শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

পরিবেশ দূষণে দেশে ৩২ শতাংশ মানুষের মৃত্যু

পরিবেশ দূষণের কারণে বাংলাদেশে বছরে ৩২ শতাংশ মানুষ মারা যাচ্ছে। এ ছাড়া বায়ু দূষণের কারণে বছরে ক্ষতি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৯ শতাংশ।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংক কান্ট্রি ক্লাইমেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশ করে।

বিশ্বব্যাংকের টেকশই উন্নয়নবিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক জন রুম অনুষ্ঠানের মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বছরে ক্ষতি হয় ১ বিলিয়ন ডলার। মোট জিডিপির যা প্রায় শূন্য দশমিক ৭ ভাগ। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে অর্থায়নের একটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন এসডিজির সাবেক সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ এবং পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের সাউথ এশিয়ান সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্টের জন রুমী। মূল আলোচক ছিলেন— ফ্রেন্ডশিপের নির্বাহী পরিচালক রুনা খান, এসকেবি টেক ডেভেলপমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবীর, নেদারল্যান্ড অ্যাম্বাসির ফাস্ট সেক্রেটারি ফর্করেট জিজেডি জগার এবং কমনওয়েলথ ডেভেলপমেন্ট অফিসের ক্লাইমেট অ্যান্ড এনভারমেন্টের টিম লিডার অ্যানেক্স হারভে। বক্তব্য দেন বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান চেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য মেয়াদে জলবায়ু বিনিয়োগ ব্যয়ের জন্য প্রাক্কলিত কমপক্ষে ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের জন্য সরকারি বেসরকারি অর্থায়নের প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা জোরদার করা প্রয়োজন।

সীমিত আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় সরকারি অগ্রাধিকার পুর্নবিন্যাস করতে হবে। বাজেটের ২০ শতাংশ জলবায়ু সম্পর্কিত বিনিয়োগের জন্য নির্ধারণ করলে জিডিপির ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। জলবায়ু অর্থায়ন বাড়াতে সরকারকে ভর্তুকি বিলোপ, গ্যাসের দাম যৌক্তিক করা, বিভিন্ন পথে জ্বালানি পরিবহনের উপর অভিন্ন মূল্য সংযোজন এবং পর্যায়ক্রমে কার্বন কর আরোপ করতে হবে। এতে যানজট কমাবে এবং পুর্নবণ্টন জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমের জন্য রাজস্ব আয় বাড়াতে সহায়ক হবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের ইতোমধ্যে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকাকেন্দ্রিক প্রভাবসহ বেশিরভাগ দরিদ্র ও ঝুঁকিতে থাকা মানুষের ওপর বৈরিভাবে তীব্র প্রভাব ফেলতে পারে। এ ছাড়া পরিবেশ দূষণ জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে উন্নত বায়ুর মান থেকে জলবায়ু কার্যক্রমের সবচেয়ে সুদূর প্রসারীসহ সুবিধা আসতে পারে। মূলত জলবায়ু ঝুঁকির প্রতি সহনশীলতা বাড়িয়ে এ সব উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অনেক সুযোগ রয়েছে। দ্রুত প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র বিমোচনের ধারা অব্যাহত রাখতে এসব ঝুঁকি মোকাবিলায় বিনিয়োগ বাড়ানো এবং সংস্কার ত্বরান্বিত করাই হবে মৌলিক কাজ।

বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এ সব ঝুঁকি ও সুযোগ চিহিৃত করেছে এবং এগুলো মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার দরকার রয়েছে। এই কান্ট্রি ক্লাইমেট অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট রিপোর্ট (সিসিডিআর) নিকট মেয়াদের নীতি এবং বিনিয়োগ অগ্রাধিকারগুলো চিহিৃত করেছে, যা বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের প্রতি সহনশীলতা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।

উন্নয়ন অর্জনের জন্য অধিকতর সবুজ, সহনশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি মডেলে রুপান্তর খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। নগর উন্নয়নে জরবায়ু-বান্ধব আঞ্চলিক কৌশল একটি অগ্রাধিকার। বাংলাদেশকে অবশ্যই একই সঙ্গে দারিদ্র্র হ্রাস এবং কৃষি, পানি এবং জমির ব্যবহার পদ্ধতিতে বিশেষ করে উচ্চ জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চল এবং নগর ও গ্রামীণ এলাকায় সহিষ্ণুতা গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০ (বিডিপি ২১০০) বাস্তবায়ন পানি, বাস্তুসংস্থান, পরিবেশ এবং ভূমি সম্পদের টেকসই উন্নয়নে ভুমিকা রাখবে। স্থানীয়ভাবে অভিযোজিত এবং স্থানীয় সমাধান সহনশীলতা গড়ে তুলতে অপরিহার্য হবে। দীর্ঘমেয়াদি নিম্ন কার্বন রুপান্তর কর্মসংস্থানের ও সামাজিক ব্যয়ের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। উভয় বিষয়েই সতর্কতার সাথে ব্যবস্থাপনার দরকার হবে।

