বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এবারের বাজেট ৭ লাখ কোটি টাকা: প্রধানমন্ত্রী

আগামী অর্থবছরের জন্য এবার ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৩০ মে) গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, পহেলা জুন আমরা নতুন বাজেট দিতে যাচ্ছি। এবার আমরা ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট দিতে সক্ষম হব। দেশে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে বলেই এ অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা (অগ্রগতি) সম্ভব হয়েছে কেন? সম্ভব হয়েছে একটি কারণে- ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছে। আজকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একটা স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ বাংলাদেশে বিরাজমান। এর মাঝে অনেক ঝড়-ঝাপটা এসেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। অনেক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়েছে। তারপরও আমি বলব দেশ যখন স্থিতিশীল থাকে, দেশে যখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকে তখনই দেশ উন্নতি করতে পারে। আর তার জন্য লাগে একটা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। আমাদের প্রতিটি প্ল্যান প্রোগ্রাম টার্গেটেড, টাইমবাউন্ড।

বিএনপি আমলের সঙ্গে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের বাজেট ২০০৬ সালে মাত্র ৬১ হাজার কোটি টাকা ছিল। আজকে সেই (গত অর্থবছর) বাজেট আমরা ৬ লাখ কোটি টাকায় উন্নীত করেছি। ২০০৬ সালে দারিদ্র্যের হার ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ হতে ২০২২ সালে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ হতে হ্রাস পেয়ে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। এসময় দেশে চরম দারিদ্র্য বলে কিছু থাকবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জিডিপির আকার ২০০৬ সালে যেখানে ছিল মাত্র ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার; বর্তমানে তা ৪৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু আয় ৫৪৩ মার্কিন ডলার হতে ২০২২ সালে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭৩ বছর হয়েছে।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা পুনর্ব্যক্ত করে সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে আমরা একটি জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশে থাকবে একটি স্মার্ট সরকার, একটি স্মার্ট অর্থনীতি, একটি স্মার্ট জনসংখ্যা, একটি স্মার্ট সমাজ এবং স্মার্ট জনশক্তি। মানুষকে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে দক্ষ করে তোলা হবে; যাতে তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অবদান রাখতে পারে। স্মার্ট বাংলাদেশের উদ্দেশ্য হলো পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প উৎপাদন, ব্যবসা, বাণিজ্য সবক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা।

তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আমরা প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করছি। সারা দেশে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার এবং হাই-টেক পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা হচ্ছে। দক্ষ মানব সম্পদ গড়তে সরকার শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়েছে। শিক্ষা ও গবেষণায় আমরা বিশেষ জোর দিয়েছি। এ ক্ষেত্রে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আমরা বৃত্তিসহ বিশেষ প্রণোদনা দিচ্ছি। দেশ-বিদেশের নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গবেষণার জন্য তাদের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।

আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা, আবাসন, কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, ডিজিটাল পরিষেবা, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, দুর্যোগের প্রস্তুতি এবং জলবায়ু অভিযোজনসহ বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক খাতে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। এমনকি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আমাদের অগ্রগতি ব্যাহত করতে পারেনি।

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির চ্যান্সেলর ও ওআইসির মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বর্ণপদক প্রাপ্তদের পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসজি

Header Ad
Header Ad

দেশের বিদ্যুৎ খাতে অতিরিক্ত ৩৬৭ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে অতিরিক্ত ৩ কোটি মার্কিন ডলার অর্থায়ন করতে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ৩৬৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ৩৮ পয়সা ধরে)। এনহ্যান্সমেন্ট অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব পাওয়ার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ইন ইস্টার্ন রিজন প্রকল্পের জন্য এ ঋণ সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ ঋণচুক্তি সই হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বৃহত্তর কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী অঞ্চলে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত ও বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহ্‌রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

বিশ্বব্যাংকের স্কেল আপ ফ্যাসিলিটি(এসইউএফ) তহবিল ৩ হাজার ৬৪২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ঋণ সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রকল্পটির মূল ঋণচুক্তি ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তী সময়ে কোভিড-১৯ চলাকালীন কোভিড সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে মূল অর্থায়ন ৪৫০ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমানে প্রকল্পটির সফল সমাপ্তির লক্ষ্যে ৩ কোটি ডলার অতিরিক্ত প্রয়োজন হওয়ায় বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে অতিরিক্ত ঋণ সহায়তা গ্রহণ করা হবে।

এই ঋণ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ আগামী ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এই ঋণের সুদের হার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং সার্ভিস চার্জ ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ ছাড়া অনুত্তোলিত ফান্ডের ওপর সর্বোচ্চ ০ দশমিক ৫০ শতাংশ কমিটমেন্ট চার্জ থাকলেও পূর্বের বছরের ন্যায় বিশ্বব্যাংক বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই অর্থবছরে কোন কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে না।

