বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ | ১২ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ডিআইজি থেকে এসপি পদমর্যাদার ৮৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি

ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ বাহিনীতে রদবদলের ধারাবাহিকতায় এবার ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি ও এসপি পদমর্যাদার ৮৩ জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখের সই করা চারটি প্রজ্ঞাপনে এই রদবদলের কথা জানানো হয়।

ডিআইজি ও অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার ৪২ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। তারা হলেন অতিরিক্ত ডিআইজি (টিডিএস) ও বর্তমানে সুপার নিউমারারি ডিআইজি পদোন্নতিপ্রাপ্ত মোসলেহ উদ্দিন আহমেদকে পুলিশ অধিদপ্তরে, টাঙ্গাইল পিটিসির পুলিশ সুপার ও বর্তমানে সুপারনিউমারারি ডিআইজি পদোন্নতিপ্রাপ্ত আবু নাছের মোহাম্মদ খালেদকে পুলিশ অধিদপ্তরে ও অতিরিক্ত ডিআইজি (টিঅ্যান্ডআইএম) ও বর্তমানে সুপার নিউমারারি ডিআইজি পদোন্নতিপ্রাপ্ত মো. আকরাম হোসেনকে পুলিশ অধিদপ্তরে, ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি ও বর্তমানে সুপার নিউমারারি ডিআইজি পদোন্নতিপ্রাপ্ত সরদার নুরুল আমিনকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক (ডিআইজি) পদে, এসবির অতিরিক্ত ডিআইজি ও বর্তমানে সুপার নিউমারারি ডিআইজি পদোন্নতিপ্রাপ্ত জিএম আজিজুর রহমানকে স্পেশাল ব্রাঞ্চে বদলি করা হয়েছে।

এ ছাড়া এসবির অতিরিক্ত ডিআইজি ও বর্তমানে সুপার নিউমারারি ডিআইজি পদোন্নতিপ্রাপ্ত মো. সরওয়ার, চট্টগ্রাম আরআরএফের পুলিশ সুপার বর্তমানে সুপার নিউমারারি ডিআইজি পদোন্নতিপ্রাপ্ত মো. মাহমুদুর রহমানকে স্পেশাল ব্রাঞ্চে বদলি করা হয়েছে। অতিরিক্ত ও বর্তমানে সুপার নিউমারারি ডিআইজি পদোন্নতিপ্রাপ্ত মো. আতাউল কিবরিয়াকে পুলিশ অধিদপ্তরে, অতিরিক্ত ও বর্তমানে সুপার নিউমারারি ডিআইজি পদোন্নতিপ্রাপ্ত মো. রেজাউল করিমকে পুলিশ অধিদপ্তরে বদলি করা হয়েছে।

অপর এক প্রজ্ঞাপনে পুলিশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে দায়িত্বে থাকা ১৬ ডিআইজিকে বদলি করা হয়েছে। তারা হলেন বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে বিশেষ শাখার ডিআইজি এ জেড এম নাফিউল ইসলাম ও পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি মো. নিশারুল আরিফকে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটে সংযুক্ত, র‌্যাব সদর দফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ডিআইজি) ইমতিয়াজ আহমেদ ও এসবির ডিআইজি মো. আব্দুল কুদ্দুছ আমিন এবং শিল্পাঞ্চল পুলিশের ডিআইজি মোহাম্মদ আবুল ফয়েজকে নৌপুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এসবির ডিআইজি মো. মনিরুল ইসলামকে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটে, সিআইডির ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলামকে পুলিশ টেলিকমে সংযুক্ত, এসবির আমেনা বেগমকে ডিআইজি হাইওয়ে পুলিশে, এসবির ডিআইজি মো. মনির হোসেনকে শিল্পাঞ্চল পুলিশে, শিল্পাঞ্চল পুলিশের ডিআইজি মো. আজাদ মিয়াকে হাইওয়ে পুলিশে, এসবির মো. মনিরুজ্জামানকে রাজশাহী বিপিএ সারদায় এবং হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. জামিল হাসানকে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এ ছাড়া ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের (মেট্রোরেল) ডিআইজি মো. মাহবুবুর রহমানকে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটে, সিআইডির ডিআইজি শ্যামল কুমার নাথকে এপিবিএন সদর দপ্তরে ঢাকায়, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এস এম মোস্তাক আহমেদ খানকে এপিবিএন সদর দপ্তর ঢাকায় এবং পিবিআই ডিআইজি মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদকে রেলওয়ে পুলিশ ঢাকার ডিআইজি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