আরও বলা হয়েছে, জ্বালানি, পরিবহন, শিল্প এবং কৃষি থেকে কার্বন নিঃসরণ তুলনামূলক কম খরচে করা যেতে পারে এবং বায়ু দূষণ, স্বাস্থ্য সেবা ব্যয় এবং কর্মসংস্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত উল্লেখযোগ্যসহ সুবিধা বয়ে আনতে পারে। বাংলাদেশে জ্বালানি খাতে কার্বন নির্গমন কমানোর উল্লেখযোগ্য সুযোগ রয়েছে, যা উন্নয়ন সুবিধা বয়ে আনবে, কার্বন-নিবিড় বিনিয়োগ সীমিত করবে এবং পতিত সম্পদের ঝুঁকি প্রশমন করবে। সব খাতে জ্বালানি দক্ষতা এবং সংরক্ষণ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব এবং একটি অগ্রাধিকার। পরবর্তী এক দশকে পরিবহন খাত ১৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণের কারণ হতে পারে, ফলে এ খাতে কার্বন নির্গমন কমানোর পদ্ধতিগত পরিবর্তন দরকার।

দ্রুত নগরায়ণ, আয় বৃদ্ধি এবং খাদ্যাভাস পরিবর্তন অধিকতর দক্ষ, নিম্ন-কার্বন কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থা এবং একইসঙ্গে সহিষ্ণুতা ও গ্রামীণ আয় বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করবে।

মূল প্রবন্ধে জন রুমী বলেন, জলবায়ু কার্যক্রমের জন্য আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার উন্নতি এবং বিদ্যমান নীতি ও কার্যক্রমের কার্যকর বাস্তবায়ন বাংলাদেশের সবচেয়ে জরুরি চ্যালেঞ্জ। পরিবেশ পণ্য ও সেবায় ট্যারিফ ও বাণিজ্য সংক্রান্ত অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা হ্রাস এ ধরনের পণ্য ও সেবার বৈশ্বিক ভ্যালু চেইন বাংলাদেশের অংশগ্রহণে সহায়তা করতে পারে। জলবায়ু কার্যক্রমে বেসরকারি খাতের ভূমিকা বাড়ানোর উল্লেখযোগ্য সুযোগ রয়েছে। আর্থিক খাত সবুজায়নের নীতি বাস্তবায়নসহ এ খাতের বিদ্যমান দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা প্রয়োজন। জরুরি প্রয়োজনীয়তা, মাত্রা ও জটিলতা বিবেচনায় জলবায়ু পরিবর্তন কার্যক্রম পরিচালনা এবং মনিটরিংয়ের জন্য এনজিওদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের প্রয়োজন হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা রাজনৈতিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আছি। আমাদের আগামী প্রজন্ম তরুণদের দক্ষ জনশক্তি হিসাবে তোলা হচ্ছে। এ ছাড়া যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় বর্তমান সরকার ব্যাপক সচেতন রয়েছে। কয়েকদিন আগে সিত্রাং ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করা হয়েছে। তারও আগে করোনা মোকাবিলা করা হয়েছে।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩৮৩ ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজ গ্রেফতার

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ অভিযানে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক কারবারিসহ মোট ৩৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত ৬ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিট অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে এসব অভিযান পরিচালনা করে।

গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৩টি পিস্তল, একটি রিভলবার, ২টি শুটার গান, গোলাবারুদ, ককটেল বোমা, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক, এনআইডি, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।

আইএসপিআর জানায়, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়াও, দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনাবশত অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রম ও অগ্নি নির্বাপনে অংশ নেয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর সাধারণ জনগণকে যে কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

‘যমুনা রেল সেতু’ উদ্বোধন  ১৮ মার্চ, প্রধান অতিথি রেলপথ সচিব

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর উপর নির্মিত যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উজানে দেশের একমাত্র দীর্ঘতম নবনির্মিত ‘যমুনা রেল সেতু’ ১৮ মার্চ উদ্বোধন করা হবে। এ উপলক্ষে নানা আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে রেলপথ বিভাগ।

