‘ধূমপায়ীদের বিরুদ্ধে প্রান্তিক পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে’

ধূমপায়ীদের বিরুদ্ধে অধুমপায়ীদের যুদ্ধ চলছে উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা তামাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। ২০৪০ সালের মধ্যে ধূমপান মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া, সমাজে অপরাধ ও নির্যাতন কমাতে বিয়ের আগে ছেলেদের ডোপ টেস্ট হওয়া দরকার। কারণ, অনেক নেশাগ্রস্ত লোক টাকার লোভে স্ত্রীকে নির্যাতন করে। আমাদের কাছে এ রকম বহু অভিযোগ আসে।’
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও সমসাময়িক ভাবনা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে এতে সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাক্তার প্রাণ গোপাল দত্ত, সংসদ সদস্য শামসুন নাহার, মো. শাহেদুজ্জামানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলে অপপ্রচার আছে বিড়ি, সিগারেট খেলে গা গরম হয়।। হাসপাতালেও ব্যবস্থাপনার অভাবে কোনো কোনো ডাক্তার ধূমপান করেন। তাই ধূমপানের অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে।’
মসজিদে নামাজের সময়সহ বিভিন্ন ধর্মীয় জায়গায় যুব সমাজকে রক্ষা করতে প্রচারণতা চালাতে হবে। তাদের সুষ্ঠু রাখার জন্য সংসদ সদস্যদের ও ধূমপানের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে হবে। সংসদ সদস্যদের নৈতিক দায়িত্ব হবে ধূমপানের ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরা।
প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালে ধূমপানমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমি সংসদ সদস্যদের ধূমপানের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জাতীয় সংসদে দুই মিনিট করে বেশি সময় দিব।
ধূমপানমুক্ত যুদ্ধে সৈনিক হিসেবে কাজ করছি। তামাকের আইন পাশ হবে এই সংসদে না হোক পরের সংসদে হবে। ডেপুটি স্পিকার বলেন, আমি ২০১০ সালের ছাত্রলীগের সম্মেলনেও ডোপ টেস্টের কথা বলেছিলাম তামাম মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার এটি একটি পদক্ষেপ বলা যায়।
জেডএ/এমএমএ/
