সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মোখার আঘাতের পর ঝুঁকিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের লাখ লাখ শিশু: ইউনিসেফ

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ বলছে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কিছু অংশে ঘূর্ণিঝড় মোখার ধ্বংসযজ্ঞের পর লাখ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত এবং তাদের জীবনে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। যার মধ্যে অনেকেই ইতোমধ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বসবাস করছে।

ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে খারাপ সময় পেরিয়ে গেলেও রয়ে গেছে ভূমিধসের আশঙ্কা। এ ছাড়া আগামীতে বাড়তে পারে পানিবাহিত রোগ।

গত ১৪ মে বিকাল ৪টার দিকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মোখা। যা ভারী বৃষ্টিপাত, ঝড়বৃষ্টি এবং প্রতি ঘণ্টায় ১৭৫ মাইল প্রবল বেগে বাতাস প্রবাহিত হয়েছিল।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কিছু শিশু এবং পরিবার আবারও একটি সংকটের তীক্ষ্ণ প্রান্তে রয়েছে, যা তাদের সৃষ্ট নয়। ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে ইতোমধ্যেই সংঘাত, দারিদ্র্য, অস্থিতিশীলতা এবং জলবায়ু সংকট , পরিবেশগত ঝুঁকির মধ্যে সম্প্রদায়গুলো বসবাস করছে।

তিনি বলেন, যেহেতু আমরা জরুরিভাবে এই ঘূর্ণিঝড়ের পরে শিশুদের তাৎক্ষণিক প্রয়োজনের মূল্যায়ন এবং প্রতিক্রিয়া জানাই, সেহেতু আমরা নিশ্চিতভাবে জানি যে শিশুদের এবং তাদের পরিবারের জীবন বাঁচাতে এবং উন্নত করার সর্বোত্তম উপায় হলো দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজে বের করা।

কক্সবাজারে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরের আবাসস্থল বাংলাদেশে। যেখানে ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রবল ঝড়ের কবলে পড়েছে, যাদের অর্ধেকই শিশু। শরণার্থী শিবিরগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে আঁটসাঁট জায়গাগুলোর মধ্যে স্থাপিত হয়েছে, যা শিশুদের রোগ, অপুষ্টি, অবহেলা, শোষণ এবং সহিংসতার জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতিতে প্রকাশ করে। শিবিরগুলোও ভূমিধসের প্রবণ, এবং শিশুরা ভঙ্গুর অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকে।

ঘূর্ণিঝড় মোখা ২০১৯ সালের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ফণীর সঙ্গে উত্তর ভারত মহাসাগরে রেকর্ড করা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হিসেবে যুক্ত হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি দেখেছেন যে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রচেষ্টা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘূর্ণিঝড়ের সময় মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস করেছে, জলবায়ু পরিবর্তন এই অগ্রগতিকে হুমকি দিচ্ছে।

তারা উল্লেখ করেছে যে ঝড়ের ক্রমবর্ধমান ফ্রিকোয়েন্সি এবং তীব্রতা আগামী দশকগুলোতে বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি ঝুঁকি তৈরি করবে।

কক্সবাজার ঝড়ের হাত থেকে রক্ষা পেলেও, হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং শরণার্থীদের দেওয়া বেশ কিছু অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র, সুযোগ-সুবিধা এবং অবকাঠামো বন্যায় প্লাবিত হয়েছে এবং প্রবল বাতাস ও বৃষ্টির কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উভয় দেশের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সময়মতো এবং জরুরি মানবিক প্রবেশাধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইউনিসেফ মাঠে রয়েছে, প্রয়োজন মূল্যায়ন করছে এবং জরুরি ত্রাণ প্রদান করছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাটি স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন, শিশু সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং শিক্ষাসহ আমাদের প্রতিক্রিয়া পরিষেবাগুলোকে আরও বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারে সরবরাহের পূর্ব বরাদ্দ করেছে।

