৬ মাসের মধ্যে শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালু : মন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত
আগামী ছয় মাসের মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি ব্যবহারের উপযোগি হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এদিন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইনের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী।
গত বছরের ৭ অক্টোবর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের ‘সফট ওপেনিং’ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর টার্মিনাল ব্যবহার করে বিমান চলাচল শুরু হলেও এর পুরোপুরি ব্যবহার সম্ভব হয়নি।
থার্ড টার্মিনাল কবে নাগাদ সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে-জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিন আগে জাপানি প্রতিনিধিদল আমার সঙ্গে দেখা করেছে। তারা বলেছে যে, তাদের আরও কয়টা দিন সময় লাগবে। আপনারা জানেন কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ- এসব কারণে শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বে সব প্রজেক্ট কিছুটা স্লো হয়েছে। আমাদেরকে এজন্য কিছুটা স্লো হতে হচ্ছে। তবে কাজ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমরা এটাকে পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারবো।’
কতদিনের মধ্যে সেটা পারবেন- এ বিষয়ে ফারুক খান বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট সময় বলা ঠিক হবে না। তবে ওরা কিছুদিন সময় চেয়েছে তো। আমরা মনে হয় অ্যাট লিস্ট ছয় মাস তো লাগবেই।’
বিমানবন্দরে ই-গেটগুলো পড়ে আছে। কাজে লাগেনি- এ বিষয়ে বিমান মন্ত্রী বলেন, ‘ই-পাসপোর্টের জন্য ই-গেটগুলো চালু হয়নি। একটার সঙ্গে আরেকটার লিংক আছে। আমরা ই-গেট করে ফেলেছি, কিন্তু ই-পাসপোর্ট এখনও করতে পারিনি। আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে, ইনশাআল্লাহ এগুলো সব একে একে এগোচ্ছে।’
বিদেশিদের সব দেওয়া আছে। প্রশিক্ষণের কোনো উদ্যোগ আছে কি না- এ বিষয়ে ফারুক খান বলেন, ‘অলরেডি রিক্রুটমেন্ট চলছে। এক এক ব্যাচ করে ট্রেনিং শুরু হয়ে গেছে। এমন নয় যে হঠাৎ করে দেখা যাবে কেউ নেই। ট্রেনিংয়ের কাজও চলছে।’
বেবিচকের ৩৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সাতজন পালিয়েও গেছেন-এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন,‘এটা খুবই আনফরচুনেট যে এ ধরনের কোনো একটা ঘটনা ঘটেছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে শক্ত সাজার ব্যবস্থা করেছি। এমনকি যারা কানাডায় পালিয়ে গেছেন সেখানকার পুলিশের মাধ্যমে তাদের ধরার ব্যবস্থা আমরা করছি। সুতরাং কেউ যদি আইনের বিরুদ্ধে কাজ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’