শিমুলের লাল রঙে বসন্তের আগমনী বার্তা
মাঘ মাস শেষ হতে এখনও দশদিন বাকি, এর মধ্যেই প্রকৃতিতে বইতে শরু করেছে ফাল্গুনের হাওয়া। ঋতুরাজ বসন্ত তার আগমনী বার্তা নিয়ে প্রকৃতির দরজায় কড়া নাড়ছে। বছর ঘুরে প্রকৃতির তার নানা পরিবর্তন পেরিয়ে আবার সেজেছে নতুন রূপে। বসন্তের আগমনে শীতের রিক্ততা ভুলিয়ে ফাগুনের আগুনে মানুষের মন আর প্রকৃতিতে লেগেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। বসন্তের রঙ্গ ও রূপে নিজেকে সাজাতে প্রকৃতি এখন মেতে উঠেছে।
ফাল্গুনের আগুনে শীতের তীব্র রুক্ষতা কেটে পাতা ঝড়া বৃক্ষগুলির মাথায় দেখা দিয়েছে সবুজ পাতা, কলি ও ফুল। শীতের জীর্ণতা কাটিয়ে ফুলে ফুলে সজ্জিত প্রকৃতি জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমনী বার্তা। সরেজমিনে শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নওগাঁর সদর উপজেলার (বিজিবি ক্যাম্প) সড়কের গিয়ে দেখা যায় ছোটযমুনা নদীর ফুটওভার ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার ধারের নতুন কুড়ি ও ফুলে একটি শিমুল গাছে রঙিন হয়ে আছে। রাস্তার ধারে শিমুর গাছে প্রকৃতির আদরমাখা স্পর্শে জেগে উঠেছে। শীতের রুক্ষতা কাটিয়ে প্রকৃতি ফিরে পেতে চলছে ফুল, ফল ও সবুজের এক অপরূপ সমারহ যা আগমনী বার্তা ছড়াচ্ছে বসন্তের। শিমুলের হাসিতে বনে যেন লেগেছে লাল রঙ্গের ছোয়া। নানান পাখির মিষ্টি কুহুতান মাতাল করতে আসছে ঋতুরাজ বসন্ত সবুজ-শ্যামল বাংলায়।
মাঘ মাসের বাকি আরও ১০ দিন। মাঘ মাস শেষ হতে না হতেই প্রকৃতিতে বইতে শরু করেছে ফাল্গুনের হাওয়া। বসন্তের হাওয়ায় শিমুল ও পলাশ গাছে ফুটতে শুরু করেছে ফুল।
সেই সাথে আম, লিচু, জাম ও বেল গাছে গুলিতে মুকুলে ভরপুর। সদর উপজেলার বিজিবি ক্যাম্প-ফতেপুর, হাপানিয়া-মহাদেবপুর সড়কের দুই ধারের শিমুল গাছগুলি নতুন কুঁড়ি ও লাল ফুলে প্রকৃতি যেন অনাবিল আনন্দ ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিনত হয়েছে। ইট-কাঠের এই যুগে বসন্তে প্রকৃতি যেন তার সব সৌন্দর্য উজাড় করে দিয়েছে। নতুন কুঁড়িতে ছেয়ে গেছে উপজেলার ফলজ বাগানের বৃক্ষরাজি।
কেএফ/