Header Ad
Header Ad

দুর্বার রাজশাহীর কাছে অপ্রতিরোধ্য রংপুরের প্রথম হারের স্বাদ

ছবি: সংগৃহীত

বিপিএলের চলতি আসরে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রংপুর রাইডার্স অবশেষে তাদের প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে। চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ২৪ রানে হার মেনেছে নুরুল হাসান সোহানের দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে গ্লোবাল সুপার কাপ জয়ী রংপুর রাইডার্স এর আগে টানা ৮ ম্যাচ জিতলেও এদিন রাজশাহীর বোলিং তোপে টিকে থাকতে পারেনি।

রাজশাহীর এ জয়ে শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। যদিও পারিশ্রমিক পরিশোধ নিয়ে দলটির ড্রেসিংরুমে উত্তেজনা বিরাজ করছে, তবুও ১০ ম্যাচের মধ্যে ৪টি জিতে তারা প্লে-অফে ওঠার আশা জাগিয়েছে।

চট্টগ্রামে দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহী ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে। ওপেনার সাব্বির হোসেন ঝড়ো ব্যাটিং করে ১৯ বলে ৩৯ রান করেন, যেখানে চারটি চার ও তিনটি ছক্কার মার ছিল। তার সঙ্গী পাকিস্তানি ওপেনার হারিস রউফ করেন ১৯ রান।

তৃতীয় ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয় ৩১ বলে ৩৪ রান যোগ করেন। তবে দলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইনিংসটি খেলেন ইয়াসির আলী রাব্বি। তিনি ৩২ বলে ৬০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন, যেখানে ছয়টি ছক্কা এবং দুটি চারের মার ছিল। লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় দলের রান আরও বড় হয়নি।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে রংপুর রাইডার্সের ইনিংস শেষ হয় ১৪৬ রানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন সাইফ হাসান, যিনি ২৯ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকান। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ২৬ বলে ৪১ রান করেন, ইনিংসে চারটি চার ও দুটি ছক্কার মার ছিল। তবে দলের অন্য ব্যাটাররা একের পর এক উইকেট হারিয়ে ব্যর্থ হন।

রাজশাহীর জিম্বাবুইয়ান স্পিন অলরাউন্ডার রায়ান বার্ল ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন। তাসকিন আহমেদ ৩.২ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়ে দলকে বড় অবদান রাখেন। এছাড়া স্পিনার এসএম মেহরাব ৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন।

রংপুরের বোলার খুশদিল শাহ ও আকিফ জাভেদ তিনটি করে উইকেট পেলেও রাজশাহীর ব্যাটিংয়ের কাছে সেটা যথেষ্ট ছিল না।

এই ম্যাচের পরও রংপুর রাইডার্স ইতোমধ্যে সুপার ফোরে জায়গা নিশ্চিত করেছে। তবে রাজশাহীর এ জয় তাদের শেষ চারে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল করেছে।

 

Header Ad
Header Ad

যে ৭ ভুলে দ্রুত নষ্ট হবে আপনার শখের স্মার্টফোন

ছবি: সংগৃহীত

সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে স্মার্টফোন আমাদের নিত্যসঙ্গী। বর্তমান আধুনিক যুগে মোবাইল ছাড়া জীবনকে চিন্তা করাটাই কঠিন। প্রতিনিয়ত অত্যাধুনিক সব ফিচারের দিকে যাচ্ছে মোবাইল ফোন। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নানা সুযোগ সুবিধাসহ ফোন আনতে রীতিমতো প্রতিযোগিতা করছে প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

বিভিন্ন ফিচারের মতো দামেও রয়েছে ভিন্নতা। তবে যত দামি ফোনই হোক না কেন, তার আয়ু খুব বেশি হলে তিন-চার বছর। তারপরেই দেখা দেয় নানা সমস্যা। তবে আয়ু শেষের আগেই আমাদেরই কিছু ভুলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে শখের স্মার্টফোনটি।

জেনে নিন কোন ৭ ভুলের কারণে অকালে নষ্ট হচ্ছে শখের স্মার্টফোনটি।

১. দীর্ঘ সময় ধরে বেশি তাপমাত্রার সংস্পর্শে স্মার্টফোন রাখা:

স্মার্টফোন নষ্ট হয়ে যাওয়ার পেছনে একটি বড় কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত তাপমাত্রার মধ্যে ফোন রাখা। যদি আপনি রোদে বা শীতের রাতে আপনার বালিশের নিচে ফোন রেখে চার্জ করলে ডিভাইজ গরম হতে থাকে। যা ধীরে ধীরে ডিভাইসটি নষ্ট করে দিবে। এছাড়া দীর্ঘ সময় ফোন চালালেও সেট গরম হয়ে যায়। এরপরও তা বুঝতে পেরে একটানা সেট ব্যবহার করলে দ্রুতই সেট নষ্ট হয়ে যাবে। তাই ফোন গরম হয়ে গেলে তা ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত ব্যবহার না করাই উত্তম।

