টাকা লুট ও নিজেদের শক্তির জানান দিতেই কেএনএফের হামলা: র্যাব

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। ছবি: সংগৃহীত
টাকা লুট ও শক্তির জানান দিতেই কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও হামলা করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
খন্দকার মঈন বলেন, বান্দরবান জেলায় বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতা, উত্তরসূরিদের অনুপ্রেরণা ও বিশ্বে তাদের সহযোগীদের সক্ষমতা জানান দিতেই এ ঘটনাটি কেএনএফ সশস্ত্র সদস্যরা ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, সেদিন কেএনএফের ১০ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসী সোনালী ব্যাংকে প্রবেশ করেছিল। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল, যার সবই লুণ্ঠিত। তারা ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনের কাছে এক কোটি টাকা চেয়েছিল। বলেছিল, টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেবে। এজন্য তারা ম্যানেজারের কাছে ভল্টের চাবিও চায়।
এ ছাড়া ব্যাংকে হামলার পর তারা ম্যানেজারের ল্যাপটপ নিয়ে গিয়েছিল। তারা ল্যাপটপ খুলে সাইবার হামলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ব্যাংক ম্যানেজার কৌশলে এসব এড়িয়ে যান। পরে তাকে অপহরণ করে বেথেল পাড়ার পাশ দিয়ে গহিন পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা দিনে দুবার তাকে খাবার দিতো এবং মারধরও করেছে। কখনো কখনো তার চোখ বেঁধে দিতো, আবার কখনো খুলে দেওয়া হয়েছে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের পরই তাকে উদ্ধারে আমরা মাঠে নামি। আমরা স্থানীয় জনগোষ্ঠী, সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থা যারা আছে সবার সহযোগিতা নিয়েছি।
তিনি বলেন, তাকে উদ্ধারে আমরা বেশকিছু কৌশল অবলম্বন করেছি। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার একটা কৌশল আমাদের কাজে এসেছে। এরপর তারা নিজেদের মোটরসাইকেলের মাঝে বসিয়ে একটি স্থানে ব্যাংক ম্যানেজারকে রেখে গেছে।
