রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫ | ২ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

মেট্রোরেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

দেশের প্রথম মেট্রোরেল পথের একাংশের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আধুনিক মেট্রোরেল ব্যবস্থায় প্রবেশ করল বাংলাদেশ।

এর আগে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীতে মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সেখান থেকে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে মেট্রোরেলের ফলক উন্মোচন করেন শেখ হাসিনা।

প্রতিটি ট্রেন প্রথম কয়েক দিনের জন্য প্রত্যেক প্ল্যাটফর্মে ১০ মিনিট যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করবে কারণ নগরবাসী এই নতুন পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত নয়।

প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ছয়টি বগিবিশিষ্ট ১০ সেট ট্রেন চলাচল করবে। আপাতত এই রুটে ধীরগতিতে ট্রেন চলবে। এ পর্যায়ে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলবে, পরে চলাচলের সময় বাড়ানো হবে এবং চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনের সংখ্যা বাড়নো হবে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক বলেন, মেট্রোরেল বাংলাদেশের মানুষের জন্য প্রথমবারের মতো একটি অভিজ্ঞতা হবে। তাই যাত্রীদের টিকিট ব্যবস্থা এবং পরিষেবা ব্যবহার সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। যাত্রীরা যখন মেট্রোরেলের সঙ্গে পরিচিত হবে তখন আমরা মধ্যবর্তী স্টেশনগুলোতে ট্রিপ, ট্রেন ও স্টপেজের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।

সিদ্দিক বলেন, ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম শহর। রাজধানী ঢাকা যাত্রীদের জন্য মেট্রোরেলের সঙ্গে সবচেয়ে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা পেতে যাচ্ছে। মেট্রোরেল জনদুর্ভোগ কমাবে কারণ এটি আরামদায়ক উপায়ে কম সময়ে বেশি যাত্রী পরিবহন করবে।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর রুটের মধ্যবর্তী স্টেশনে কোনো স্টপেজ ছাড়াই উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলবে। পরের দিন (বৃহস্পতিবার) থেকে যাত্রীরা ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবেন।

কিছুক্ষণ পর রাজধানীতে প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচল শুরু করবে। মাত্র ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ডে উত্তরা থেকে আগারগাঁও চলে আসা যাবে। রাজধানীর লক্কড়ঝক্কড় ও জীর্ণ বাসের বিপরীতে জাপানে তৈরি মেট্রোরেলের কোচগুলো অত্যাধুনিক। তিনতলা মেট্রোরেল স্টেশনে ওঠা–নামার জন্য সিঁড়ি, চলন্ত সিঁড়ি (এসকেলেটর) ও লিফট রয়েছে। ট্রেন ও স্টেশন শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি)।

প্রথম যাত্রার যাত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিসভার সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরা। সাধারণ যাত্রীরা অবশ্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন।

এটি বাংলাদেশের প্রথম বিদ্যুৎ–চালিত ট্রেন, চলবে সফটওয়্যারের মাধ্যমে; প্রথম যাত্রায় ট্রেনটি চালাবেন মরিয়ম আফিজা এবং প্রথমবারের মতো যাত্রীরা ভাড়া পরিশোধ করবেন কার্ড দিয়ে। উড়ালপথের প্রথম ট্রেনও মেট্রোরেল।

মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ভাড়া ৬০ টাকা। স্থায়ী কার্ড কিনে যাতায়াত করলে ১০ শতাংশ ছাড় আছে। মুক্তিযোদ্ধারা বিনা মূল্যে যাতায়াত করতে পারবেন। প্রতিবন্ধীদের জন্য ছাড় আছে ১৫ শতাংশ। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া বা হাফ পাসের ব্যবস্থা নেই, যেটা বাসে রয়েছে।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।

এসএন

Header Ad
Header Ad

‘স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ হবে না’ খবরটি সত্য নয়

ছবি: সংগৃহীত

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে না বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সত্য নয় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

রোববার (১৬ মার্চ) রাতে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বার্তায় উল্লেখ করা হয়, ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ চলমান থাকায় এবছরও ঢাকায় কুচকাওয়াজ আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না। তবে দেশের অন্যান্য ৬৩ জেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় কুচকাওয়াজ আয়োজনের পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সব জেলা প্রশাসকদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া উচিত। নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব দিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা প্রয়োজন।