২. চার্জারের ব্যবহার:

বর্তমানে অনেক কোম্পানি তাদের ফ্লাগশীপ ফোনগুলোর সঙ্গে চার্জার দেয় না। এরফলে ব্যবহারকারী বা ক্রেতারা আলাদা চার্জার কিনেন নেন। অনেকে ভুলটা এ সময়ই করে থাকেন। কারণ স্মার্টফোনের ব্যাটারির ক্ষমতা বুঝে কত ওয়ার্ডের চার্জার দরকার হয়ে সেটি বুঝতে পারেন না। সব চার্জার একই পরিমাণ শক্তি সরবরাহ করে না। ফলে অসামঞ্জস্যপূর্ণ চার্জার দিয়ে চার্জ করলে প্রতিনিয়ত ফোনের আয়ু কমতে থাকবে। এক সময় পুরো ডিভাইসটি নষ্ট হয়ে যাবে। তাই মানের দিক থেকে যেসব চার্জার ভালো এবং ফোন অনুযায়ী সামঞ্জস্যপূর্ণ সেগুলো ব্যবহার করা ভালো।

৩. অ্যাপ ডাউনলোড:

অ্যাপ ডাউনলোডের সময় সচেতন থাকতে হবে। অনেক ব্যবহারকারী Play Store বা App Store এ অ্যাপ না পেলে থার্ডপার্টি অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন। তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা আপনার ডিভাইসকে ম্যালওয়্যার আক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। ক্ষতিকর অ্যাপ আপনার ডিভাইসকে ভাইরাস এবং স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে সংক্রমিত করতে পারে। যা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, পাসওয়ার্ড এবং এমনকি ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য চুরি করতে পারে। এর পাশাপাশি সাইবার অপরাধীরা আপনার ডিভাইসের ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোনে প্রবেশাধিকার পেতে পারে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অফিসিয়াল স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা নিরাপদ। কারণ সেখানে একটি যাচাইকরণ প্রক্রিয়া থাকে যা ক্ষতিকর অ্যাপগুলোকে তালিকাভুক্ত হওয়া থেকে আটকায় এবং এগুলো এড়িয়ে চলার সুযোগ বাড়ায়।

৪. ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ নিজে থেকে বন্ধ করা:

আপনি কি ফোনের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রায়ই ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকা সব অ্যাপ বন্ধ করে দেন? এটির প্রয়োজন নেই। এর ফলে ভালো হওয়ার চেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে। অনেকেই বিশ্বাস করেন, যখন সক্রিয়ভাবে কোনো অ্যাপ ব্যবহার করছেন না তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকা অ্যাপগুলো আপনার ডিভাইসকে ধীর করে দেয়।

তবে আধুনিক স্মার্টফোনগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে এগুলো এমন কাজ পরিচালনা করতে পারে যেখানে অ্যাপগুলো কম শক্তি ব্যবহারের অবস্থায় থাকে যতক্ষণ না এগুলো প্রয়োজন হয়।

অ্যাপগুলোকে ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকা অবস্থায় রাখা ভালো কারণ আপনার ফোন সক্রিয় অ্যাপ থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপে স্যুইচ করার জন্য কম শক্তি ব্যবহার করে। এতে করে আপনি যেখানে কাজ শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই দ্রুত শুরু করতে পারেন এবং এটি ডিভাইসের ওপর কম চাপ ফেলে। অন্যদিকে অ্যাপটি প্রথম থেকে চালু করার চেয়ে লো-পাওয়ার অবস্থান থেকে পুনরায় চালু করা কম শক্তি ব্যবহার করে। এটি অনেকটা আপনার হিটার যেমন প্রথমবার চালু করার চেয়ে নির্ধারিত তাপমাত্রা বজায় রাখতে কম শক্তি ব্যবহার করে তার মত করে।

৫. আপডেটেড না থাক:

স্মার্টফোন চালু করার পর অনেক প্রতিষ্ঠানই প্রতিবছর এমনকি ৬ মাস পরপর আডটেড করার প্রস্তাব দেয়। এটি ডিভাসইকে সুরক্ষা করে। কিন্তু অনেকেই আপডেট না দিয়ে তা উপেক্ষা করে চলে। কিন্তু এসব আপডেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা আপনার ডিভাইসকে মসৃণ এবং সুরক্ষিতভাবে চলতে সহায়তা করে।

