শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪ | ২০ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পোশাক শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত

পোশাক শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

মজুরি বৃদ্ধি এবং বছর শেষে ১০ শতাংশ হারে ‘ইনক্রিমেন্ট’ প্রদানসহ ১৮টি দাবি নিয়ে প্রায় এক মাস ধরে আন্দোলন করছেন পোশাক খাতের শ্রমিকরা। তাদের আন্দোলনের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে বহু পোশাক কারখানা। এতে ভাটা পড়েছে দেশের রপ্তানি আয়ে। অবশেষে শ্রমিকদের সেই ১৮ দফা দাবি মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার ও মালিকপক্ষ।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, দাবি-দাওয়ার যে হিসাব, সেটি যদি কাউন্ট করি তাহলে পঞ্চাশের মতো হয়ে গেছে। সে জায়গাগুলোতে আমরা সর্বশেষ গতকাল শ্রমিক পক্ষের ৩৫ জন নেতৃবৃন্দ এবং পোশাক শিল্পের বিজিএমইএ-এর ৩৫ জন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেখানে আমরা সর্বসম্মতিক্রমে ১৮টি দাবির ব্যাপারে একমত পোষণ করেছি। আগামীকাল থেকে সব কারখানা নির্বিঘ্নে চলমান থাকবে।

এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার উপস্থিত ছিলেন।

১৮ দফার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সিদ্ধান্ত-

১. হাজিরা বোনাস, টিফিন ও নাইট বিল: সব পোশাক শিল্প কারখানায় শ্রমিকের বিদ্যমান হাজিরা বোনাস হিসেবে অতিরিক্ত ২২৫ টাকা রাত ৮টার পর বিদ্যমান টিফিন বিলের সঙ্গে ১০ টাকা এবং বিদ্যমান নাইট বিল ১০ টাকা বাড়িয়ে ন্যূনতম ১০০ টাকা করা হবে।

২. নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন: আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে সব কারখানায় সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন করতে হবে।

৩. রেশনিং ব্যবস্থা: আপাতত শ্রমঘন এলাকায় টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হবে। এছাড়া, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিকেও শ্রমঘন এলাকায় সম্প্রসারিত করা হবে। শ্রমিকদের জন্য স্থায়ী রেশন ব্যবস্থার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।

৪. বকেয়া মজুরি প্রদান: আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে শ্রমিকের সব বকেয়া মজুরি বিনা ব্যর্থতায় দিতে। অন্যথায় শ্রম আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৫. বায়োমেট্রিক ব্ল‍্যাকলিস্টিং: বিজিএমইএ থেকে বায়োমেট্রিক ব্ল‍্যাকলিস্টিং করে শ্রমিকদের হয়রানির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে একটি টেকনিক্যাল টিম পর্যালোচনা করে অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।

৬. ঝুট ব্যবসা: ঝুট ব্যবসা নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব, চাঁদাবাজি বন্ধসহ শ্রমিকের স্বার্থ বিবেচনায় এ বিষয়ে একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৭. মামলা প্রত্যাহার: ২০২৩ সালের মজুরি আন্দোলনসহ এর আগে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সব প্রকার হয়রানিমূলক এবং রাজনৈতিক মামলাগুলো রিভিউ করে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে। মজুরি আন্দোলনে নিহত চারজন শ্রমিকের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৮. বৈষম্যবিহীন নিয়োগ: কাজের ধরণ অনুযায়ী নারী-পুরুষের বৈষম্যহীন যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ প্রদান নিশ্চিত করা হবে।

৯. জুলাই বিপ্লবে শহীদ এবং আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা: জুলাই বিপ্লবে শহীদ এবং আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা সেবার জন্য শ্রমিক নেতারা একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে। প্রাপ্ত তালিকা প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’- এ পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হবে।

১০. রানা প্লাজা এবং তাজরীন ফ্যাশন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিকার: রানা প্লাজা এবং তাজরীন ফ্যাশন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিকারের উদ্দেশে ইতোমধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গঠিত কমিটি অক্টোবর ২০২৪ এর মধ্যে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করবে। প্রাপ্ত সুপারিশের আলোকে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১১. ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন: শ্রম আইন অনুযায়ী সব কারখানায় ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হবে।

১২. অন্যায্যভাবে শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না: অন্যায় এবং অন্যায্যভাবে শ্রম আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না।

১৩. নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি: নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ ১২০ দিন নির্ধারণ করা হলো।

১৪. ন্যূনতম মজুরি পুনঃ মূল্যায়ন: শ্রমিক ও মালিক পক্ষের তিনজন করে প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত অতিরিক্ত সচিব (শ্রম) এর নেতৃত্বে একটি কমিটি নিম্নতম মজুরির বিধি-বিধান ছয় মাসের মধ্যে সক্ষমতা পর্যালোচনা করবে।

১৫. শ্রম আইন সংশোধন: শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) পুনরায় সংশোধনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে ডিসেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে সংশোধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।

১৬. সার্ভিস বেনিফিট প্রদান: শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকের সার্ভিস বেনিফিট প্রদান করা হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন এর ২৭ ধারাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।

১৭. প্রভিডেন্ড ফান্ড: কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মাধ্যমে শ্রমিক ও মালিক উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট সম্পন্ন অন্যান্য দেশের উত্তম চর্চার আদলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১৮. বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট: নিম্নতম মজুরি পুনঃনির্ধারণ কমিটি বর্তমান মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করে শ্রম আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সক্ষমতা ও করণীয় বিষয়ে নভেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে একটি সুপারিশ প্রদান করবে।