ডিএমপিতে ২২ পুলিশ সুপারের পদায়ন করা হয়েছে। ডিএমপিতে পদায়ন হওয়া উপ-পুলিশ কমিশনাররা হলেন ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও বর্তমানে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মোহাম্মদ ওসমান গণি, ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার ও বর্তমানে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মোহাম্মদ তাহেরুল হক চৌহান, ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার ও বর্তমানে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মো. শামীম হোসেন, ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার গাজীপুরের কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) মো. ছালেহ উদ্দিন, ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার ও বর্তমানে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মো. সারোয়ার জাহান, শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও বর্তমানে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত আবুল ফজল মহাম্মদ তারিক হোসেন খান, পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান, সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ও মো. নজরুল ইসলাম, ঢাকা এপিবিএন-১২ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী এবং পুলিশ অধিদপ্তর ঢাকার (টিআর) পুলিশ সুপার দেওয়ান জালাল উদ্দিন চৌধুরী।

যেসব কর্মকর্তাকে ডিএমপিতে উপ-পুলিশ কমিশনার পদে পদায়ন করা হয়েছে তারা হলেন আরআরএফ রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও বর্তমানে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মো. রেজাউল করিম, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাসুদ রানা, পুলিশ অধিদপ্তর ঢাকার (টিআর) পুলিশ সুপার মো. তারেক মাহমুদ, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও বর্তমানে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মো. আমীর খসরু, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) উপকমিশনার মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছান, সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার তাহমিনা তাকিয়া এবং র‌্যাবের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম ও মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

এ ছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১৯ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ডিএসসিসির রাজস্বে ভাটা, আদায় বাড়াতে ঈদের পর অভিযান

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) রাজস্ব আদায় কমে গেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর মেয়র ও কাউন্সিলররা দেশত্যাগ করায় জনপ্রতিনিধিদের স্থলে আমলাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে নগর ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়মিত বদলি ও পদোন্নতি অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা কর্মকর্তাদের রুমে রুমে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে ডিএসসিসির রাজস্ব আদায় তলানিতে পৌঁছেছে। তাই রাজস্ব আদায় বাড়াতে আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর নগরীতে লিফলেট বিতরণ এবং বকেয়া আদায়ে কঠোর অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

বকেয়া আদায়ের জন্য এবার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্রোকি পরোয়ানা জারি করে বাসা বা স্থাপনার আসবাবপত্র জব্দ করে নিলামে বিক্রি করা হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বকেয়া পৌরকর, কর্পোরেশনের মালিকানাধীন দোকানের ভাড়া এবং ট্রেড লাইসেন্স ফি সমন্বয় করা হবে।

ডিএসসিসির রাজস্ব আয়ের খাতওয়ারী দাবি ও আদায়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩–২৪ অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা, কিন্তু আদায় হয়েছে মাত্র ৫৪৬ কোটি টাকা। ২০২৪–২৫ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা হলেও জানুয়ারি পর্যন্ত আদায় হয়েছে মাত্র ৪৯৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় এ বছর ৪৮ কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে।

সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, রাজস্ব আদায় বাড়াতে ঈদের পর লিফলেট বিতরণ এবং অভিযান পরিচালনা করা হবে। লিফলেটে জানানো হবে যে, সিটি করপোরেশন একটি স্ব-শাসিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। করদাতাদের প্রদেয় পৌরকর, দোকান ভাড়া, ট্রেড লাইসেন্স এবং অন্যান্য ফি-এর মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও নগর উন্নয়নের কাজ পরিচালিত হয়।

লিফলেটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বকেয়া কর পরিশোধ না হলে নগরের উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তাই, বকেয়া কর আদায়ে অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্রোকি পরোয়ানা জারি করে সম্পত্তি জব্দ ও নিলামের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করা হবে। তাই নগরবাসীকে দ্রুত বকেয়া পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছে ডিএসসিসি।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, "গণঅভ্যুত্থানের পর রাজস্ব আদায়ে কিছুটা ভাটা পড়েছে। অনেকে দীর্ঘদিনের হোল্ডিং ট্যাক্স, পৌরকর ও ট্রেড লাইসেন্সের ভাড়া বকেয়া রেখেছেন। প্রথমে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে, এরপর রাজস্ব আদায়ে অভিযান পরিচালিত হবে। প্রয়োজনে সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করেও বকেয়া পৌরকর সমন্বয় করা হবে।"

Header Ad
Header Ad

সারজিসের শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তাসনিম জারা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে পঞ্চগড়ে নিজ এলাকায় প্রবেশ করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই বহরের “অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনা” নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। জারা আশা প্রকাশ করেন যে, সারজিস আলম এ বিষয়ে জনগণের সামনে একটি গ্রহণযোগ্য ও পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেবেন, যা এনসিপির ভাবমূর্তিকে আরও শক্তিশালী করবে।

তাসনিম জারা লিখেছেন, "একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দলের নীতিগত অবস্থান ও স্বচ্ছতার প্রশ্ন থেকে আমি জানতে চাই— সম্প্রতি তোমার নিজ জেলায় শতাধিক গাড়ির একটি বড় বহর নিয়ে প্রবেশ করায় জনগণের মনে স্বাভাবিকভাবেই কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তুমি কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে বলেছিলে, ‘আমার আসলে এই মুহূর্তে কোনো টাকা নাই। ধার করে চলতেছি। আমার পকেটে মানিব্যাগও নেই।’ তোমার এই সাদাসিধে জীবনযাত্রার কথা আমাদেরকে অভিভূত করেছিল এবং জনগণের কাছে আমাদের সংগ্রামকে আরও গ্রহণযোগ্য করেছিল। কিন্তু সেই প্রেক্ষাপটে এত বড় একটি আয়োজন কীভাবে সম্ভব হলো?"

তিনি আরও বলেন, "এর অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনা কীভাবে হয়েছে, তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক। আমাদের দল স্বচ্ছতা, সততা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সে জায়গা থেকে এসব প্রশ্নের স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য উত্তর দেওয়া আমাদের সবারই দায়িত্ব। আমি আশা করি, বিষয়টি তুমি আন্তরিকতার সাথে বিবেচনা করবে এবং জনগণের সামনে একটি গ্রহণযোগ্য ও পরিষ্কার ব্যাখ্যা তুলে ধরবে। এতে জনগণের কাছে দলের ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী হবে।"

গতকাল সোমবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ঢাকা থেকে উড়োজাহাজে সৈয়দপুর যান। সেখান থেকে সড়কপথে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ পৌঁছান। দেবীগঞ্জ থেকে শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে তিনি জেলার বোদা, পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলা সফর করেন। উল্লেখ্য, সারজিস আলমের বাড়ি পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায়।

নতুন রাজনৈতিক দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার পর প্রথমবার বাড়ি ফেরার পথে সারজিস আলমের এই ‘শোডাউন’ রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বিষয়টি নিয়ে আজ প্রশ্ন তুলেছেন।

Header Ad
Header Ad

ভারতকে কাঁপিয়েও গোল মিসের মহড়ায় ড্রয়ের আফসোস বাংলাদেশের

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মাটিতে তাদের বিপক্ষে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেও জয় পায়নি বাংলাদেশ। একের পর এক সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা পায়নি হাভিয়ের কাবরেরার দল। শেষ পর্যন্ত ০-০ গোলে ড্র করে সন্তুষ্ট থাকতে হলো লাল-সবুজদের।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে বাংলাদেশ। মাত্র ৩১ সেকেন্ডের মাথায় প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিল দলটি। ভারতের গোলরক্ষক বিশাল কাইথের ভুলে বল পেয়ে যান মিডফিল্ডার জনি, কিন্তু ফাঁকা পোস্ট পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। এরপর একের পর এক সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা মেলেনি। ৯ মিনিটে মোরসালিনের ক্রসে শাহরিয়ার ইমনের হেড পোস্টের বাইরে চলে যায়। ১৭ মিনিটে জনি আবারও সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। ২২ মিনিটে বাংলাদেশের ডিফেন্ডার হৃদয়ের হেড কর্নারে চলে যায়। ৪১ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় ভারতের গোলরক্ষকের সামনে পৌঁছেও শট নিতে ব্যর্থ হন জনি।