সাধারণত, এই আপডেটগুলো শুধু ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করার উপরই জোর দেয় না, বরং এতে নিরাপত্তা প্যাচও অন্তর্ভুক্ত থাকে যা নতুন আবিষ্কৃত দুর্বলতাগুলো ঠিক করে। এগুলো উপেক্ষা করলে আপনি মূলত আপনার ফোনকে ম্যালওয়্যার আক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছেন। এছাড়াও আপডেটগুলো ফোনের বাগ ঠিক করে। যা আপনার ডিভাইসকে ধীর বা বিকল করে দিতে পারে।

৬. স্মার্টফোনের চার্জিং অভ্যাস:

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যদি স্মার্টফোনের ব্যাটারির ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে এর জন্য দায়ী হতে পারে খারাপ চার্জিং অভ্যাস। এর কারণে প্রতিনিয়ত ব্যাটারির ড্রেনিং সিস্টেম নিচের দিকে নাতে। ব্যাটারি পুরোপুরি শেষ হয়ে যাওয়া বা শতভাগ চার্জ দেয়া ব্যাটারির দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। ব্যাটারির নির্দিষ্ট সংখ্যক চার্জ সাইকেল থাকে, এবং বারবার এই প্রক্রিয়া করলে এর কার্যকারিতা কমে যায়। স্বাভাবিকভাবে আপনার ফোনের চার্জ ৩০% থেকে ৮০% এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন। এতে কম চার্জ সাইকেল ব্যবহার হবে এবং ব্যাটারির আয়ু বাড়বে।

এর পাশাপাশি চার্জিংয়ের সময় আপনার ফোন সাধারণত কিছুটা গরম হয় যা একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় স্বাভাবিক হবে। তবে এটি বেশি গরম হয় তাহলে ব্যাটারির স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। তাই ঠাণ্ডা বা বায়ু চলাচলযোগ্য জায়গায় ফোন চার্জ দিন এবং বালিশের নিচে বা সরাসরি সূর্যের আলোতে চার্জ দেয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।

৭. পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা:

অনেকেই নিজেস্ব ডাটা ব্যবহার না করে পাবলিকলি ওয়াইফাই ব্যবহার করে থাকে। এর মধ্যে ঝুঁকি জড়িয়ে আছে। পাবলিক ওয়াই-ফাই হটস্পটগুলো সাধারণত নিরাপত্তার দিক থেকে দুর্বল হয় কারণ এগুলো প্রায়শই এনক্রিপশন ছাড়া বা দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিয়ে পরিচালিত হয়। এর ফলে, সাইবার অপরাধীরা সহজেই পাসওয়ার্ড ও ব্যাংক তথ্যের মতো ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে।

যদি আপনাকে পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে পাসওয়ার্ড-প্রোটেক্টেড এবং এনক্রিপটেড নেটওয়ার্কগুলোতে সংযোগ করুন। এমন সংবেদনশীল ওয়েবসাইটে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন যা আপনার ডিভাইস ও ব্যক্তিগত তথ্য বিপন্ন করতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশের বিদ্যুৎ খাতে অতিরিক্ত ৩৬৭ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
দুর্বার রাজশাহীর কাছে অপ্রতিরোধ্য রংপুরের প্রথম হারের স্বাদ
যে ৭ ভুলে দ্রুত নষ্ট হবে আপনার শখের স্মার্টফোন
অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসার খরচ যোগাতে সড়কে পিঠা বিক্রি করছেন নূর ছবি বেগম
‘অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে কারাবন্দি হয়েছিলাম, এখন মেয়ের বয়স ১৫ বছর’
আবারও শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা, জানা গেল কবে-কোথায় বাড়বে শীত
ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে নির্বাচন, ভোট হবে ব্যালটে
টাঙ্গাইলে মাদক কারবারি আনোয়ারের স্ত্রীকে গ্রেফতার, স্বামী পলাতক
টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা, লেবু বাগানে মিলল মরদেহ
শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বিতরণের বই পাওয়া যাচ্ছে খোলাবাজারে!
ফেব্রুয়ারিতে বিজিবি-বিএসএফ শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক  
ইবিতে বাস ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমন্বয়কদের হাতাহাতি
হলিউডে অভিনয় করার বিষয়ে যা বললেন জায়েদ খান
১৬ বছর পর কারামুক্ত বিডিআরের ১৬৮ সদস্য
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মশিউর গ্রেপ্তার
এবার ইলিয়াসের লাইভে আসছেন কর্নেল রাশেদ চৌধুরী, জানাবেন অজানা তথ্য
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার ১০ বছরেও শেষ হবেনা: মির্জা ফখরুল
ভারতে স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেসার কুকারে রান্না করলেন সাবেক সৈনিক
ফিদা হুসেনের চিত্রকর্ম জব্দের নির্দেশ  
মালয়েশিয়ায় ৭১ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার