জেল হত্যা দিবস আজ
সৈয়দ নজরুল ইসলাম (বাম থেকে), তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত
আজ ৩ নভেম্বর, জেল হত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যা ষড়যন্ত্রের সম্প্রসারিত অংশ হিসেবে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
হত্যা করা হয় কারাগারে বন্দি জাতীয় চার নেতাকে, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে। তারা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে অসামান্য ভূমিকা পালন করেন।
এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের আড়াই মাস আগে ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয় তার চার বিশ্বস্ত সহযোগীকে। এ হত্যাকাণ্ড স্মরণে প্রতি বছর ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর (১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর) ওই সময়ের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, তার নেতৃত্বে চার-পাঁচ জন সেনাসদস্য কারাগারে ঢুকে চার নেতাকে হত্যা করেন। গুলি করে নেতাদের হত্যা করে, পরে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর মামলার রায় ঘোষণা করে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। রায়ে পলাতক আসামি রিসালদার (ক্যাপ্টেন) মোসলেহ উদ্দিন, দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে আপিল বিভাগের রায়ের মাধ্যমে এর বিচারকাজ শেষ হয়।