Header Ad

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু; আক্রান্ত ৯২৭

ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯২৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা চলতি বছরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৩৬৫-এ পৌঁছেছে। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে নতুন করে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ফলে, এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮২ জনে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে প্রকাশিত নিয়মিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সারাদেশে ৯২৭ জন নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৩২ জন ভর্তি আছেন। এছাড়া, ঢাকা বিভাগে ১৭৩ জন, বরিশালে ১০২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৯ জন, খুলনায় ৭৬ জন, ময়মনসিংহে ৩৮ জন এবং রাজশাহীতে ১৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৩৫ হাজার ৩৬৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৩.২% পুরুষ এবং ৩৬.৮% নারী। একই সময়ে মারা যাওয়া ১৮২ জনের মধ্যে ৫১.১% নারী এবং ৪৮.৯% পুরুষ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন, যার মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন ছিলেন।

অবশ্য, আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর মশাবাহিত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১ হাজার ৭০৫ জন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

২০১৯ সালে দেশে এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং সে সময় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু ঘটেছিল। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমনটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন এবং ১০৫ জন মারা যান। এছাড়া, ২০২২ সালে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, যেখানে ২৮১ জনের মৃত্যু ঘটে।

জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং ডেঙ্গু মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।

Header Ad

ভারতে ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ নিজের ১৬ বছরের ভাইয়ের বিরুদ্ধে

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের গুজরাতের সুরাতে ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তারই ১৬ বছর বয়সি ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের ফলে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পুত্রের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মা।

১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তারই ১৬ বছর বয়সি ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের ফলে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর নিজের পুত্রের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি গুজরাতের সুরাতের। পুলিশ জানিয়েছে, কিছু দিন আগে কিশোরী পেটের যন্ত্রণায় কাবু হয়ে পড়েছিল। তার মা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, ওই কিশোরী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। মায়ের কাছে এর পরেই কিশোরী স্বীকার করে নেয়, সে ধর্ষিতা হয়েছে। নিজের ভাই জোর করে তার সঙ্গে দু’বার মিলিত হয়েছে বলে মাকে জানায় সে। এর পরেই কন্যাকে নিয়ে থানায় যান মহিলা। পুত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সূত্র: আনন্দবাজার

Header Ad

সিরাত মাহফিল থেকে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন আবু জাফর কাশেমী

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের (একাংশ) প্রধান আমির শরীয়ত মাওলানা আবু জাফর কাশেমী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের (একাংশ) প্রধান আমির শরীয়ত মাওলানা আবু জাফর কাশেমী সম্প্রতি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাঠে জাতীয় সিরাত উদযাপন কমিটি আয়োজিত সিরাতুন্নবী (সা.) মাহফিলে বক্তৃতা প্রদানকালে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, "শুধু সিরাত আলোচনা বা শুনলেই হবে না, আজ আমাদের একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে। সেটি হলো ঐক্যের সিদ্ধান্ত। ঐক্যের মাধ্যমে রাসূলের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে।"

মাওলানা কাশেমী এসময় বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, "আওয়ামী লীগের মতো স্বৈরশাসন যেন আবারো আমাদের উপর ছায়া না করতে পারে। এজন্য আপসের ভিত্তিতে আমাদের ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।" তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন পর খোলা আকাশের নিচে রাসূল (সা.) এর সিরাত আলোচনা হচ্ছে, যা পূর্বে স্বৈরাচারী সরকারের কারণে সম্ভব হয়নি।

বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, "এদেশে অনেক ওলামায়ে কেরাম শাহাদাত বরণ করেছেন। তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। আমাদের ঐক্যের মাধ্যমে আল্লাহ এবং রাসূলের সিরাত বাস্তবায়ন করতে হবে।" তিনি সকলের প্রতি আহ্বান রেখে বলেন, "আমরা আপসের ভিত্তিতে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধরতে হবে।"

মাহফিলে সভাপতির বক্তৃতা করেন মাওলানা আবু তাহের জিহাদী এবং প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আন্দরকিল্লাহ শাহী জামে মসজিদের খতিব আওলাদে রাসূল সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসাইন তাহের আল জাবের আল মাদানী। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বক্তা এবং ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশনকারী শিল্পী গোষ্ঠীও উপস্থিত ছিলেন, যারা মাহফিলের আবহকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।

এভাবে এই মাহফিলের মাধ্যমে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের মুসলিম সমাজের একত্রিত হওয়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হলো।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু; আক্রান্ত ৯২৭
ভারতে ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ নিজের ১৬ বছরের ভাইয়ের বিরুদ্ধে
সিরাত মাহফিল থেকে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন আবু জাফর কাশেমী
টাঙ্গাইলে কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী
পিটিআই-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত পাকিস্তান, সেনা মোতায়েন
গোয়ালিয়রে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে ২৫০০ পুলিশ মোতায়েন
শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ও এমপি আবুল কালাম আজাদ গ্রেপ্তার
৩ দিনে পালিয়েছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিদ্যুৎ খাতে ১ হাজার নয়, ক্ষতি সাড়ে ১২ কোটি !
এখন থেকে প্রবাসীরা বিমানবন্দরে ভিআইপি মর্যাদা পাবেন: প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা
টাকায় থাকছে না শেখ মুজিবের ছবি, নতুন নকশার প্রস্তাব
মাঠ কাঁপিয়ে বেড়ানো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেত্রীরা এখন কোথায়?
নির্বাচনের চেয়ে সংস্কারই বেশি গুরুত্বপূর্ণ: জামায়াত আমির
কারাগারে অসুস্থ সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নান, ভর্তি সিলেট ওসমানী হাসপাতালে
ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান হাশেম সাফিউদ্দিন নিহত
আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস
বিএনপির প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ: নির্বাচনী রোডম্যাপসহ একাধিক দাবি
সোহেল রানার নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা, নাম ‘বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি’
কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ফেসবুক নিয়ে এলো নতুন মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা চালানো উচিত: ডোনাল্ড ট্রাম্প