিযুক্ত অনেককে গ্রেপ্তার না করে গুম করে দেয়া হতো। ক্ষমতায় আসার পর এই অভিযোগ তুলেছে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার।

এবার তাদের তদন্ত কমিশন সেই সব গুমের ঘটনায় প্রতিবেশী ভারতের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে।

শেখ হাসিনা সরকারের আমলের বিভিন্ন অভিযোগের সত্য উদ্‌ঘাটনের উদ্দেশ্যে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে বাংলাদেশ। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশন সম্প্রতি একটি রিপোর্ট তুলে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের হাতে। হাসিনার আমলে গুমের ঘটনাগুলিতে ভারতের যোগের কথাই শুধু নয়, ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এখনো কিছু বাংলাদেশি বন্দি ভারতের জেলে আটকে থাকতে পারেন। দেশের আইন মহলে এই ধরনের কথা চালু আছে বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিশন।

কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে এখনও কিছু বাংলাদেশি বন্দি আটকে থাকতে পারেন। দেশের বিদেশ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আমাদের প্রস্তাব, তাদের চিহ্নিত করা হোক। কারণ, আমাদের পক্ষে বাংলাদেশের সীমানার বাইরে কিছু করা সম্ভব নয়। আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে হাসিনার ‘ঘনিষ্ঠতা’ প্রথম থেকেই ভাল চোখে দেখছে না ইউনূসের সরকার।

তাদের তদন্ত কমিশন এ-ও দাবি করেছে, দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময় করা হয়ে থাকতে পারে। সেই সব বন্দিদের সম্ভাব্য ভাগ্য সম্পর্কেও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে। এই দাবির প্রেক্ষিতে দু’টি মামলার কথা উল্লেখ করেছে কমিশন।

প্রথমত বলা হয়েছে সুখরঞ্জন বালির কথা, যাকে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে তাকে ভারতের জেলে পাওয়া যায়।

দ্বিতীয়ত, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যার অভিজ্ঞতা থেকেও ভারত-বাংলাদেশ যোগের প্রমাণ মেলে বলে দাবি। ২০১৫ সালে ঢাকা থেকে সালাউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, পরে সেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন তিনি। ড. ইউনূসের কাছে গত সপ্তাহে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে বাংলাদেশের এই কমিশন।

রিপোর্টের শিরোনাম ছিল ‘সত্য উদ্ঘাটন’। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, হাসিনার আমলে সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষকে গুম করা হয়েছিল। হাসিনা এবং তার একাধিক উপদেষ্টা, মন্ত্রীদের সরাসরি যোগ ছিল সে সব ঘটনায়। মূলত বাংলাদেশের এলিট ফোর্স- র‌্যাবের (র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন) মাধ্যমে গুম করানো হতো বলে দাবি করেছে কমিশন।

পরিসংখ্যান বলছে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় মোট ১৬৭৬টি গুমের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে ৭৫৮টি অভিযোগের তদন্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ২৭ শতাংশ মানুষকেই আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে যারা ফিরেছেন, তাদের পুলিশের খাতায় ‘গ্রেপ্তার’ হিসাবে দেখানো হয়েছিল। ঢাকা এবং তার বাইরে মোট আটটি গোপন বন্দিশালাও খুঁজে পেয়েছে কমিশন।

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

বিরামপুরে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সন্ত্রাসীদের হামলায় চারজন নিহতের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সাদপন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে দিনাজপুরের বিরামপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে তাবলীগ জামায়াতের উদ্যোগে আলেম ওলামা ও তাবলীগের সাথীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি বিরামপুর আলমি শুরা মারকায থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় ঢাকা মোড়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আলমি শুরা মারকায শুরা সদস্য মাওলানা আমিরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিরামপুর ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুল হাকিম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি ফকরুল ইসলাম, মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা আব্দুর রউফ, মুফতি নাজিমুদ্দিন, মাওলানা এমদাদুল হকসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ওলামাগণ।

সমাবেশে বক্তারা বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের মর্মান্তিক ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা হাফিজুর ইসলাম।

পরে সমাবেশ শেষে বিরামপুর আলমি শুরা মারকাযের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রদান করা হয়।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের পরে নওগাঁয় পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে ধরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। রোববার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে তারা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

পরে পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন সেখানে উপস্থিত হলে শিক্ষার্থীরা তাদের ৯ দফা দাবি পেশ করেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে সেখান থেকে সরে দাঁড়ায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পরে পুলিশ বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের মদদে কাজ করছে। রাজনৈতিক দল যা চাচ্ছে পুলিশ সেটিই করছে। সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করছেনা। আগামী ৭ দিনের মধ্যে ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে নওগাঁ জেলার সকল থানা ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নওগাঁর নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী, জুলাই বিপ্লবের আগে পুলিশের প্রতি মানুষের যে ক্ষোভ ছিল সে জায়গা থেকে আমরা মনে করেছিলাম পুলিশ কাজ করে মানুষের মন জয় করে নিবে। কিন্তু সে কাজে তার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এখনো আগের মতোই রয়ে গেছে। এখনো নওগাঁতে চাঁদাবাজি হচ্ছে। থানাতে গেলে কারো রেফারেন্স ছাড়া মামলা নেয়া হয় না। এগুলো আমরা চাইনি। আমরা চাই একজন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ যেন সুবিধা পায়।

নেতৃত্ব দেওয়া আরেক শিক্ষার্থী আরমান হোসেন বলেন, জুলাই বিপ্লবের সময় ছাত্রলীগ যুবলীগ আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনীরা আমাদের উপর নৃশংসভাবে হামলা করে। হামলাকারীরা এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, পুলিশের সাথে ঘুষ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এটা তাদের একটি সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা নিজের চোখে দেখেছি তারা এখনও ঘুষ নিচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও তারা ব্যবস্থা না নেওয়ায় আজকে আমরা এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি আদায় না করা হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

নওগাঁ পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, তাদের দাবি-দাওয়া গুলো শুনেছি। তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে সবাই মিলে একসাথে কাজ করবো। দেশ স্বাধীনতার যে সুফল সেটি সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গুম করে বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা!
বিরামপুরে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস
কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের
গাইবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার
ডিসেম্বরেই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১১০০ মিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ
বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হয়ে যা হলো
ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন
আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারীসহ ২ জন নিহত
বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
আবারও বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে শীত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
সুরের জাদুতে ঢাকার মঞ্চ মাতালেন রাহাত ফতেহ আলী খান
আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক
নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