 

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমার্ধের খেলার ধরণ দেখলে স্পষ্ট বোঝা যায়, বাংলাদেশই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। তবে ২১ মিনিটে অধিনায়ক তপু বর্মন চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন, যা দলের জন্য বড় ধাক্কা ছিল। তার বদলে মাঠে নামেন রহমত মিয়া। প্রথমার্ধে অন্তত তিনটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ, কিন্তু কেউই তা কাজে লাগাতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধে ভারত কিছুটা গুছিয়ে খেলতে শুরু করলেও বাংলাদেশই ছিল আক্রমণে সক্রিয়। ৬১ মিনিটে রাকিবের প্রেসিংয়ে ভারতের গোলরক্ষক আবারও ভুল করেন, কিন্তু জনি সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। ৭৩ মিনিটে ভারতের শুভাশীষের হেড পোস্টের বাইরে চলে যায়। শেষ দিকে রাকিবের শটও লক্ষ্যে থাকেনি।

পুরো ম্যাচে নজর কেড়েছেন বাংলাদেশের নতুন মুখ হামজা। ডিফেন্স ও মিডফিল্ডে দুর্দান্ত খেলেছেন তিনি। প্রতিপক্ষের পাস কেটেছেন, বল ক্লিয়ার করেছেন এবং আক্রমণেও ভূমিকা রেখেছেন। অভিষেক ম্যাচেই নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।

ম্যাচে পাঁচটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে না পারায় হতাশ হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ভারতের মাটিতে জয় তুলে নেওয়ার মতো যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছিল তারা। শেষ পর্যন্ত গোলের অভাবে ড্র মেনে নিতে হলো কাবরেরার দলকে। আগামী নভেম্বরে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে আবারও ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ভুল শুধরে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট পাওয়ার আশা করবে লাল-সবুজ শিবির।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ডিএসসিসির রাজস্বে ভাটা, আদায় বাড়াতে ঈদের পর অভিযান
সারজিসের শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তাসনিম জারা
ভারতকে কাঁপিয়েও গোল মিসের মহড়ায় ড্রয়ের আফসোস বাংলাদেশের
চুয়াডাঙ্গা শহরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, জরিমানা ২২ হাজার টাকা
এভারকেয়ারে নেওয়া হলো তামিম ইকবালকে
সাবেক আইনমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ চেয়ারম্যান মানিক গ্রেফতার
ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রের গোপন সামরিক পরিকল্পনা ফাঁস হলো যেভাবে
জাতির উদ্দেশে ভাষণ: রমজানে দ্রব্যমূল্য কমেছে, জনগণ স্বস্তি পেয়েছে – ড. ইউনূস
গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করার সুযোগ এসেছে: তারেক রহমান
৫৩ বছরেও দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি: তারেক রহমান
অবৈধ স্যাটেলাইট পে-চ্যানেল বন্ধে বিটিআরসির নির্দেশ
ওয়াসিম হত্যা মামলায় নওফেল-নাসিরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বুধবার ভোরে সাভার-নবীনগর সড়কে যান চলাচল বন্ধ
৯০ দিনের মধ্যে দেশে স্টারলিংক চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে যা বললেন তামিম ইকবাল
অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জিএম সুবক্তগীন এর কর্মদক্ষতায় রেলের পূর্বাঞ্চলে বইছে সুবাতাস
ছায়ানটের সভাপতি সন্‌জীদা খাতুন মারা গেছেন
যারা ১০০ গাড়ি নিয়ে ক্যাম্পেইন করতে যায়, তারা কী করবে তা ভালো বুঝি: ফখরুল