রোববার (১৬ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে বিএফইউজে ও ডিইউজে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ৩১ দফা দাবি উপস্থাপন করেছে। বর্তমান সময়ে উঠে আসা সংস্কার প্রস্তাবের সঙ্গে বিএনপির প্রস্তাবের খুব বেশি পার্থক্য নেই।

তিনি আরও বলেন, দেশের পরিস্থিতি বর্তমানে হত্যা, খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনায় উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নামছে।

বিএনপি মহাসচিব দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূস যেন অল্প সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করেন। কারণ, নির্বাচনে দেরি হলে ফ্যাসিস্ট শক্তির উত্থান এবং উগ্র, জঙ্গি গোষ্ঠীর সুযোগ নেওয়ার আশঙ্কা বাড়বে।

ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবি আব্দুল হাই শিকদার, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমসহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠানে এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, কামাল উদ্দিন সবুজ, ইলিয়াস খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের মেয়েকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের মেয়ে ডা. অনিন্দিতা দত্তকে আজ রোববার বিকেল সাড়ে তিনটার পর সেনাবাহিনী উদ্ধার করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের একান্ত সচিব রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব।

তিনি জানান, সেনাবাহিনী ডা. অনিন্দিতা দত্তকে বাসায় নেওয়ার কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় পুলিশের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর। তিনি বলেন, যদি তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এর আগে, সকালে একদল লোক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সার ভবনের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. অনিন্দিতা দত্তকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। জানা গেছে, গত জুলাইয়ে গণহত্যার অভিযোগে তার নামে মামলা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. শেখ ফরহাদ বলেন, 'প্রাণ গোপাল স্যারের মেয়ে এখানে চাকরি করেন। তাঁকে এখানে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা সবাই বন্দি অবস্থায় আছি। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী উপস্থিত রয়েছে।'

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের বিরুদ্ধে ঢাকা ও কুমিল্লায় বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়, যার মধ্যে ডা. অনিন্দিতা দত্তও আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি, তবে দুই দিন আগে থেকে তিনি কাজে আসা শুরু করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ হবে না’ খবরটি সত্য নয়
যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল
ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের মেয়েকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী
অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কথা বলে ‘সোনিয়ার’ প্রতারণা, টাকা ফেরত চেয়ে মানববন্ধন
চুয়াডাঙ্গায় সার বীজ মনিটরিং কমিটির  সভা অনুষ্ঠিত
বিএনপি ক্ষমতায় এলে সব অন্যায়-জুলুমের বিচার নিশ্চিত করা হবে: তারেক রহমান
সাশ্রয়ী দামে আধুনিক ফার্নিচার সরবরাহ করবে সরকার : রিজওয়ানা
স্বাধীনতা দিবসে এবারও হচ্ছে না কুচকাওয়াজ: স্বরাষ্ট্র সচিব
বাংলাদেশের নির্বাচন হবে আন্তর্জাতিক মানের, আশা ইউরোপীয় ইউনিয়নের
নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত অন্তত ৫১
বন্ধ হওয়ার পথে ভয়েস অব আমেরিকা, ১৩০০ কর্মীকে ছাঁটাই
পুলিশের ১২৭ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা
চুয়াডাঙ্গায় ‘গো গ্রীন’ কর্মসূচির আওতায় দুটি নতুন প্রকল্পের যাত্রা
আবরার হত্যার রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য কড়া বার্তা : অ্যাটর্নি জেনারেল
কুয়েতে ৪২ হাজার নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল: রাতারাতি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা
দেশের পাঁচ জেলায় মৃদু তাপদাহ, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন অস্কারজয়ী শিল্পী এ.আর.রহমান
৬ হাজার কোটির লিগ আনছে সৌদি, চ্যালেঞ্জের মুখে আইপিএল
৭ কলেজের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’
হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট, দ্রুত কার্যকর চান আবরার ফাহাদের বাবা