সেমিনারে বক্তারা
‘বার্মা অ্যাক্ট’ এই অঞ্চলে সংঘর্ষ বাড়াতে পারে

যুক্তরাষ্টের ‘বার্মা অ্যাক্ট’ এই অঞ্চল সংঘর্ষ আরও বাড়াতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এ অবস্থায় কোনো পক্ষে বাংলাদেশ শামিল না হল মঙ্গলজনক হবে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির আয়োজনে ’রিস্টোরিং পিস ইন মিয়ানমার: টু ইয়ারস আফটার মিলিটারি ক্যু’ শীর্ষক এক সেমিনারে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা এমন আশঙ্কার কথা জানান।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ‘বার্মা অ্যাক্ট’ পাস হয়েছে। এই আইনের উদ্দেশ্য সামরিক শাসনের অবসানের মাধ্যমে এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা এবং এজন্য সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।’
এ অঞ্চলের সাংঘর্ষিক ভূ-রাজনীতি অনেক পুরনো মন্তব্য করে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বলেন, ‘এখানে ভারত চীনকে কোনঠাসা করার চেষ্টা করছে। আবার চীন ভারতকে একদিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘বার্মা অ্যাক্ট’ এ অঞ্চলের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করতে পারে।’
এটি হয়তো বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে না মন্তব্য করে শহীদুল হক বলেন, ‘এক্ষেত্রে আমার বিবেচনায় আমাদের হাতে তিনটি বিকল্প আছে। আমরা বলতে পারি, এই অঞ্চলে আমরা সংঘর্ষ চাই না। তোমরা যদি সংঘর্ষ করতে চাও, নিজেদের এলাকায় করো। আমার বিবেচনায় এটি সবচেয়ে ভালো বিকল্প।’
অন্য দুটি বিকল্প সম্পর্কে সাবেক এই পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘প্রথমত, আমরা প্রতিরক্ষা কেন্দ্রিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর না করার নীতি অনুসরন করতে পারি। দ্বিতীয়ত, এই সংঘর্ষে সরাসরি অংশ নিতে পারি এবং সেক্ষেত্রে চীন অথবা ভারত–যেকোনো একটি দেশকে বেছে নিতে হবে। কারণ দুইপক্ষের সঙ্গেই থাকা যাবে না।
সেমিনারে মিয়ানমাররে প্রবাসী সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ওয়েই সো বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের লোক এবং তারা আমাদের একজন। এ পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি সেনা সদস্য মারা গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম এবং এখন আমরা অর্ধেক পথ অতিক্রম করেছি। বর্তমানে আমাদের সৈন্য সংখ্যা ৩ লাখেরও বেশি এবং আমরা অবশ্যই এই যুদ্ধে জিতব।
রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এখন এক হচ্ছে জানিয়ে রোহিঙ্গা প্রতিনিধি হ্লা মিন্ট বলেন, আমরা বুঝতে পেরেছি যে, এক না থাকলে আমাদের সমস্যা হবে।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ইস্টার্ন অ্যাপ্রোচ (চীনের নীতি) ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এখন আমাদের পশ্চিমা নীতি (বার্মা অ্যাক্ট) অনুসরণ করা প্রয়োজন।
আরইউ/এমএমএ/
