শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪ | ২৩ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘বিশ্বই যেন বাংলাদেশের কাছে আসে সেভাবেই দেশকে গড়তে হবে’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা বিশ্বের কাছে যাব না, বিশ্বই যেন বাংলাদেশের কাছে আসে সেভাবেই দেশকে গড়ে তুলতে হবে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দুই দিনব্যাপী ‘বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যানের শতবর্ষ উদযাপন: ঢাকার উত্তরাধিকার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগ এবং সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ ইন ন্যাচারাল সায়েন্সেস, ঢাবি যৌথভাবে এই উৎসবের আয়োজন করেছে।

ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সুফল পেতে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে সবার পরামর্শ চেয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা বিশ্বের কাছে যাব না, বিশ্বই যেন বাংলাদেশের কাছে আসে, সেভাবেই দেশকে গড়ে তুলতে হবে।

বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক সমাজ তাদের চিন্তার স্বাধীনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে আবার ফিরে পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেন ড. ইউনূস।

সেমিনারে বিশ্বমানের গবেষণা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, বিজ্ঞান চর্চাকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, ১৯২৪ সাল অনেক পেছনে রেখে এসেছি। কালের পরিক্রমায় বসুর আবিষ্কারটি কী এতটুকু ম্লান হয়েছে? পদার্থবিদরা বলছেন মোটেই না। যার প্রমাণ এই আবিষ্কারের ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্য প্রমাণ করে সৃষ্ট বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে ২০০১ সালে। এ নিয়ে গবেষণা চলছেই।

ড. ইউনূস বলেন- শুনেছি কার্জন হলে পঠন-পাঠনের কাজের ভেতরেই নবীন অধ্যাপক বসুর কাছে নতুন কোয়ান্টাম থিওরির শুরুর মধ্যে যে অসঙ্গতি ধরা পড়েছিল, তার থেকেই ওই আবিষ্কারের চিন্তাটি তার মাথায় এসেছিল। অখ্যাত জায়গার অখ্যাত এই বিজ্ঞানীর এই অদ্ভুত আবিষ্কারের কথা দুনিয়ার কোন জার্নাল ছাপতে যাবে? কিন্তু নিজের কাজের ওপর অত্যন্ত আস্থাশীল বসু সোজা সেদিনের দুনিয়ায় সব থেকে প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের কাছে জার্মানিতে পাঠিয়ে দিলেন এ আবিষ্কার নিয়ে তার ছোট্ট প্রবন্ধটি। সঙ্গে চিঠি দিলেন, নিজের পরিচয় দিলেন- আমি আপনার সরাসরি ছাত্র না হলেও, আপনার ভাব-শিষ্য, এই বলে। আইনস্টাইন চট করে বুঝে ফেললেন এ কোনো সাধারণ আবিষ্কার নয়। এর সঙ্গে নিজেরও একটি বাড়তি ধারণা যোগ করে এবং প্রবন্ধটি নিজের হাতে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করে পদার্থবিদ্যার বিখ্যাত জার্নালে পাঠিয়ে দিলেন। সেই থেকে এটি বোস-আইনস্টাইন থিওরি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিপ্লবের ফসল আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য প্রয়োজনীয় সব সংস্কার করতে, এর উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির সকল প্রয়াস নিতে প্রস্তুত রয়েছে। এই কাজে নিবেদিত সবার কাছ থেকে চাহিদা, পরামর্শ আসতে হবে। নিজের ওপর আস্থা থাকলে এটি আমরা পারব- যেমন আস্থা বসুর ছিল।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান এবং কলকাতার সাবেক অধ্যাপক পার্থ ঘোষ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Header Ad

হামাস-হিজবুল্লাহর হাতেই ইসরায়েলি দখলদারিত্বের সমাপ্তি হবে: খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা সাইয়েদ আলি খামেনি। ছবি: সংগৃহীত

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা সাইয়েদ আলি খামেনি হিজবুল্লাহর প্রয়াত মহাসচিব শহিদ সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহর সাহস এবং কৌশলগত দূরদর্শিতার প্রশংসা করেছেন, যা লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির উল্লেখযোগ্য শক্তি এবং প্রভাবের জন্ম দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘হাসান নাসরুল্লাহর আল্লাহর ওপর নির্ভরশীলতা এবং তার সাহস, জ্ঞান এবং ধৈর্যের কারণে হিজবুল্লাহ অসাধারণভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে’।

বৃহস্পতিবার তেহরানে ইরানের অ্যাসেম্বলি অব এক্সপার্টস সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে খামেনি এ কথা বলেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, হিজবুল্লাহ এমন এক শক্তি হয়ে উঠেছে, যাকে শত্রুরা পরাজিত করতে পারেনি। যদিও তারা সমস্ত সামরিক, মিডিয়া এবং রাজনৈতিক সম্পদ ব্যবহার করে ফায়দা নিচ্ছে।

তিনি বলেন, সাইয়েদ নাসরুল্লাহ ‘একটি স্থায়ী উত্তরাধিকার রেখে গেছেন। আর তা হলো- হিজবুল্লাহ’। যা গত চার দশকে একটি ছোট যোদ্ধা দল থেকে একটি শক্তিশালী শক্তিতে পরিণত হয়েছে এবং একাধিকবার ইসরাইলি দখলদারিত্বকে লেবাননের এলাকা থেকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছে।

খামেনি বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে যে, হিজবুল্লাহ দুর্বল হয়ে গেছে, তারা ভুলের মধ্যে আছে। একদিন গোটা পৃথিবী দেখবে- কিভাবে এই প্রতিরোধ যোদ্ধারা দখলদার ইসরাইলকে পরাজিত করবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘শত্রু এই সংগঠনকে পরাজিত করতে পারেনি এবং ইনশাআল্লাহ তারা কখনও পারবেও না। একদিন বিশ্ব দেখবে যে, ইসরাইলি দখলদাররা এই যোদ্ধাদের হাতেই পরাস্ত হবে’। সূত্র: আল-মায়াদিন

Header Ad

শহীদ নাফিজের দেহ বহনকারী সেই রিকশাটি গণভবনের জাদুঘরে

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ গোলাম নাফিজের দেহ বহনকারী রিকশাটি জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে রাখা হবে। বৃহস্পতিবার গণভবনে নাফিজের দেহ বহনকারী রিকশাটি দেখতে এসে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন।

গণভবনে রিকশা হস্তান্তরের সময় উপদেষ্টা রিকশাচালক নূর মোহাম্মদকে তাঁর সাহসিকতার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন।

গত ৫ নভেম্বর ‘নাফিজের নিথর দেহ পড়ে থাকা রিকশাটি বিক্রি করে দিয়েছেন নুরু’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করে একটি গণমাধ্যম। পরে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম তাৎক্ষণিক রিকশা ও রিকশাচালককে খুঁজে বের করার জন্য তাঁর দপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী রিকশাচালক নূর মোহাম্মদ ওরফে নুরুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা (রিকশা) ৩৫ হাজার টাকায় লন্ডনপ্রবাসী আহসানুল কবীর সিদ্দিকী কায়সারের নিকট বিক্রি করেছেন বলে জানান। পরবর্তী সময় আহসানুল কবীর সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিকশাটি জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে হস্তান্তর করার ইচ্ছা পোষণ করেন। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রিকশাটি জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফার্মগেটের পথচারী-সেতুর নিচে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী গোলাম নাফিজ। গুলিবিদ্ধ নাফিজকে পুলিশ যখন রিকশার পাদানিতে তুলে দেন, তখনো তিনি রিকশার রডটি হাত দিয়ে ধরে রেখেছিলেন। রিকশাচালক তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। পরবর্তী সময় এই রিকশার ছবি কাঁদিয়েছে পুরো বাংলাদেশকে।

Header Ad

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ সময় নতুন করে এক হাজার ২০৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৪০৬ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ১০৮ জন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৯ হাজার ৪৫৬ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৭৯৩ জন। মারা গেছেন ৩৩৭ জন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হামাস-হিজবুল্লাহর হাতেই ইসরায়েলি দখলদারিত্বের সমাপ্তি হবে: খামেনি
শহীদ নাফিজের দেহ বহনকারী সেই রিকশাটি গণভবনের জাদুঘরে
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু
পদত্যাগ করলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান
শেখ হাসিনাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করল ভারত
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বাজারে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, খাবার হোটেলে জরিমানা
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জামায়াতের অভিনন্দন
২০ বাংলাদেশিকে ফেরত দিলো আরাকান আর্মি
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত
‘দেশের মানুষের কাছে এই মুহূর্তে সংস্কারের চেয়ে নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ’
নিজেকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে ট্রাম্পকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
‘বিশ্বই যেন বাংলাদেশের কাছে আসে সেভাবেই দেশকে গড়তে হবে’
ভাগ্য খুলতে পারে ২৭তম বিসিএসে বাদপড়াদের
স্মার্টফোনে ইন্টারনেটের গতি কম? জেনে নিন বাড়ানোর কৌশল
সালমানের পর এবার শাহরুখকে হত্যার হুমকি
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চালু হলো বেনাপোল পৌর বাস টার্মিনাল, যানজট নিরসনে আশাবাদ
ট্রাম্পের জয়ে বাড়ল ডলারের দর, বিটকয়েনের দামে নতুন রেকর্ড
বিচারহীনতার ৯ বছর পেরিয়েও বিচার পায়নি গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালরা
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ৫ বাংলাদেশির জয়
প্রতারণা বন্ধে প্রায় ২ লাখ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ ও ৪ লাখ অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত করেছে ইমু