অপ্রিয় সত্য বলে ঢাকাপ্রকাশ: সফিকুজ্জামান

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ‘অপ্রিয় সত্য বলা কঠিন। কিন্তু ঢাকাপ্রকাশ সেই অপ্রিয় সত্য কথাই বলছে। তাদের লিখনিতে তা তুলে ধরছে। তারা সমাজের বিভিন্ন রুটে আছে। সারা বিশ্ব করপোরেট কালচারে চলে এসেছে। বাংলাদেশও তা থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। মাফিয়ারা অনেক ক্ষেত্রে অনেক কিছু কন্ট্রোল করে। আমরা তা লক্ষ্য করি।’
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানাতে এসে এ কথা বলেন সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘করপোরেট ছোঁয়া ওভারকাম (অতিক্রম) করা কঠিন। এক সময়ে আমরা বিবিসির নিউজ শুনতাম। এ জন্য সবাই অধীর আগ্রহে থাকতাম। মনে করতাম নিরপেক্ষ নিউজ পেতাম। বর্তমানে ইউটিউব বা স্যোশাল মিডিয়া এত বেশি অপপ্রচার চালাচ্ছে বা গুজব ছড়াচ্ছে যা রাষ্ট্রের বিপক্ষে চলে যাচ্ছে।’
সফিকুজ্জামান আরও বলেন, ‘সত্য বা মিথ্যা মানুষ তার অবস্থান থেকে বিচার করবে। তাই সঠিক একটি প্লাটফর্মের দরকার। এই প্লাটফর্মে মানুষ যাতে আস্থা রাখতে পারে। অর্থাৎ যে নিউজগুলো মানুষের কাছে আসছে ধরে নিতে পারি সেটি অন্তত নির্ভরযোগ্য।’
ভোক্তার মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘ঢাকাপ্রকাশ সততার কথা বলেছে। মানদণ্ডের ক্ষেত্রে বর্তমান যুগে সেটি খুবই চ্যালেঞ্জ। আশা করব ঢাকাপ্রকাশ সেটি ধরে রাখতে পারবে। সততার পরিচয় দিবে।’
এ কাজ খুবই কঠিন কাজ। ঢাকাপ্রকাশ আজ (১ ডিসেম্বর) এক বছরপূর্তি উদযাপন করছে। আমি এর সাফল্য কামনা করছি। ভবিষ্যতে ১০ বছর পূর্তি পালন করা হবে। সময়ের পরিক্রমায় ১০০ বছরও পালন করা হবে, যোগ করেন তিনি।
নিরপেক্ষতা বজায় রাখে ঢাকাপ্রকাশ: ভোক্তা পরিচালক
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (উপ-সচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা সব সময় একটা বিষয়ের উপর জোর দিই। যে নৈতিক ও জ্ঞান সমৃদ্ধ জাতি গঠন। ঢাকাপ্রকাশ-এ আমাদের ভোক্তা অধিদপ্তরের বিভিন্ন নিউজ প্রকাশ হয়। আমরা দেখেছি তারা নিরপেক্ষতার জায়গায় থেকে সত্য রিপোর্ট প্রকাশ করছে। নতুন প্রজস্ম তা জানতে পারছে। নৈতিকতার সুযোগ জানতে পারছে। এই প্রজন্মের হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘গণমাধ্যম হলো সমাজের দর্পণ। বিদ্বানের কলমের কালি শহিদের রক্তের চেয়ে পবিত্র। ঢাকাপ্রকাশ-এর এই অনবদ্য অবস্থান ভালো লাগার অনুভূতি সৃষ্টি করেছে। সেই পথ চলতে থাকবে। হয়ত এই পথ চলা নিস্কটক হবে না। তারপরও ঢাকাপ্রকাশ তার অবস্থান ধরে রেখে সব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে নতুন প্রজন্মের কাছে এগিয়ে যাবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আসল তথ্য জানাতে পারবে।
জেডএ/এনএইচবি/এমএমএ/
