পাশে থাকুন, সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গড়বো: প্রধানমন্ত্রী
নতুন প্রজন্মের জন্য সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আগামী দিনগুলোতেও জনগণকে পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়ে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটি কল্যাণকামী, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
শুক্রবার (০৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বর্তমান সরকারের তৃতীয় বর্ষপূতি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা (উন্নয়ন) সম্ভব হয়েছে আমাদের উপর আস্থা রাখার ফলে। পর পর তিনবার রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দিয়ে আপনারা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়তা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে আমরা একটি কল্যাণকামী, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি যাতে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোর কাতারে সামিল হতে পারে। এজন্য অতীতে যেমন আপনারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, ভবিষ্যতে আমাদের সঙ্গে থাকবেন, এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’
নতুন প্রজন্মের জন্য সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে জানিয়ে টানা তিনবারের সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের বর্তমান এবং আগামী দিনের সকল কার্যক্রমের লক্ষ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ।’
‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম এগিয়ে যাবে মাথা উঁচু করে ভবিষ্যতের পানে।’
১৩ বছরে কী করেছি, মূল্যায়ন করুন:
জনগণের কাছে করা ওয়াদা সফলভাবে বাস্তবায়নের দাবি করে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জনগণের সরকার হিসেবে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য বলেই আমি মনে করি। গত ১৩ বছরে আমরা আপনাদের জন্য কী কী করেছি, তা আপনারাই মূল্যায়ন করবেন।’
‘আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, আমরা যেসব ওয়াদা দিয়েছিলাম, আমরা তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। ’
বিগত ১৩ বছরে বিদ্যুৎ, গ্যাস, যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা, প্রযুক্তি, খাদ্য উৎপাদন, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ কয়েকটি সেক্টরে সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
দল যাই হোক দুর্নীতিবাজদের ছাড় নেই:
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছি। দুর্নীতিবাজ যে দলেরই হোক আর যত শক্তিশালীই হোক, তাদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না এবং হবে না।’
‘এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। তবে এই ব্যাধি দূর করতে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন।’ বলেন শেখ হাসিনা
এসএম/এএস