রবিবার দিনের শেষের দিকে ঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়ে, ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়িঘর, স্বাস্থ্য সুবিধা, স্কুল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর উপর দিয়ে বয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষাধিক লোকের মধ্যে অনেকেই উদ্বাস্তু বা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষ (আইডিপি), শিবিরে এবং নাগালের কঠিন এলাকায় দুর্বল কাঠামোগত আশ্রয়ে বসবাস করে।

তারা খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সুরক্ষার জন্য মানবিক সহায়তার উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। বিশেষ করে মিয়ানমারে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ১৬ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ- এর মধ্যে ৫৬ লাখ শিশু-রোহিঙ্গা, জাতিগত রাখাইন এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের ১২ লাখ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকসহ রাখাইন রাজ্যে এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের চীন রাজ্য এবং সাগাইংসহ ম্যাগওয়ে অঞ্চল অবস্থানগুলো ঘূর্ণিঝড়ের পথে ছিল। এলাকাগুলো নিচু এবং বন্যার ভূমিধসের ঝুঁকিপূর্ণ।

মূলত বিঘ্নিত পরিবহন ও টেলিযোগাযোগ পরিষেবা এবং গাছপালা ও ধ্বংসাবশেষের কারণে কিছু রাস্তার দুর্গমতার কারণে মিয়ানমারে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের মূল্যায়ন চ্যালেঞ্জিং। তবে প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যে ঝড়ের শিকারদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। সূত্র: ইউএনবি

এসজি

Header Ad

আবারও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হলেন হরিণী অমরাসুরিয়া

হরিণী অমরাসুরিয়া। ছবি: সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হরিণী অমরাসুরিয়াকে আবারও নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমার দিশানায়েকে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) তাকে নিয়োগ দেয়া হয়।

শ্রীলঙ্কার সাধারণ নির্বাচনে ২২৯ আসনের মধ্যে ১৫৯টি আসন পেয়েছে অনূঢ়ার বামপন্থী জোট। আজ সোমবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নতুন মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করেন অনূঢ়া কুমার দিশানায়েকে। সেখানেই আমারাসুরিয়াকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নিয়োগ দেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রবীণ রাজনীতিক বিজিথা হেরাথকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন কোনো অর্থমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেননি দিশানায়েকে। খবর রয়টার্স ও আল জাজিরা।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ের পর তিনি নিজে যেভাবে অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পরিচালনা করেছেন সেভাবেই পরিচালনা করবেন।

গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দিশানায়েকে জয়ী হওয়ার মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে বছরের পর বছরে ধরে চলা পারিবারিক আধিপত্যের অবসান হয়েছে। সে সময় জয়ের পর দিশানায়েকে প্রধানমন্ত্রী পদে আমারাসুরিয়াকে নির্বাচিত করেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেন হেরাথকে। নতুন সরকারে তিনি তাদেরকেই পুনর্নিয়োগ দিলেন।

সেপ্টেম্বরে দিশানায়েকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর দেশটির পার্লামেন্টে তার নির্বাচনী জোট এনপিপির আসন ছিল মাত্র তিনটি। আর তাই পার্লামেন্টে নিজ জোটের আসনসংখ্যা বাড়াতে তিনি আগাম নির্বাচন দেন। গত ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত আগাম নির্বাচনে তাঁর জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।

Header Ad

শেখ হাসিনার নতুন ফোনালাপ ফাঁস, প্রবাসীদের নিয়ে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র!

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের তোপে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। তবে বিদেশে থাকলেও কদিন পর পরই ফাঁস হচ্ছে অডিও কল রেকর্ড। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেশের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় তাকে। ফোন কলেই ছুড়ে দিচ্ছেন নানা রকম হুমকিও।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) আবারও শেখ হাসিনার ‘কণ্ঠে’ নতুন একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই ফোনালাপে শেখ হাসিনার কণ্ঠের মতো একদল প্রবাসী নেতাকর্মীদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন।

অডিও থেকে জানা যায়, সুইডেন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেশটিতে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন দলটির নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ফোন কলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠান শেষে শেখ হাসিনাকে উপস্থিত বাবু সুভাষ ঘোষ, লিংকন মোল্ল্যা, খোকন মজুমদার, নঈম বাবু, মোহম্মদ শহীদ, মাহবুবুর রহমান, লিমন, কবির, সাব্বিরসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দের নাম ঘোষণা করতে শোনা যায়।

