মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গাজীপুরে বেতন বকেয়ার দাবিতে বেক্সিমকো শ্রমিকদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সারাবো এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা। শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভে শ্রমিকরা চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করেন, যার ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনী শ্রমিকদের বেতন আদায়ের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে দেয়, এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

জানা যায়, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে প্রায় ২২ হাজার শ্রমিক কাজ করেন এবং প্রতি মাসে তাদের বেতন বাবদ ৮০ থেকে ৮২ কোটি টাকা প্রয়োজন হয়।

গত সেপ্টেম্বরে একই কারণে শ্রমিকরা বেশ কয়েকদিন আন্দোলন ও সড়ক অবরোধ করেছিলেন। চলতি মাসেও একই সমস্যা দেখা দিলে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন।

গত সপ্তাহে ২৭ কোটি টাকা বেতন দেওয়া হলেও, এখনও অনেক শ্রমিক বেতন পাননি। সেই বেতন বকেয়ার দাবিতে শনিবার প্রায় এক থেকে দেড় হাজার শ্রমিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে এবং পরে চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে অবস্থান নেয়।

বিক্ষোভকারী শ্রমিক জাকির হোসেন বলেন, “মাসের ১৯-২০ দিন পেরিয়ে গেলেও বেতন পাইনি। বেতন না পাওয়ায় ঘর ভাড়া ও দোকানের বাকি পরিশোধ করতে পারছি না। প্রতিমাসে এই সমস্যার কারণে আমাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।”

শ্রমিক শরিফুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে তারা বেতন আদায়ে সহযোগিতা করবেন। এরপর আমরা সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিয়েছি।”

তবে সড়ক অবরোধের কারণে চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, “অল্প কিছু কারণেই সড়ক অবরোধ করা হচ্ছে, যা মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলছে। শ্রমিকদের সমস্যা তারা কারখানায় আন্দোলন করুক, রাস্তায় কেন আসছে?”

বাস চালক রহিম সরকার জানান, “শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে সড়কে গাড়ি চালাতে এখন ভয় হয়। ভাঙচুর না হলেও দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হয়, এতে যাত্রীদের কষ্ট হয় এবং তেলের অপচয় হয়।”

গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম আরও জানান, বেতনের বাকি অংশ দ্রুত পরিশোধ করতে কারখানা কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে অল্প সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ ছিল, তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

Header Ad

হত্যা মামলার আসামি হয়েও পাসপোর্ট পেতে যাচ্ছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী

সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী-এমপিদের লাল পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এর ধারাবাহিকতায় বাতিল করা হয়েছে সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কূটনৈতিক পাসপোর্টও। রংপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন শ্রমিক নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলার আসামি শিরীন শারমিন আত্মগোপনে রয়েছেন এবং গ্রেপ্তার এড়াতে ঢাকায় সাধারণ ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে।

৩ অক্টোবর, তিনি এবং তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন সাধারণ ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। অভিযোগ রয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত না হয়ে তারা বাসায় বসেই আঙুলের ছাপ ও আইরিশ স্ক্যান জমা দেন। অথচ নিয়ম অনুসারে, এসব তথ্য পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জমা দিতে হয়।

এ প্রসঙ্গে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র জানায়, শিরীন শারমিন চৌধুরী ও তার স্বামী অনৈতিক সুবিধা নিয়ে পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন এবং এর জন্য মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করছেন। যদিও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন জানান, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে আইনের সীমার মধ্যে থেকে পাসপোর্ট অধিদপ্তর কাজ করে।

সাবেক এ স্পিকারের বাসার ঠিকানা হিসেবে ধানমণ্ডির একটি বাসার উল্লেখ থাকলেও সেই ঠিকানায় তাদের পাওয়া যায়নি বলে জানান রক্ষণাবেক্ষণকারী কর্মচারী শাহাবুদ্দীন। তিনি জানান, শিরীন শারমিন এ বাসায় থাকেন না এবং এখানে তার উপস্থিতি গত কয়েক মাসে দেখা যায়নি।

