২৩ মে নৌ নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবি
গত ৫২ বছরে দেশের নৌ পথে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। এসব দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে নৌ পরিবহন আইন ও নীতির প্রতি শ্রদ্ধা, সচেতনতা ও কর্তব্যবোধের অভাবকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এমন তথ্য তুলে ধরে নদী পথে দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে ২৩ মে কে জাতীয় নৌ নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন নদী, প্রাণ-প্রকৃতি ও সমুদ্র সম্পদ ভিত্তিক জাতীয় সংগঠন নোঙর ট্রাস্টের প্রতিষ্টাতা ও চেয়ারম্যান সুমন শামস।
মঙ্গলবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় নৌ নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে সুমন এই দাবি তুলে ধরেন।
সুমন শামসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার (মহাপরিচালক, অতিরিক্ত সচিব বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট), বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং নদী গবেষক তোফায়েল আহমেদ, বাপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, নৌ স্থপতি মো. শামসুল আলম, অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত পঞ্চাশ বছরে মহান মুক্তিযুদ্ধে নদীর অবদান নিয়ে কোনো নাটক, গল্প কিংবা সিনেমা হয়নি। অথচ মহান মুক্তিযুদ্ধে নদীর ভূমিকা অপরিসীম এবং অনস্বীকার্য। বরাবরই নদী অবহেলিত ছিল।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরেই প্রথমে নদীর উন্নয়নে নজর দেন। সাড়ে তিন বছরে বিআইডব্লিউটিএ গঠন করেন এবং ৭টি ড্রেজার সংগ্রহ করেন। দুঃখজনক হলেও সত্য ২০০৮ সাল পর্যন্ত এই ড্রেজার সংখ্যা ৮ হয়নি। ১৯৭৫ পরবর্তী এই সরকারের সময় ৪৫টি ড্রেজার কাজ করছে এবং আরও ৩৫টি নতুন সংযুক্ত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পরিকল্পনায় দখলমুক্ত ঢাকা প্রাধান্য পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে ১০ হাজার কিমি নদীপথের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, নদী দেশের প্রাণ। নদী বাঁচলেই দেশ বাঁচবে তাই এই বিষয়ে তার মন্ত্রণালয় জিরো টলারেন্স গ্রহণ করেছে। তবে নৌ নিরাপত্তা দিবসের বিষয়টি একটি রাষ্ট্রীয় প্রক্রিয়া। তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে বিষয়টি সরকারের কাছে উপস্থাপন করবেন বলে আশ্বাস দেন।
এনএইচবি/এসজি