অডিওর শুরুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং সমন্বয়কদের খুনি অ্যাখ্যা দিয়ে এসময় নেতাকর্মীদের ফোনকল রেকর্ড করার কথা বলা হয়। অডিওতে বলা হয়, এই অবৈধ সরকারের অত্যাচারে সারা দেশের মানুষ জর্জরিত। কৃষক-শ্রমিকরা বেকার হয়ে গেছেন। শ্রমিক আন্দোলন করেছেন, সঙ্গে সঙ্গে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে।

অডিওতে বলা হয়, এই অবৈধ সরকারের অত্যাচারে সারা দেশের মানুষ জর্জরিত। কৃষক-শ্রমিকরা বেকার হয়ে গেছে। শ্রমিক আন্দোলন করেছে, সাথে সাথে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে। চাকরির বয়স নিয়ে আন্দোলন করতে যমুনার সামনে গেলো, সাথে সাথে গুলি করলো। সেখানে একজন মারা গেলো এবং পিটিয়ে উঠিয়ে দিলো।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭ জুলাই থেকে এই ছাত্ররা যখন আন্দোলন করে ১৪ জুলাই পর্যন্ত। তারা সহিংস হওয়ার আগে গায়ে একটা টোকাও পড়েনি। তাদের মতো তারা আসছে-বসছে, আমরা তো তাদের কিছুই বলিনি। পুলিশের কাছে কোনো মেটাল বুলেট ছিল না। নির্দেশ দিয়েছি কোনো গুলি করবা না। পুলিশ ব্যারিকেড উঠিয়ে তারা ইচ্ছে মতো আন্দোলন করেছে। শুরু থেকে তো অনেক কিছু করা যেতো, আমরা তো সেসব করিনি।

তিনি বলেন, এই কোটা তো আমিই বাতিল করে দিয়েছি। যেখানে কোনো কোটাই নাই, সেখানে আন্দোলনটা কিসের জন্যে ছিল? তারপর আমাদের মন্ত্রীরা তাদের বসে, তাদের সব দাবি মানা হয়। দাবি মানার পরে আবার এক দফা। শেখ হাসিনাকে খুন করো, এই তো কথা? তাদের টার্গেট ছিল আমাকে হত্যা করা।

তিনি আরও বলেন, এখান আবার হত্যা মামলা দিয়ে বলে গণহত্যার বিচার হবে। গণহত্যার বিচার আমার না, বিচার হবে ইউনূসের। এই সমস্ত খুনের দায়-দায়িত্ব ইউনূসকে নিতে হবে। সে যে হত্যার সাথে জড়িত, তার প্রমাণ তো পাওয়ায় যায়। কারণ জেলখানায় যত জঙ্গি আটক ছিল, তাদেরকে ইউনূস ছেড়ে দিয়েছে। তাদের সঙ্গে ইউনূসের একটা যোগসাজশ ছিল। বাংলাদেশটাকে সে একটা জঙ্গি দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেয়ার মার্কেটের টাকা উধাও, ব্যাংকে টাকা নাই। ব্যাংকের টাকা উধাও। সেসব টাকা গেরো কোথায়? ২০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য আমি রেখে আসছি। ১ কোটি পরিবারের জন্যে টিসিবি কার্ড দিয়েছি।

তিনি বলেন, দেশে যে অরাজকতা চলছে তার বিচার হবে ইনশাল্লাহ। এদের বিচার আমি করবোই ইনশাল্লাহ।

Header Ad

এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করবে ইসলামী ব্যাংক

এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করবে ইসলামী ব্যাংক। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

ইসলামী ব্যাংক পিএলসির যেসব শেয়ার বাংলাদেশ ব্যাংক জব্দ করেছে, সেগুলো বিক্রির পরিকল্পনা করছে ইসলামী ব্যাংক। এই শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে চায় ব্যাংকটি। এই শেয়ারগুলোর বেশিরভাগ ছিল বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এ তথ্য জানান। তিনি জানান, পাচার করা টাকা পুনরুদ্ধার কৌশলের অংশ হিসেবে এসব শেয়ার বিক্রি করা হবে।

ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, এস আলম ইসলামী ব্যাংকের ১৭টি শাখা থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। শুধু টাকা নেয়নি, আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ব্যাংকের যে সম্পর্ক ছিল, সেটাও ধ্বংস করে দিয়েছে। পাশাপাশি পুরোনো উদ্যোক্তা সৌদি প্রতিষ্ঠান আল রাজিকে আনার চেষ্টা চলছে। আইএফসিকেও যুক্ত করার চেষ্টা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, সব ব্যাংককে রক্ষা করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব। পরিচালনায় বদল এনেও যেসব ব্যাংক এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি, তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সব আমানতকারীকে রক্ষা করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ব্যাংকের পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, অনিয়মের মাধ্যমে যারা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছেন, সেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আলাদাভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কোনো প্রতিষ্ঠান মরতে দেওয়া হবে না। কারণ, সব প্রতিষ্ঠান জাতীয় সম্পদ। এর সঙ্গে ব্যাংকের বিনিয়োগ, উৎপাদন ও সরবরাহ জড়িত। এস আলমের শাস্তির জন্য আদালতে মামলা দায়ের হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে, তাদের কী হবে।

ইসলামী ব্যাংকের উন্নতি হচ্ছে জানিয়ে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ জানান, ৩ মাসে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা আমানত বেড়েছে। প্রবাসী আয় বাড়ছে। নতুন বিনিয়োগ দেওয়া বন্ধ আছে। ব্যাংকের ২ হাজার ৭০০ এজেন্ট পয়েন্টে তিনজন করে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা ব্যাংকের আমানত বাড়াতে ভূমিকা পালন করতে পারেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মালিকানা পরিবর্তনের পর ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ছাড়তে শুরু করেন। এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে ইসলামী ব্যাংকের ৫০ শতাংশের বেশি মালিকানা বিদেশিদের হাতে ছিল। এখন যা কমে ১৩ শতাংশে নেমেছে।

এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ধীরে ধীরে শেয়ার ছেড়ে দেয় ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি), দুবাই ইসলামী ব্যাংক, ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড করপোরেশন দোহা, ইসলামিক ব্যাংকিং সিস্টেম ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিং লুক্সেমবার্গ, শেখ আহমেদ সালেহ জামজুম, শেখ ফুয়াদ আবদুল হামিদ আল-খতিব, আল-রাজি গ্রুপ, কুয়েতের সরকারি ব্যাংক কুয়েত ফাইন্যান্স হাউস, সৌদি কোম্পানি আরবসাস ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিস্ট এজেন্সিসহ বেশির ভাগ বিদেশি উদ্যোক্তা ও সাধারণ শেয়ারধারী প্রতিষ্ঠান।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আবারও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হলেন হরিণী অমরাসুরিয়া
শেখ হাসিনার নতুন ফোনালাপ ফাঁস, প্রবাসীদের নিয়ে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র!
এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করবে ইসলামী ব্যাংক
অন্তর্বর্তী সরকার যত বেশি সময় নেবে, তত বেশি সমস্যা তৈরি হবে: মির্জা ফখরুল
ট্রেলারেই রেকর্ড গড়ল ‘পুষ্পা ২’
হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা হাসান আরিফ, করলেন কবর জিয়ারত
ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই: প্রধান উপদেষ্টা
সরকার চাইলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য
সৌদি আরবে কনসার্ট করবেন জেমস
৩০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে অডিও বার্তা, পত্নীতলায় সুমন হত্যা ঘিরে রহস্য
গিলেস্পিই থাকছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ
প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখা কিসের ইঙ্গিত?
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
অগ্রাহায়নের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
শীতকালে যেসব ইবাদতের কথা বলেছেন নবীজি (সা.)
প্রেমের টানে বিয়ের দাবিতে ভারতীয় তরুণী বাংলাদেশে
মাল্টিপ্লেক্সে রেকর্ড আয় করল শাকিবের ‘দরদ’