পাসপোর্ট বিষয়ক এই বিতর্কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এই সময়ে হত্যা মামলার আসামিদের পাসপোর্ট প্রক্রিয়া সহজ করা সন্দেহজনক। এতে বিচার প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফিরোজ সরকার এ ধরনের সুবিধা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং জানান, নিয়মের বাইরে কেউ এভাবে সুবিধা নিতে পারেন না। এদিকে মামলার তদন্তকারী রংপুর মহানগর পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, শিরীন শারমিন চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের জন্য খোঁজা হচ্ছে এবং তার সন্ধান পাওয়া মাত্রই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Header Ad

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রদলের দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় ঢাকাস্থ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ অংশ নেবেন। এছাড়া ওই দিন সকাল ১০টায় শহীদ রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠের কর্মসূচি রয়েছে। পাশাপাশি দিবসটি উদযাপনে সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পোস্টার লাগানো এবং লিফলেট বিতরণ করা হবে।

পরদিন, ৮ নভেম্বর রাজধানীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপি আয়োজিত র‍্যালিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবেন।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে নেতাকর্মীদের সর্বাত্মক অংশগ্রহণের মাধ্যমে কর্মসূচিকে সফল ও সার্থক করার আহ্বান জানিয়েছেন।

Header Ad

শেখ হাসিনা কীভাবে ভারতে আছেন, জানতে চাইলেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ও শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে শেখ হাসিনার আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সমালোচনা করেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। গত রবিবার (৩ নভেম্বর) গাড়োয়া বিধানসভা আসনের রাঙ্কায় এক নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

হেমন্ত সোরেন প্রশ্ন করেন, “বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হেলিকপ্টার ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হলো কেন? তাকে কি ভারত কোনোভাবে আশ্রয় দিয়েছে? আমি জানতে চাই, বাংলাদেশের সঙ্গে বিজেপির কোনো বিশেষ চুক্তি বা অভ্যন্তরীণ বোঝাপড়া রয়েছে কি না।”

এর আগে, বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক নির্বাচনী সমাবেশে ঝাড়খণ্ডের সরকারকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী সম্প্রদায় ক্রমশ বিলুপ্তির পথে।” অমিত শাহ আরও জানান, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশকারীদের থেকে জমি কেড়ে নিয়ে তাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করতে কঠোর আইন আনা হবে।

অমিত শাহের মন্তব্যের জবাবে হেমন্ত সোরেন বলেন, “কেন ঝাড়খণ্ডের উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে? আমাদের রাজ্যের মানুষ এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দূষণের ভোগান্তিতে রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, সীমান্ত পাহারা দেয়া ও অনুপ্রবেশ রোধ করা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব। এই ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হত্যা মামলার আসামি হয়েও পাসপোর্ট পেতে যাচ্ছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রদলের দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
শেখ হাসিনা কীভাবে ভারতে আছেন, জানতে চাইলেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী
মানুষ আগেও ভোটারবিহীন সরকারকে মানেনি, এখনও মানবে না: মির্জা আব্বাস
মাওলানা সাদকে দেশে আসতে দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের পতন
সরকারি অনুষ্ঠানে স্লোগান ও জয়ধ্বনি থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা
বেনাপোল স্থলবন্দরে ভোক্তা অধিকারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গুম কমিশনে জমা পড়েছে ১৬০০ অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি র‌্যাবের বিরুদ্ধে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার, মানবপাচার চক্র আটক
১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো ১ টাকা
বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে হাইকোর্টের জাতীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন নয়
বাংলাদেশে ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয়: মহাসম্মেলনে বক্তারা
এক মাস পর খাগড়াছড়ি ও সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত
মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী
শাকিব খানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন পূজা চেরি
মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা রেখেই ঢাবির ভর্তি কার্যক্রম শুরু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলায় ব্যালট পেপার
প্রশ্নবিদ্ধ সাকিবের বোলিং অ্যাকশন, দিতে হবে পরীক্ষা
যেভাবে নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট