পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে সরকারের কিছু করার নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, রংপুরে বিএনপির সমাবেশের দিন পরিবহন ধর্মঘট ডাকা নিয়ে সরকারের কিছু করার নেই। বাস মালিকরা স্বাধীন, তারা তাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেয়।
তাদেরকে প্রভাবিত করার যে অভিযোগ বিএনপির পক্ষ থেকে করা হয়েছে তা নাকচ করে দিযেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদার এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নে গঠিত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে টাস্কফোর্সের সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক চলাকালীন সময়েই রংপুর বিভাগে পরিবহন ধর্মঘটের খবর আসে। মহাসড়কে নসিমন-করিমন বন্ধের দাবিতে শুক্রবার ভোর থেকে শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
আগামী শনিবার রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে। বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে,সমাবেশে বাধা দিতেই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
রংপুরে পরিবহন ধর্মঘট ডাকার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলনে সহিংসতার কথা আপনাদের মনে আছে। এখানে বাসের মালিক-শ্রমিকরা আছেন।
তারা দেখেছিলেন অগ্নিসংযোগ কাকে বলে। বাস বের হলেই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপির যে আন্দোলন সেটা কিন্তু শেষ হয়নি। তারা কিন্তু বলেনি যে, তাদের সেই আন্দোলন নেই, এটা কিন্তু কেউ বলেনি।
তিনি বলেন, এখন যদি তারা (মালিক-শ্রমিক) মনে করে বাস বা ট্রাকটি সেইফ না, তাহলে তারা মাঠে নাও নামাতে পারে। এ জন্য তো আমরা তাদের ফোর্স করছি না। তারা স্বাধীন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘তারা (পরিবহন মালিক) কী করবেন, না করবেন সে সিদ্ধান্ত তারা নেবেন। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। তারা যদি মনে করেন যে, বাস গেলে আবার কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে আগের মতো, তাহলে যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয় এতে আমাদের কিছু বলার নেই।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সমাবেশ বন্ধের কোনো চিন্তাই সরকার করে না।প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলে আসছেন, এগুলো রাজনৈতিক অধিকার। আমরা তাদের সভায় কোনো বাধা দিচ্ছি না। যেখানে যেভাবে করতে চাচ্ছেন সেখানেই করছেন। আমরা বাধা দিচ্ছি না।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ এবং ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল।
এনএইচবি/এমএমএ/
