পুলিশের সন্তানদের দেশের সেবা করার তাগিদ

পুলিশ সদস্যের সন্তানদের একাডেমিক ভালো রেজাল্ট করার পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশের সেবা করার তাগিদ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের ৬ষ্ঠ তলার সম্মেলন কক্ষে পুলিশের সন্তানদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধাবৃত্তি প্রদান করেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের সন্তান মানুষ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকে তার মায়ের। কারণ পুলিশে যারা চাকরি করে তারা সর্বক্ষণ জনগণের সেবা দেওয়ার জন্য ব্যস্ত থাকে। এজন্য সন্তানের খাওয়া-দাওয়া পড়াশোনাসহ যত্ন নিতে হয় তার মাকে। তাই এ কৃতিত্ব মায়েদেরই। তারা ২৪ ঘণ্টাই সন্তান, সংসার ও স্বামীর জন্য সময় দেন়।
তিনি বলেন, মেধাবী সন্তান ও গর্বিত অভিভাবকদের অভিনন্দন। পুলিশ সদস্যের সন্তানেরা একাডেমিক পরীক্ষায় মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন, সেজন্য আমরা গর্বিত।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কমিশনার বলেন, ভালো রেজাল্ট করার পাশাপাশি ভালো মানুষ হতে হবে। মানবিক গুণাবলী অর্জন করতে হবে। ভালো রেজাল্ট করলাম, ভালো চাকরি পেলাম, বিয়ে-শাদী করে আলাদা থাকলাম, তাহলে হলো না। বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মা সন্তানের কাছে ভাত কাপড় চায় না, তারা নিজের সন্তানের একটু হাসি মুখে দুটো মিষ্টি কথা শুনতে চায়। নিজের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো বাবা-মা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজন। এ শিকড়কে কখনো ছিন্ন করা যাবে না। একাডেমিক ভালো রেজাল্ট করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষিত হয়ে সমাজের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে জনগণের সেবা করতে হবে, দেশের সেবা করতে হবে, বাবা-মায়ের সেবা করতে হবে।
অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সন্তান ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারল না, এজন্য কোনো প্রকার মানসিক চাপ প্রয়োগ না করে তার চেষ্টা ও সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত মেধার উপর ছেড়ে দিতে হবে। কেননা এক সময় সেটা বিকশিত হবেই। শুধু খেয়াল রাখতে হবে সন্তান যেন মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়, বখাটেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ২ লাখ ১২ হাজার পুলিশ সদস্যের একটি পরিবার। এখানে কেউ ভালো করলে সবাই প্রশংসিত হয় আবার খারাপ করলেও সবার গায়ে লাগে। এজন্য এ বাহিনীর কোনো সদস্য যেন খারাপ কাজে জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সময় ও সুযোগ পেলে নিজ পরিবার ও সন্তানদের সঙ্গে সময় দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
কেএম/আরএ/
