বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ

গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
রবিবার (৮ জানুয়ারি) বিইআরসি কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি এ সুপারিশ করে। রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ এ কে এম শামসুল হক খান অডিটরিয়ামে বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয়ে গণশুনানি শুরু হয় রবিবার সকালে।
শুনানির এক পর্যায়ে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়লে তা মূল্যস্ফীতিকে উসকে দেবে।
বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি, সিস্টেম লস, অনিয়ম বন্ধে কোনো সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে না অভিযোগ করে শাসসুল আলম বলেন, অন্যদিকে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে জনগণের কষ্ট বাড়ছে।
শুনানিতে বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সদস্য আবু ফারুক, সদস্য মকবুল ই ইলাহীসহ অন্যান্য সদস্য, সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়।
গত ২১ নভেম্বর বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এরপর বিদ্যুতের খুচরা দাম বৃদ্ধির আবেদন করে পাঁচ প্রতিষ্ঠান।
সবগুলো প্রতিষ্ঠান বলছে পাইকারি দাম বৃদ্ধির পর খুচরা দাম না বাড়ালে তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।
বিদ্যুতের গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়লে মানুষের বাসাবাড়ির দামের সঙ্গে শিল্প এবং বাণিজ্যের দামও বাড়বে। ফলে দেশে আরেক দফা মূল্যস্ফীতি বাড়বে।
গত বছর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতি অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ সংকটের মধ্যে রয়েছে।
আরইউ/এমএমএ/
