‘সরকারবিরোধী প্রচারণায় জড়িতদের বিচারে কাজ চলছে’
বিদেশে বসে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা, উসকানিমূলক ও সম্পূর্ণ বানোয়াট বক্তব্য প্রদানকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে জবাব দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী এমন ২২ জনের একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্যরা।
বুধবার (১৭ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মো. আব্দুল মজিদ খান, মো. হাবিবে মিল্লাত, নাহিম রাজ্জাক ও কাজী নাবিল আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্রে জানা গেছে, আগের বৈঠকে কমিটির পক্ষ থেকে প্রবাসে বসে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারীদের চিহ্নিত করতে বাংলাদেশ মিশনগুলোকে কর্মতৎপরতা বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়।
এই সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রবাসী/অভিবাসী বাংলাদেশি ব্যক্তিরা বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে অনেক সময় ভূমিকা রাখতে পারেন।
দুঃখজনক হচ্ছে, তাদের অনেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করে বাংলাদেশ এবং সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণায় লিপ্ত হন। এই অপপ্রচার মোকাবিলার পাশাপাশি দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এবং অনলাইন গণমাধ্যমে নিয়মিতভাবে তথ্যবহুল সংবাদ, প্রবন্ধ ও নিবন্ধ প্রকাশের বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে অসত্য ও অপপ্রচারমূলক সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যবহুল প্রতিবাদলিপিসহ গণমাধ্যমে প্রকাশের ব্যবস্থা করে থাকে।
বৈঠকে কমিটির সদস্যরা বলেন, সরকারবিরোধী চক্রটি দেশের বাইরে বসে বিভিন্ন ধরনের অসত্য তথ্য দিয়ে দেশের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ চক্রের ২২ জনের তালিকা তৈরি করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি অসত্য তথ্য তুলে ধরে সঠিক তথ্য পরিবেশের গুরুত্ব দেন তারা।
এদিকে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সম্প্রতি জাপান-যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য সফরের উপর প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ ও জাপানের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের কৌশলগত অংশীদারত্বে আগামীর রূপরেখা প্রণয়নকল্পে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের কথা উল্লেখ করা হয়। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের সর্বশেষ অবস্থাও অবহিত করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণোলয়ের কর্মকর্তারা সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছেন, বিদেশে বসে সরকারবিরোধী প্রচারণায় জড়িতদের বিষয়ে বিদেশস্থ বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনগুলো সতর্ক রয়েছে।
এনএইচবি/এমএমএ/