বিদেশেও নারী উদ্যোক্তরা অবদান রাখছে: স্পিকার

বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে আয়োজন যুগোপযোগী ও প্রশংসনীয়। কেন না, জাতীয় অর্থনীতিতে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নেওয়ার পাশাপাশি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও নারী উদ্যোক্তারা অবদান রেখে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও নারীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তার দৃশ্যমান উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। এ সময়, নারী উদ্যোক্তাদের আরও এগিয়ে নিতে ' ‘জাতীয় নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন-২০২২’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।
জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ (নাসিব) ও নাসিব নারী উদ্যোক্তা কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় শনিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-র মাল্টি পারপাস হলে আয়োজিত 'জাতীয় নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন-২০২২' এ প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এ কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বে আজ অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্বের খ্যাতমান অর্থনীতিবিদরা এ উন্নয়নের অনেকগুলো কারণের মাঝে বাংলাদেশের তৃণমূল নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নকে একটি কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বাংলাদেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি যখন একটি জাতীয় চ্যালেঞ্জ, তখন দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তারা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অগ্রযাত্রী।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে নারীর ক্ষমতায়ন এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। সরকার ঘোষিত জাতীয় শিল্পনীতি ও এসএমই নীতিমালার ফলে বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তাদের দ্রুত বিকাশ ত্বরান্বিত হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে, নাসিব সারা বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠিত করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন ও বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ-কর্মশালা, তদের দ্বারা উৎপাদিত পণ্যের প্রসার ও বাজারজাতকরণ ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে নাসিব সহযোগিতা করছে, যোগ করেন তিনি।
স্পিকার বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের এখনো অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। তাদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রণোদনা, কোলেটারল ফ্রি লোন ইত্যাদি সুবিধা যেন নারী উদ্যোক্তারা সহজে পেতে পারে সে লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য 'এসেস টু এভেইলেবিলিটি অফ সার্ভিস' নিশ্চিত করতে হবে। কোভিড পরবর্তী সময়ে নারীদের জন্য সহযোগিতার হাত সকলকে আরও প্রসারিত করতে হবে। বর্তমান সরকার তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে কাজ করছে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক ১০০০ নারী উদ্যোক্তাকে প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। এ সময়, নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।
নাসিব সভাপতি সিআইপি মির্জা নূরুল গণী শোভনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে নাজমা আক্তার, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরীন আফরোজ ও এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন বক্তব্য রাখেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া, মানতাশা আহমেদ, ইসমত জেরিন খান প্রমুখ নারী উদ্যোক্তাগণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গনমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসএম/এমএমএ/
