‘স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে টিকিয়ে রাখতে সংস্কৃতিকর্মীদের ভূমিকা রয়েছে’

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সংস্কৃতিকর্মীদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। তারা সবসময় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধকে ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে টিকিয়ে রাখতে সংস্কৃতিকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আশা করছি, আগামীতে তারা এ বিষয়ে আরও সজাগ ও সচেতন থেকে দায়িত্ব পালন করে যাবে।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে 'গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক পর্ষদ' আয়োজিত ১১ দিনব্যাপী 'গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২২' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান। স্বাগত বক্তব্যসহ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদের সদস্য সচিব আক্তারুজ্জামান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ সাংস্কৃতিক উৎসব। ভারত ও বাংলাদেশের মৈত্রীর বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে এ উৎসবের যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, একই সঙ্গে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রেও এ উৎসবের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শাহ আলম সারোয়ার এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মো. আহকাম উল্লাহ।
উল্লেখ্য, উৎসবে ভারত-বাংলাদেশের ১১১টি দল নাটক, যাত্রা, সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য ও পথনাটকে অংশগ্রহণ করছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে 'থিয়েটার' প্রযোজিত 'পোহালে শর্বরী' মঞ্চনাটক পরিবেশিত হয়।
এসজি
