আগামী নির্বাচনটা একটা চ্যালেঞ্জ: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচনটা একটা চ্যালেঞ্জ। কারণ নানা ধরনের চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র হয়।
সোমবার (৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জেলার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের উন্নতি দেখলে দেশেরই কিছু কুলাঙ্গার দেশের বিরুদ্ধে সব জায়গায় বদনাম করে ও মিথ্যা বলে বেড়ায়। আর কিছু আছে বিদেশি অনুদানের টাকার জন্য বাংলাদেশ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, যারা গণহত্যা চালিয়েছে, লুটপাট করেছে, নারী ধর্ষণ, নির্যাতন করেছে, তাদের আওলাদ-বুনিয়াদ আছে, তারা সারাক্ষণ শুধু দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেই যাচ্ছে। যারা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সমর্থন দেয়নি, সেদেশের সঙ্গেই হচ্ছে তাদের আত্মীয়তা।
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশে ধারাবাহিক গণতন্ত্র আছে বলেই গত সাড়ে ১৪ বছরে আমরা অভাবনীয় উন্নয়ন করতে পেরেছি। আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। আমরা বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছি।
নির্বাচনে কারচুপি করা বিএনপির অভ্যাস মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ভোট চুরি, গণতন্ত্র হরণ করা তাদের রেকর্ড। এখন আবার আমরা তাদের মুখে গণতন্ত্র শুনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যারা মিলিটারি ডিকটেটরের হাতে তৈরি দল, তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্রের ছবক শুনতে হয়, ভোটের কথা শুনতে হয়। চুরি করা যাদের অভ্যাস, তাদের কাছ থেকে দেশের জনগণ কী শুনবে, কী দেখবে।
আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী। সংগঠনটা যেন আরও মজবুত থাকে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে এটুকু করতে পেরেছি। ২০০৮ সালে সরকারে আসার পর এই ১৪ বছরে, একটানা ক্ষমতায় ফলে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে বলেই আজ বাংলাদেশের এই উন্নতিটা সম্ভব হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কিন্তু বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছি। আজ কেউ সেই ভিক্ষুকের জাতি বলে অবহেলা করতে পারবে না। এই জায়গা থেকে দেশের উত্তরণ ঘটিয়ে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আমাদের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে তৈরি হতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো দুর্যোগে আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে থাকে। এটাও প্রমাণিত যেকোনো সময় আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে থাকে।