আগামী ২৫ এপ্রিল বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসবেন বাংলাদেশের নব-নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে ২৩ ও ২৪ এপ্রিল জাতীয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে সকল প্রকার দর্শনার্থীর প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকাপ্রকাশ-কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী ২৫ এপ্রিল সকাল ১১টায় বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসবেন নব-নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তাই নিরাপত্তা জনিত কারণে ২৩ ও ২৪ এপ্রিল দুই দিন স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে সকল প্রকার দর্শনার্থীর প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মহোদয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করার তিনঘন্টা পর দর্শনার্থীদের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ যথারীতি খুলে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, আগামীকাল রবিবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। এর আগে তিনি জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আবদুল্লাহ আল খাসফি আল হামুদি। ছবি: সংগৃহীত
সংযুক্ত আরব আমিরাতে গমনিচ্ছুদের জন্য আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে উন্মুক্ত হবে টুরিস্ট ভিসা। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ হামুদি।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে দুবাইয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। সেখানে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমিরাতে কেবল বাংলাদেশিদের জন্য নয়; বরং বিভিন্ন দেশের ভিসা সাময়িক বন্ধ রয়েছে। এটি স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। এখানে রাজনৈতিক কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
সংবর্ধিত অতিথি মুশফিকুল ফজল আনসারি বলেন, ‘আমিরাত হচ্ছে শান্তিময় একটি দেশ। এই দেশে বাংলাদেশিসহ বিদেশিরা অত্যন্ত শান্তিতে বসবাস করছেন। দুই দেশের মধ্যে চমৎকার কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। আমিরাত ও বাংলাদেশের সমৃদ্ধিতে যৌথভাবে ভুমিকা রাখছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আমিরাতের কর্তৃপক্ষকে ভিসা চালুর ব্যাপারে অনুরোধ জানাচ্ছি৷ আশাবাদী শিগগিরই একটি ভালো সংবাদ পাওয়া যাবে।’
বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পর্কে মুশফিকুল ফজল আনসারি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তবর্তীকালন সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস পুরো পৃথিবীর কাছে গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তি। আমরা গর্বিত এমন একজন ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে পেয়ে।’
মুশকিকুল বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সমতার সম্পর্ক চাই কিন্তু কোনো অবস্থায় দাদাগিরি মেনে নেওয়া হবে না। বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী দলসমূহের ১৬ বছরের আন্দোলন ও সর্বশেষ ৩৬ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে। পালালেও ক্ষমতা দখল করে ১৬ বছর যে অপরাধগুলো করেছে সেইসব অপরাধের বিচার হবে ইনশাআল্লাহ।’
তিনি প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণ করে দেশকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। সাংবাদিক মামুনুর রশীদ ও রাসেল আহমেদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হামুদি, বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাইয়ের দূতালয় প্রধান আশফাক হোসেন, প্রধান বক্তা ছিলেন, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও ইউএই বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার সালাম খাঁন, বক্তব্য রাখেন, ড. রেজা খান, ইউএই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার সালাউদ্দিন আহমেদ, রাজা মল্লিক, ইয়াকুব সৈনিক, সাংবাদিক শিবলী আল সাদিক।
এতে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মোস্তাফা মাহমুদ, মির কামাল, শাহাদাত হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার করিমুল হক, জাহাঙ্গীর রুপু, স্বপ্না মনি, মাহে আলম প্রমুখ।
এস আলম গ্রুপের ৬ কারখানা বন্ধ ঘোষণা, শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত
দেশের আলোচিত-সমালোচিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের ছয় কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার কালারপুল ও ইছানগরে কর্ণফুলী নদীর পাড় এবং বাঁশখালীর গণ্ডামারায় কারখানাগুলোর অবস্থান।
এতে বলা হয়, কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনিবার্য কারণবশত আগামীকাল (বুধবার) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কারখানাগুলো বন্ধ থাকবে। তবে কারখানার নিরাপত্তা, সরবরাহ ও জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে।
বন্ধ ঘোষণা করা ৬ কারখানা হলো- এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্ট লিমিটেড, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড (নফ), এস আলম পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড ও ইনফিনিটি সি আর স্ট্রিপস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এর মধ্যে দুটি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার কালারপুল, তিনটি ইছানগর ও একটি বাঁশখালীতে অবস্থিত।
বেলা সাড়ে তিনটার সময় কালারপুল এলাকায় এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেডে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক শ্রমিক কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ করছিলেন। তারা আকস্মিক নোটিশে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করায় পরিবার–পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়ার কথা বলেন।
এর আগে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ডিজিএফআইয়ের সহায়তায় কয়েকটি ব্যাংক দখল করার পর ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার সহযোগীরা ‘অন্তত’ ১০ বিলিয়ন বা ১ হাজার কোটি ডলার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে বের করে নিয়েছেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলামকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে স্ত্রীসহ কানাডার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে আটক করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর (নতুন নাম বিজিবি) বিদ্রোহ ও পিলখানায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এ ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মাথায় বাহিনীটির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান মইনুল ইসলাম।
তিনি মহাপরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার পর বাহিনীটির ইউনিফর্ম পরিবর্তন হয় এবং সীমান্ত বাহিনীতে যোগ করা হয় একটি গোয়েন্দা ইউনিট। পরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে উন্নীত করা হয় তাকে এবং সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে জেনারেল স্টাফ করা হয়।
২০১৫ সালের জুলাইয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হন মইনুল ইসলাম। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। বিজিবির মহাপরিচালক পদে যোগদানের আগে জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজ বাংলাদেশের আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের (এএফডব্লিউসি) প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।