২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম কোটাবিরোধীদের
মামলা প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম কোটাবিরোধীদের। ছবি: সংগৃহীত
সরকারি চাকরির সব গ্রেড থেকে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নামে মামলা করার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মামলা তুলে নিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এছাড়া এক দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি হিসেবে গণপদযাত্রা ও রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে তারা।
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এমন কর্মসূচি ঘোষণার সময় এ আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সরকার আন্দোলন দমনের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকারের উচিত ছিল প্রথম থেকেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করা এবং দৃশ্যমান পদক্ষেপের মাধ্যমে কোটা সংস্কার করা। কিন্তু সরকার সেটি না করে আন্দোলনকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন দিয়ে দমনের পরিকল্পনা বা প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। আমরা বলে দিতে চাই সরকারের এ ধরনের পরিকল্পনা সরকারের জন্যই বুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পুলিশ বক্তব্য দিয়ে বলেছে কোনো ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। কিন্তু আজকে হঠাৎ করে অজ্ঞাত মামলা দেওয়া হলো সে বিষয়ে আমরা পুলিশের কাছে আমরা জবাবদিহি চাইছি।
ছাত্রসমাজকে এ রকম মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে লাভ হবে? আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। যারা বৃহস্পতিবারের ব্লকেড কর্মসূচিতে বিভিন্ন জায়গায় হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল পুলিশ বাহিনীসহ সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠন তাদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের এত দিন বাংলা ব্লকেড কার্যক্রম ছিল এবং অনেকে এটিকে জনদুর্ভোগ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছে। আমাদের ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে যে ছাত্র ধর্মঘট চলছে সেটির পাশাপাশি আমাদের কর্মসূচি থাকবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি সব চাকরিতে সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং গণপদযাত্রা।
সকাল ১১টায় গণপদযাত্রা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শুরু হবে। সারা বাংলাদেশের অন্যান্য যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গণপদযাত্রা করে নিজ নিজ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবে।’