যমুনা রেল সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি উপস্থিত থাকবেন- বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত H.E. MR. SAIDA SHINICHI Ges MR. ITO TERUYUKI, DIRECTOR GENERAL SOUTH ASIA DEPARTMENT, JICA প্রমুখ।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন- যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান এবং সমাপনী বক্তব্য রাখবেন- মহাপরিচালক, বাংলাদেশ রেলওয়ে (সভাপতি) মো: আফজাল হোসেন।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকালে যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান ঢাকা প্রকাশকে এ বিষয়টি জানান।

মাসউদুর রহমান বলেন- আগামী ১৮ মার্চ সকাল ১০টায় টাঙ্গাইলের যমুনা রেল সেতুর পূর্ব প্রান্ত ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন প্রাঙ্গণে নবনির্মিত যমুনা রেল সেতুর শুভ উদ্বোধনের আয়োজন করা হবে।

এছাড়াও কর্মসূচির মধ্যে যমুনা রেল সেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে বেলা ১১ টা ২০ মিনিটে সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্তে সয়দাবাদ রেল স্টেশন পর্যন্ত উদ্বোধনী ট্রেনে অতিথি ও সংশ্লিষ্টরা যমুনা রেল সেতু পারাপার হবে এবং ১১ টা ৪০ মিনিটে সয়দাবাদ রেল স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করবেন। পরে বেলা ১২ টায় ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন পূর্ব প্রান্তে ফেরত আসবে।

তিনি আরও বলেন- উদ্ধোধনের একদিন পর অর্থাৎ ১৯ মার্চ থেকে বাড়তি ভাড়া (রেলের ভাষায় পন্টেজ চার্জ) গুণতে হবে যাত্রীদের।  যা উদ্বোধনের একদিন পর ১৯ মার্চ থেকে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে। ৪.৮ কিলোমিটার ডাবল লাইন ডুয়েলগেজ সেতুটি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে ঢাকার সাথে রেলপথের মাধ্যমে সংযুক্ত করবে।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২ বছর বাড়ানো হলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়ায়। যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থয়ান এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে।

১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন পারাপার হতো। এই সমস্যার সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেল সেতু দেশের দীর্ঘতম প্রথম ডাবল ট্রাকের ডুয়েল গেজের সেতু। এটি ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যানে নির্মিত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বিশ্বে প্রথমবার স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি তিন হাজার ডলারে পৌঁছেছে। আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ) স্বর্ণের দাম ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়ে এই রেকর্ড পরিমাণে পৌঁছায়। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ১৩ বার বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম রেকর্ড সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি ও ইউরোপের ওপর নতুন শুল্ক হুমকির কারণে বিশ্ববাজারে এই অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ওয়াইন, শ্যাম্পেনসহ অন্যান্য অ্যালকোহলযুক্ত পণ্যের ওপর দুইশ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন।

বৈশ্বিক বাণিজ্যে এই অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় স্বর্ণের দাম বাড়তে থাকে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ মূলত যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত হুইস্কির ওপর ইউরোপের শুল্কের প্রতিশোধ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, যদি ইউরোপের শুল্ক অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা সব ধরনের ওয়াইন, শ্যাম্পেনসহ অ্যালকোহলযুক্ত পণ্যের ওপর দুইশ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।

এর আগে ট্রাম্প সব ধরনের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। এর জবাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নও যুক্তরাষ্ট্রের ২৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছে বলে বুধবার (১২ মার্চ) জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩৮৩ ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজ গ্রেফতার
‘যমুনা রেল সেতু’ উদ্বোধন  ১৮ মার্চ, প্রধান অতিথি রেলপথ সচিব
বিশ্বে প্রথমবার স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার
আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব
আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেফতার
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পেতে আধা ঘণ্টায় ২০ লাখ হিট
দুই বছরের কন্যাকে হারালেন আফগান ক্রিকেটার হজরতউল্লাহ জাজাই
রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব
কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ
সুন্দরবনের গহীন থেকে বৃদ্ধা নারী উদ্ধার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো সাত লাশ উদ্ধার
জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস
গালি দেয়া সেই উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান হাসনাতের
প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে: রিজভী
৬০তম জন্মদিনে নতুন প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে আনলেন আমির খান
গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ভয়াবহ আগুন, ডানা দিয়ে নামলেন যাত্রীরা
চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর সীমান্তে ৯ লাখ টাকার মাদক ও চোরাচালানি মালামাল জব্দ